‘রাতে অগ্নিসংযোগ হামলা ও লুটপাট গণহত্যার প্রচেষ্টা’
লামার রেংইয়েন ম্রো কার্বারী পাড়ায় রাতের আধারে অগ্নিসংযোগ, হামলা এবং লুটপাত একটি গণহত্যার প্রচেষ্টা। এই গণহত্যার বিচার চাই। যদি বিচার না পাই, যদি রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়া মানুষগুলো প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলে সেই দায় কিন্তু রাষ্ট্রকে নিতে হবে। কেননা, এই লামার ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের দস্যুতার কারণে আমরা ইতোমধ্যে এখানে বারবার সমবেত হয়েছি।
বান্দরবানে ‘লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড’ কর্তৃক লামা উপজেলা সরই ইউনিয়নে রেংইয়েন ম্রো কার্বারী পাড়ায় বার বার অগ্নিসংযোগ ও হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ এসব কথা বলেন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
মঙ্গলবার(৩ জানুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিপি এবং আদিবাসী ছাত্র সংগ্রামের পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। রাখেন স্বাগত পিসিপি ঢাকা পলিটেকনিক শাখার সভাপতি রুবেল চাকমা।
বক্তারা বলেন, ‘আজ আমরা নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই এখানে হাজির হয়েছি। বারবার মিছিল সমাবেশ করছি। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবুও আমরা অন্যায় এবং অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই যাব।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করাসহ পাহাড়ের প্রকৃত সমস্যা সামধানের স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানান।
তারা বলেন, লামার ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ষড়যন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলে এসব ঘটনা বারবার ঘটছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চ্যুং য়্যুং ম্রো বলেন, তারা বারংবার হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন সবসময় আশ্বাস দেয় কিন্তু সেই আশ্বাস কখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এরজন্য রাষ্ট্রকে জবাব দিতেই হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রেং ইয়ং ম্রো বলেন, লামার ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের দস্যুতার কারণে আমরা ইতোমধ্যে এখানে বারবার সমবেত হয়েছি। সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আমলা, সাবেক সেনা সদস্যরা নামে মাত্র কোম্পানি খুলে তাদের উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি করছে?
স্থানীয় প্রশাসন ম্রো ত্রিপুরাদের সাহায্য করার বদলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। স্থানীয় থানার এস আই শামীম স্থানীয়দের অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে। প্রগতিশীল মানুষদের উদ্যোগে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সেখানেও প্রশাসন বাধা দিয়েছে।
এনএইচবি/