মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে সাদপন্থীদের অবস্থান

ছবি: সংগৃহীত

মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দেয়ার দাবিতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন সাদপন্থীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে সড়কে অবস্থান নেন তারা।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) তাবলিগ জামাতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বি মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দেওয়ার দাবিতে ওই সড়কে অবস্থান করেন সাদপন্থীরা। এতে ওই এলাকার সড়কগুলোতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

জানা গেছে, আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের উপস্থিতি চান তার অনুসরারীরা। তবে মাওলানা সাদের আসার অনুমতি না মেলায় সকালে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে সড়কে অবস্থান নেন তারা।

সড়কে অবস্থান নেওয়া তাবলিগ জামাতের একজন মুরুব্বি সকাল ৯টার দিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তারা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাদের ১০ জনের একটি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যাবেন।

তিনি আরও বলেন, মওলানা সাদ সাহেবকে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা যাচ্ছি। গত সাত-আট বছর ধরে আমাদের ওপর অনেক জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছে। আমাদের আমিরের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে বাংলাদেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। মাওলানা সাদের ব্যাপারে কোনো প্রকার বাধা-বিপত্তি আমরা আর মানতে রাজি না।

উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াছ (রাহ.)-এর ছেলে মাওলানা হারুন (রাহ.)। তারই ছেলে মাওলানা সাদ কান্ধলভী। তাবলিগ জামাতের জুবায়েরপন্থীদের দাবি, মাওলানা সাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি তার এসব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে দুই দলে বিভক্ত তাবলিগ জামাত।

Header Ad

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন। তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক তা বিএনপি চায় না।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করলেও আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে চূড়ান্ত ধাক্কা দিতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। গত ১৫ বছরে দেশের সব অর্জন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক তা বিএনপি চায় না।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসাকেই মূল অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সংখ্যালঘুদের নিয়ে, গার্মেন্টস নিয়ে এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একটা নির্বাচিত সরকার থাকলে এ ষড়যন্ত্র করা যাবে না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ক্ষমতার জন্য নয়, দ্রুত নির্বাচন না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। পরবর্তী পরকল্পনা নিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

জনগণের নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের নামে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন সবাই দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু এতদিন স্বৈরাচারের সামনে কেউ এসব দাবি জানায়নি। রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এমন সংকট তৈরি হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সরকারে এখন যাঁরা আছেন তাঁরা একেক সময় একেক কথা বলছেন। এসব না বলে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

Header Ad

ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক

ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে: কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী।

সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, সোমবার রাতে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, যশোরের বাড়িতে শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এরই প্রেক্ষিতে আনুমানিক রাত ১১.৩০ টায় অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় শিকারপুর বিওপির টহলদল সীমান্তবর্তী বেতনা এলাকায় বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে গাজীপুর মহানগরীর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরনকে আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।

আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি স্থানীয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য নূর নবী'র মাধ্যমে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে সীমান্তে এসেছিলেন।

আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে যশোরের শার্শা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

Header Ad

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে পুনর্বিবেচনার সুযোগ না থাকলে দেশের স্বার্থবিরোধী এই চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালত বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমরা ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক চাই।

রিটকারি আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম শুনানিতে বলেন, এই চুক্তিতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি। আদানির স্বার্থ দেখা হয়েছে। প্রতারণামূলক একটি চুক্তি এটি।

পরে হাইকোর্ট এই চুক্তির সকল নথি এক মাসের মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন। এক মাসের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় সবার আগে দেশ উল্লেখ করে দেশের স্বার্থ রক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেন হাইকোর্ট।

এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে সব চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের করা এই চুক্তিকে দেশের স্বার্থবিরোধী ও অসম বলে উল্লেখ করা হয় রিটে। গত ৬ নভেম্বর আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ২০১৭ সালে আদানি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করে সরকার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন: মির্জা ফখরুল
ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস, প্রিয় পুরুষকে দিতে পারেন উপহার
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারালো স্পেন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে সাদপন্থীদের অবস্থান
নবীনদের বরণ করে নিবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
তিতুমীর কলেজে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ
সংসদ সচিবালয় পরিচালনায় অতিরিক্ত ক্ষমতা পেলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হিজবুল্লাহ
শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
সাতসকালে টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ঝরে গেল ৪ জনের প্রাণ
আরও ৫ সংস্কার কমিশন গঠন করল অন্তর্বর্তী সরকার
উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার
নতুন করে কার প্রেমে মজলেন পরীমনি!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাধা থাকছে না
ভারতীয় চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ
পা‌কিস্তানের হাইক‌মিশনারের সেল‌ফিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ