কবির বাহিনীর প্রধান গাংচীল কবির গ্রেপ্তার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কবির বাহিনীর প্রধান কবির হোসেন ওরফে জলদস্যু কবির ওরফে গাংচীল কবিরকে সাত সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে কবির বাহিনীর প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার সাত সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেল, মো. আমির হোসেন, মো. মামুন, মো. রিয়াজ, মো. মেহেদী হাসান, মো. মামুন ওরফে পেটকাটা মামুন ও মো. বিল্লাল। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন, একটি ছোরা, একটি চাকু, একটি স্টিলের গিয়ার হোল্ডিং ছুরি, একটি লোহার পাইপ, চারটি চাপাতি, ৪১৭ পিস ইয়াবা ও সাতটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, এ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২০-২২ জন। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা সন্ত্রাসী,মাদক কেনাবেচা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করছেন। ১৯৯০ সালে কবির তার পরিবারসহ বরগুনা থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে প্রথমে তার বাবার সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে তিনি গাড়িচালক, হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করেন। ২০১০ সালে গাংচীল সন্ত্রাসী বাহিনীতে যোগ দেন। এ বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তার অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয়। ওই বাহিনীর সঙ্গে তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে মালবাহী নৌকা ও ট্রলারে চাঁদাবাজি শুরু করেন। এক সময় ‘জলদস্যু’ হিসেবে পরিচিত হন।
এর পর র্যাবের অভিযানে গাংচিল বাহিনীর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। ২০১৬ সাল থেকে কবির বাহিনী নামে দুর্ধর্ষ এক বাহিনী গড়ে তোলেন। গ্রেপ্তার কবির বখে যাওয়া ছেলেদের তার বাহিনীতে নিতেন। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বসিলা, চাঁদ উদ্যান ও এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত কবির বাহিনী। এ ছাড়াও জবর দখল, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করে কবির। সে ২০১৮ সালে প্রথম গ্রেপ্তার হয় হত্যা, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি, মারধরসহ ২৪টি মামলার আসামি।
এনএইচ/এসএন