চিকিৎসকদের মানসম্মত সেবা দেওয়ার আহ্বান মেয়র আতিকের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'পড়ালেখা শেষ করে সাদা এপ্রোন পড়েই ডাক্তাররা মানবসেবার জগতে প্রবেশ করেন। মানবসেবাই পরম ধর্ম। ডাক্তার হতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ডাক্তার হয়। মানুষকে ভালোবেসে সুন্দর ব্যবহার করে সেবা দিতে হবে। মানসিক প্রশান্তি দিতে হবে রোগীকে। রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে।'
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ পাঠ শেষে ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করেন ডিএনসিসি মেয়র।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, 'উন্নত দেশে যেমন উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় আমরা আপনাদের মাধ্যমে আমাদের দেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই। অল্প খরচে গুণগত চিকিৎসা দেওয়াই লক্ষ্য হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে অনেক ডাক্তার নিয়েোগ দিয়েছেন। আপনারাও ভালো ডাক্তার হবেন। দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।'
এসময় মেয়র বলেন, 'অনেক হাসপাতালে টেস্ট বাণিজ্যের কথা শুনে থাকি। চিকিৎসকদের টেস্ট বাণিজ্য নয় প্রকৃত সেবা দিতে হবে। একজন রোগীকে সেবার মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। একই রিপোর্ট বারবার করা বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় টেস্ট করতে হবে। তবে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট পরিহার করতে হবে।'
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসাসেবা ছড়িয়ে দিতে হবে মন্তব্য করে মেয়র আতিক বলেন, 'তাদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রান্তিক জনগণের পরিশ্রম ও অবদানের ফলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প খরচে তাদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।'
মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হাসপাতাল স্বল্প খরচে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে জেনে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি নগর পিতা না বরং আমি নিজেও একজন সেবক। নগর সেবক হিসেবে নগরবাসীর সেবা করে যাচ্ছি। করোনা মহামারির সময় মানুষকে চিকিৎসা দিতে আমরা ডিএনসিসির মার্কেটকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করি। মার্কেট থেকে আমরা ২০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ করতে পারতাম। টাকার দিকে না তাকিয়ে মানুষের সেবার দিকে গুরুত্ব দিয়ে ২৫৮টি দোকানের বরাদ্দ বাতিল করে দেই। আমরা ১ হাজার বেড সম্পন্ন হাসপাতালটি নির্মাণ করি। এখানে ২১২টি আইসিও বেড রয়েছে। করোনা রোগীর সংখ্যা এখন অনেক কম। আমরা এই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছি।'
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
আরইউ/এসজি