বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫০ সহকারী পরিচালকের আবেদন শুরু
ব্যাংকের : বাংলাদেশ ব্যাংক।
পদের নাম : সহকারী পরিচালক (জেনারেল)।
পদের সংখ্যা : আড়াইশটি।
উল্লেখ্য : বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুসারে পদের সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে।
বেতন স্কেল : ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা পর্যন্ত।
গ্রেড লাভ করবেন : ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে নবম গ্রেড।
সুবিধাদি : এর বাদেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আবাসন, গাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ইত্যাদি প্রদেয় সব সুবিধাদি লাভ করবেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে অনার্স বা অনার্সসহ মাস্টাস। উল্লেখ্য, পাবলিক পরীক্ষার অন্তত দুটিতে অবশ্যই প্রথম বিভাগ বা সমমানে পাশ হতে হবে। অনার্সের জিপিএতে ৩.০০ প্রথম শ্রেণী হিসেবে ৪.০০’র মধ্যে প্রথম শ্রেণী গণ্য হবে। এসএসসি ও এইচএসসির ক্ষেত্রে ৫.০০’র মধ্যে ২.২৫ থেকে ৩.০০ দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমানের এবং এর বেশি প্রথম বিভাগ বলে গণ্য হবে। এর কম তৃতীয় শ্রেণী বলে গণ্য হবে।
আবশ্যক : শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণী গ্রহণযোগ্য নয়।
আবেদনের নিয়ম : ১১ মে ১৯২২ থেকে বয়স হিসাব করে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আবেদনের সময়ে বয়স হতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্তদের বয়স : ৩২ বছর। ১১ মে, ১৯৯০ সাল এবং এরপর জন্ম হতে হবে।
আবেদনের পদ্ধতি : https://erecruitment.bb.org.bd-এই অনলাইন থেকে যাদের সিভি এখানে দেওয়া আছে তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনপত্র শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটানুসারে পূরণ করতে হবে। নাম, পিতা ও মাতার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতাগুলো, মোবাইল, ঠিকানা ইত্যাদি যেকোনো তথ্যে কোনো ভুল বা অসামঞ্জস্য থাকলে নিজের উদ্যোগে প্রার্থীকে ঠিক করে দিতে হবে। যারা এই ঠিকানায় আবেদনপত্র বা সিভি জমা দেননি, তারা এর নির্দেশনা অনুসারে আবেদনপত্র পত্র তৈরি করে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর ও ছবি আপলোড করবেন। ছবি দুটি ক্ষেত্রেই রঙিন দিতে হবে। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ও প্রার্থীর স্বাক্ষর অবশ্যই সাদা থাকতে হবে। এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এভাবে আবেদনে কোনো ভুল বা অসামঞ্জস্যতা থাকলে সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। কোনো যোগাযোগ করা ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবেদন বাতিল করবেন।
মনে রাখবেন : আবেদনের স্থায়ী ঠিকানায় সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌরসভা মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর বা নোটারি পাবলিকের নাগরিকত্বের সনদ সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। বিবাহিত নারীদের সেভাবে আবেদন করতে হবে স্বামীর সঙ্গে থাকা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে।
উল্লেখ্য : অনলাইনে আবেদনের পর সঠিক হলে সিভি আইডেনটিফিকেশন নম্বর, ট্রাকলিং নম্বর ও পাসওয়ার্ড নম্বর দেওয়া হবে। সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। কেননা বাকিসব কাজে এই পাসওয়ার্ডগুলো প্রয়োজনীয় হবে। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও অনলাইনে জানানো হবে। এরপর আর প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না।
নিয়মাবলী : নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে। পাশ নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে প্রযোজ্য হবে। ওএমআর ফরম, উত্তরপত্রের রোল, বৃত্ত ভরাট ও হাজিরা লিটে পরীক্ষাগুলোর সময় অবশ্যই প্রার্থীকে অংশগ্রহণ করতে হবে। নচেৎ উত্তরপত্র বিবেচিত হবার সুযোগ নেই। লিখিত নয়, মৌখিকের সময় সত্যায়িত সার্টিফিটেগুলো প্রদশন করতে হবে। সেগুলো যাছাই করা হবে। এরপর অংশগ্রহণ করবেন। চূড়ান্তভাবে নির্বাচনের পর কোনো ভুল বা মিথ্যা তথ্যবাদে সঠিক পরীক্ষার প্রমাণাদিগুলো জমা দিতে হবে। চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। সেটি মৌখিকে প্রদর্শন করতে হবে। নচেৎ তারা পরীক্ষাটি দিতে পারবেন না ও পরের ধাপগুলোতে গ্রহণযোগ্য হবেন না।
কোটা : বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটা আছে ও সরকারী নিয়মে এই প্রতিষ্ঠানের নিয়মে সেগুলো প্রযোজ্য হবে।
দ্রষ্টব্য : বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞাপন ১৪ মে, শনিবার, পৃষ্ঠা ৬ বাংলাদেশ প্রতিদিন।