যাত্রী নেই সদরঘাটে, লঞ্চ চলাচল ব্যাহত
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকলেও টার্মিনালে দেখা দিয়েছে যাত্রী সংকট। বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করায় যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। তবে যাত্রী আসলেই স্বাভাবিকভাবে লঞ্চ চলবে বলে জানান তারা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পন্টুনে লঞ্চ থাকলেও নেই চিরচেনা হাঁকডাক। যাত্রীর আনাগোনা না থাকায় বেকার সময় পার করছেন কর্মচারীরা। চাঁদপুরগামী যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার।
ঘাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর থেকে বিভিন্ন রুট থেকে ঢাকায় এসেছে মাত্র ৫টি লঞ্চ এবং ছেড়ে গেছে ২টি লঞ্চ। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রী সংখ্যা ছিল সীমিত। এর মধ্যে চাঁদপুর থেকে ২টি, বরিশাল থেকে ১টি, ভোলা থেকে ১টি, হাতিয়া থেকে ১টি পন্টুনে নোঙর করেছে এবং সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ২টি লঞ্চ। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রী সংখ্যা ছিল নামমাত্র।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৭০-৭৭টি লঞ্চ ছেড়ে যায় এবং সমান সংখ্যক লঞ্চ আসে। তবে শুক্রবার ঘাট থেকে মাত্র ৬টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আর আজ সকালে এসেছে মাত্র ৫টি।
বরিশাল থেকে সকালে ঢাকায় আসা পারাবত-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার কাওসার বলেন, বিএনপির সমাবেশের জন্য মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে তাই যাত্রী কম। মাত্র ১০০ যাত্রী নিয়ে এসেছি। যেখানে ৫০০ এর নিচে যাত্রী থাকে না। যাত্রী না থাকায় এই রুটে একটি মাত্র লঞ্চই এসেছে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, যাত্রী না পেলে তো লঞ্চ চলবে না স্বাভাবিক। যাত্রী হলেই লঞ্চ যাচ্ছে, আসছে। আমাদের তো লঞ্চ না চললেই লস। গতকাল রাতে বরিশালে মাত্র একটি লঞ্চ গেছে। আজ সকালেও একটাই এসেছে। সব লঞ্চেই যাত্রী ১০০ এর নিচে। লঞ্চ বন্ধ রাখার বিষয়ে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যাত্রী সংকটে কেউ লঞ্চ বন্ধ রাখলে বা চালু রাখলে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, সরকার কোনো দুর্যোগ বা বৈশ্বিক সমস্যা ছাড়া লঞ্চ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় না। যাত্রী সংকট থাকলে লঞ্চ মালিকরা যদি লঞ্চ না চালাতে চান সেটা তাদের ব্যাপার। বরিশাল-ভোলা থেকে যেসব লঞ্চ এসেছে ১০-১৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে এসেছে।
সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান বলেন, ঘাটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।
এসজি