কনডেম সেলে সেলফোন: কারা কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর কনডেমড সেল থেকে সেলফোন উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিকে আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কারাগারের ওই কনডেম সেলে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনসহ তিন বন্দী থাকতেন।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার আবদুল জলিল।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৫ জানুয়ারি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর কনডেম সেলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে একটি সেলফোন উদ্ধার করা হয়। সেলফোনটি ব্যবহার করতেন নূর হোসেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি কিভাবে এই সেলফোন পেলেন তা উদঘাটনে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রধান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর উপতত্ত্বাবধায়ক ও জেলার উম্মে সালমা, সদস্যসচিব ডেপুটি জেলার নুরুল মবিন ও সদস্য প্রধান কারারক্ষী মো. আসাদুজ্জামান। এই কমিটিকে আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এরআগে, ২০১৪ সালের এপ্রিলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর তিন দিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করেন। পাশাপাশি সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
এনএইচ/এএস