‘ক্লুলেস’ হত্যাকাণ্ডের রহস্যজট ছাড়াল সিআইডি
নরসিংদীর রায়পুরায় ধান ক্ষেত থেকে গৃহবধূর চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার হয় ১৩ ডিসেম্বর। তবে রহস্য উদঘাটনে কোনো সূত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না তদন্ত কর্মকর্তারা। অবশেষে জট খুলে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন- মো. খোরশেদ মিয়াক ও আব্দুর রাজ্জাক খান।
রোববার (২ জানুয়ারি) সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, নিহত গৃহবধূর নাম রুনা আক্তার। তিনি সৌদি প্রবাসী আবুল কালাম মিয়ার স্ত্রী। নিহত রুনা আক্তার ও কালাম মিয়ার সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুনা বাবার বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৮ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নম্বর বন্ধ পান। পরে ১৩ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় লোকজন গ্রামের ধান ক্ষেতে রুনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, এ ঘটনায় সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। তারা জানতে পারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি মো. খোরশেদ মিয়াকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা এবং আব্দুর রাজ্জাক খানকে নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদসহ আরো অনেকে।
এর আগে নিহতের বাবা মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া অজ্ঞাতনামা আসামি করে নরসিংদীর রায়পুরা থানা মামলা করেন।
এনএইচ/এসএন