শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার নারী

প্রাণরক্ষার খাতিরে চিঠিতে যা লেখা ছিল তাই বলেছি

কক্সবাজারে নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী নারী৷ পুলিশ নয়, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা যেন অন্য কারও সঙ্গে আর না ঘটে সেটাই চাই৷’ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মুঠোফোনে এসব কথা বলেন কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী এবং মামলার বাদী তার স্বামী।

চার দিন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ তত্ত্বাবধানে থাকার দাবি করে তারা বলেন, ‘আমরা এখন ঢাকাতে আছি। রবিবার রাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আমাদের গ্রীন লাইনের বাসে তুলে দেয়।'

মামলার এজাহার ও আদালতের ভিকটিমের স্বীকারোক্তির গড়মিলের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর থানায় একদল যুবক আমার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দেয়। চিঠিতে যা লেখা আছে সে অনুযায়ী না চললে আমাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। জীবন বাঁচাতেই আমার স্ত্রী আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছে।’

এ সময় তারা কক্সবাজারে তিনমাস থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও তার স্ত্রী কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী এ সময় বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার থানার সামনে আমার স্বামীকে হাতে লেখা একটি চিঠি ধরিয়ে দেয় অপরিচিত একদল যুবক। চিঠিতে লেখা কথা অনুযায়ী কথা না বললে সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। এরপর আমি স্বামী-সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আদালতে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলাম।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীও আমার উপর চাপ দিয়েছিলেন চিঠিতে লেখা কথা অনুযায়ী কথা বলতে। নইলে আমাকে তালাক দেবেন।’

ধর্ষণের মূল হোতা আশিকের সঙ্গে তার পূর্ব পরিচয় ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে আশিকের সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচয় ছিল না। আশিকের নেতৃত্বে প্রথমে ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে এবং পরবর্তীতে হোটেল জিয়া গেস্ট ইনে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে কয়েকজন। এ সময় আশিকসহ অন্যরা আমাকে বর্বর নির্যাতন ও মারধর করে। পরনের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে।’

মূল হোতা আশিকসহ সবার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‌‘আমরা চাই আমাদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা যেন অন্য কারও সঙ্গে আর না ঘটে। যেন সৈকতে ভ্রমণ করতে এসে অন্য কারও এই পরিণতি না হয়।’

ভুক্তভোগীর স্বামী মামলার বাদী বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর থেকে টানা চারদিন আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশের তত্ত্বাবধানে। এ সময় কারও সঙ্গে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। খাবার-দাবার ঠিকভাবে দেওয়া হলেও এই চারদিন একবারও গোসল করা হয়নি। তাই আমরা চেয়েছিলাম, যেভাবে হোক কথাবার্তা বলে কক্সবাজার ত্যাগ করি। এখন ঢাকায় পৌঁছেছি, সবকিছু প্রকাশ করা হবে। প্রকৃত ঘটনা থানায় দায়ের করা মামলাতেই লিপিবদ্ধ আছে।’

৯৯৯-এ কল দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার বাদী বলেন, ‘একবার নয়, তিন দফায় ৯৯৯ এ কল দিলেও সহযোগিতা পাইনি। পরে র‌্যাবকে কল দিই। র‌্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের উদ্ধার করে।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বেলা আড়াইটা পর্যন্ত র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আশিককে ট্যুরিস্ট পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। মামলার বাদী ও ভিকটিম রবিবার রাতের বাসে ঢাকায় ফিরে গেছেন।’

এ প্রসঙ্গে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আনা হচ্ছে। হাতে এলে মামলার তদন্তকারী ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

ভিকটিম ও মামলার বাদীর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

টিএ/এএন

Header Ad
Header Ad

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি: সংগৃহীত

পরিবারের অভাব ঘোচাতে রাশিয়ার পথে পা বাড়িয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যুবক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫)। কিন্তু তার সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি, বরং ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাশিয়া থেকে আকরামের এক সহযোদ্ধা তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে মৃত্যুর খবর জানান।

আকরাম হোসেন আশুগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের দিনমজুর মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ মাস আগে ধারদেনা করে রাশিয়ায় পাড়ি জমান আকরাম। প্রথমে একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করলেও বেতন কম হওয়ায় এক পর্যায়ে দালালের প্রলোভনে পড়ে রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেন তিনি।

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময় তিনি নিজের ফেসবুকেও বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। তবে পরিবারের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও আকরাম জানান, আর ফিরে আসার সুযোগ নেই তার।

১৩ এপ্রিল থেকে আকরামের সঙ্গে পরিবার এবং রাশিয়ায় থাকা পরিচিতজনদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৮ এপ্রিল আকরামের এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। তার ইউনিটের আরও কয়েকজন সদস্য একই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

আকরামের মা মোবিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের কণ্ঠ শুনি না বহুদিন, এখন তো আর শোনার সুযোগও থাকল না।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবার সূত্রে জানতে পেরে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রফিককে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বোগদহ কলোনি এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি বুলবুল ইসলাম।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আটক করা হয়।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ