বাসে আগুন দেওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আরও ১
রাজধানীর রামপুরায় কয়েকটি বাসে বিক্ষুব্ধ জনতার অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই।
বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় রামপুরা থানা–পুলিশের করা মামলায় শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত সন্ধ্যার দিকে স্বপন রেজা (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর শহিদ ব্যাপারী (২২) নামে আরেক জনকে বাসে অগ্নিসংযোগের দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জের ধরে গত সোমবার কয়েকটি বাসে বিক্ষুব্ধ জনতা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে রামপুরা ও হাতিরঝিল থানায় দুটি মামলা করে। সেখানে অজ্ঞাত ৮০০-৯০০ জনকে আসামি করা হয়।
বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের এই মামলায় প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বপন ব্যক্তিগত গাড়ির (প্রাইভেটকার) চালক। আর শহিদ তার বাবার সবজি ব্যবসায় সহায়তা করেন। এদের মধ্যে স্বপনকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর থেকে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলস্বরূপ। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৮ নভেম্বর থেকে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলন চলাকালে ২৪ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হন।
এরপর থেকে নিরাপদ সড়ক, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়াসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হন রামপুরার একরামুন্নেসা স্কুলেরএসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মাঈনুদ্দিন।
এ ঘটনায় রাতে উত্তেজিত জনতা ও বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে আরও চারটি বাস।
এনএইচ/এএন