পলাতক আসামি দাঁত ভাঙা পলাশ গ্রেপ্তার
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক হত্যা মামলাসহ ১০টিরও বেশি মামলার দীর্ঘদিনের পলাতক মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি পলাশ গাজী ওরফে জালাল গাজী ওরফে দাঁত ভাঙা পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব বলছে, দাঁত ভাঙা পলাশ একাধিক হত্যা মামলার পলাতক আসামি। বিভিন্ন মামলায় দণ্ড নিয়ে বাসা বদলে এক যুগ আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর একটি দল।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব বলছে, বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তিনি নারায়ণগঞ্জ, কাঁচপুর, উত্তরা ও শ্যামবাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বদল করে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পলাতক থাকা অবস্থাতেও তিনি ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে দল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করতেন। মূলত রাতে সিএনজি চুরি, ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি এবং ভাড়ায় খুন ও মারামারি ছিল নিয়মিত ঘটনা। একাধিক মামলায় একাধিকবার কারাভোগ করেছেন পলাশ।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারি থানায় গভীর রাতে মুখোশ পরে একই পরিবারের চার জনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাশ গাজী।
এ ছাড়া, একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত তিনি। পলাশ পটুয়াখালীর বাউফল নেমদীর মো. চাঁন্দু গাজীর ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার পলাশ গাজী ২০১০ সাল থেকে ডাকাতি, মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করতেন।
কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার পলাশ গাজীর কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। সে ১৯৯০ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে একটি গ্যারেজে কাজ করত। পরে ট্রাকের হেলপারির পাশাপাশি মাঝে মাঝে চালকের ভূমিকা পালন করতেন।
পলাশ ১৯৯৫ সাল থেকে লাইসেন্স ছাড়া কাভার্ডভ্যান চালাতেন। পেশায় মূলত একজন ড্রাইভার হলেও ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল। ২০০৯ সালে তিনি একটি পুরোনো মাইক্রোবাস কেনে চালানো শুরু করেন। মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় মাদকের চালান সরবরাহ করতেন।
মিডিয়া উইংয়ের এর পরিচালক আরও বলেন, এ ছাড়া, আসামি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালে তার নেতৃত্বে কয়েকজন সহযোগীসহ তিনি ভাড়াটে সন্ত্রাসীর একটি দল তৈরি করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে ডাকাতি, খুন, মারামারিসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাতেন।
বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা এবং ওয়ারেন্ট থাকায় তিনি নারায়ণগঞ্জ, কাঁচপুর, উত্তরা ও শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসা বদল করে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এমএমএ/
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)