রিয়াদ এলাকার চিহ্নিত বখাটে: র্যাব
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের দুই কিশোরী গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদ এলাকায় চিহ্নিত বখাটে হিসেবে পরিচিত বলে জানিয়েছে র্যাব।
রিয়াদকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সোলায়মান হোসেন রিয়াদ এলাকায় চিহ্নিত বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে এলাকায় ১০-১৩ জনের একটি বখাটে দলের নেতৃত্ব দিত। সে ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে এলাকার স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা অতিষ্ঠ। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করারও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মঈন বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া স্কুল পড়ুয়া গারো সম্প্রদায়ের দুই কিশোরী পার্শ্ববর্তী গ্রামের বিবাহের অনুষ্ঠান শেষে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। রিয়াদ ও তার সহযোগীরা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে অনুসরণ করে দুই কিশোরীকে বাড়িতে ফেরার পথিমধ্যে গণধর্ষণ করে।
একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করে ঘাতকরা। লোক লজ্জায় ও প্রাণনাশের ভয়ে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি গোপন রাখে ভুক্তভোগী পরিবার। অতঃপর গত ৩০ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পরিবার মামলা দায়ের করে।
র্যাব মিডিয়া পরিচালক আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সোলায়মান হোসেন রিয়াদের নামে হালুয়াঘাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মাদক চোরাচালান মামলা চলমান রয়েছে। ইতোপূর্বে সে পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয় এবং কারাভোগ করে। তার সহযোগী এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে এলাকায় মাদক কারবারী এবং গ্রুপভিত্তিক বিভিন্ন চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
রিয়াদ রাজনৈতিক কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এই পরিচালক বলেন, তার বাবাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপরিউক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এনএইচ/টিটি