শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বছরজুড়ে দুদকের যত আলোচনা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বেশ কিছু ঘটনা ছিল প্রায় বছর জুড়ে আলোচনায়। দুদকের কর্মকর্তা শরিফকে চাকরিচ্যুত করার পর ঘটনাটি আলোচনায় আসে। বিদায়ী বছরে দুদকের গণশুনানি ও প্রাতিষ্ঠানিক সুপারিশের ফলোআপ নেই। একই সঙ্গে বছরজুড়ে বেড়েছে অভিযোগ, কমেছে মামলা ও অভিযোগপত্র দাখিল।

পিকে হালদার
আর্থিক খাতের লুটেরা প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার সহযোগীদের ২০২২ সালের ১৫ মে ভারতে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করে দুদক। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় হলেও, এখনো সেটা করা যায়নি।

বালুখেকো সেলিম
চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান বালুখেকো হিসেবে পরিচিত সেলিম খানসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক। তা ছাড়া ব্যাংকার, সরকারি কর্মচারীসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান, মামলা ও অভিযোগপত্র দিয়েছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে মহিলা যুবলীগ সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজি এবং বিমান, ওয়াসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বছর পার করেছে সংস্থাটি। তার মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের এমডিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ কর্তাদের তলব করা ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন বড় কোনো সাফল্য নেই দুদকের। বছর শেষে (২৬ ডিসেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

দুদকের সফলতা ও ব্যর্থতা
বিআরটিএ, ওয়াসা, তিতাস, রাজউক, সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত, হাসপাতাল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভূমি অফিস, রেজিস্ট্রি ও পাসপোর্ট অফিসসহ সেবাখাতে ঘুষ দুর্নীতি বাড়লেও বিমান অফিস, তিতাসসহ এক বছরে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় দুদক। এসব প্রতিষ্ঠানে সাড়াশি অভিযান ছিল না বললেই চলে। দুদকের ফাঁদ অভিযানও উল্লেখ করার মতো নয়। হটলাইনের মাধ্যমে নামমাত্র কিছু অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণশুনানি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সুপারিশও তেমন নেই বললে চলে। প্রশ্ন উঠেছে, দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভূমিকা নিয়েও।

দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও ব্যাংক থেকে টাকা লোপাট হচ্ছে। টাকা পাচারের ঘটনা বেড়ে চলছে। অথচ অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দুদকের বড় প্রতিবন্ধকতা হলো, এ আইনের সব অপরাধের তদন্তভার না দেওয়া। এ ছাড়া মানিলন্ডারিং আইনের ২৭ অপরাধের মধ্যে মাত্র একটি অপরাধের অনুসন্ধান করতে পারে দুদক। আইন সংশোধন করে আরও ছয়টি অপরাধের তদন্তভার চাইলেও সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও আর্থিক বিভাগের মধ্যে চিঠি চালাচালিতে আটকে আছে।

উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত
২০২২ সাল, এই এক বছরে দুদকে অভিযোগ বাড়লেও অনুসন্ধান, তদন্ত, মামলা ও চার্জশিট কমেছে। বরং বিধিমালা ভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতি, এ ঘটনার প্রতিবাদে দুদক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ, চাকরি ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে মামলা, বিএনপিসহ রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, কমিশনের অনড় সিদ্ধান্ত সবকিছু মিলিয়ে বছরটি আলোচনার ঝড় তোলে। দুদকের শরীফকাণ্ডই ছিল ২০২২- এর সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

১১৬ আলেম ও ইসলামি বক্তার দুর্নীতিতে একটি শ্বেতপত্র জমা
তা ছাড়া দেশের ১১৬ আলেম ও ইসলামি বক্তার দুর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি শ্বেতপত্র জমা দেয় গণকমিশন। গণকমিশনের এই তালিকা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে। পরবর্তীতে ১১৬ আলেমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত হলেও সেটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।

ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পদের হিসাবের অনুসন্ধান
দুর্নীতি দমন কমিশন বিভিন্ন সময় সন্দেহভাজনদের সম্পদের হিসাব নেওয়া, জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যা ফলাও করে প্রচারও করা হয়। কিন্তু দুদকের মামলায় গত পাঁচ বছরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ৯৭ শতাংশের বেশি ছোট পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধি। এ তালিকায় হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া উচ্চ পর্যায়ের সরকারি আমলা, মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী কেউ নেই বললে চলে।

বেড়েছে অভিযোগ, কমেছে অনুসন্ধান-মামলা
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে দুদকে ১৮ হাজার ১৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ডিসেম্বর মাসে অভিযোগের সংখ্যা আরও বাড়বে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ৮৪০টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করেছে কমিশন, যা মোট জমা হওয়া অভিযোগের ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এসব অভিযোগের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে ৩ হাজার ৬০টি অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ১৪ হাজার ১১৯টি অভিযোগ কোনো কার্যক্রমের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।

চলতি বছর দুদকে আসা মোট অভিযোগ থেকে মাত্র সাড়ে চার শতাংশ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়েছে। দুদকের এখতিয়ার বহির্ভূত মর্মে মোট অভিযোগের ৭৮ শতাংশই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। ২০২১ সালের দুদকে মোট ১৪ হাজার ৭৮৯টি অভিযোগ জমা পড়ে। অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয় ৫৩৩টি।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ মাসে দুদক ৩৫৪টি অভিযোগ অনুসন্ধান করেছে। একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩১২টি অভিযোগ। সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি ৮৯টির, এফআইআর ২৭৬টি, চার্জশিট ১৬২টি আর চূড়ান্ত প্রতিবেদন হয়েছে ৭৮টি অভিযোগের।

দুদকে বর্তমানে অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে ৩ হাজার ৫৭৮টি অভিযোগ। চলমান মামলা আছে ১ হাজার ৬৯৯টি। মেয়াদোত্তীর্ণ অনুসন্ধান ও মামলা আছে যথাক্রমে ৭২৪ ও ১৫৭টি। মেয়াদোত্তীর্ণ অনুসন্ধান ও মামলার শতকরা হার ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থ-পাচার, ব্যাংক-বিমা সংক্রান্ত অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে এসব অনুসন্ধান ও মামলা চলছে।

অভিযোগের তুলনায় অনুসন্ধান কম হওয়ার কারণ জানিয়ে দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক জানান, সব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য নিতে পারি না। কারণ, যেসব অভিযোগ আসে তার বড় অংশই দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। দুদকের সেসব অভিযোগ গ্রহণের এখতিয়ার নেই।

কেএম/এসএন

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি