সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০ ডিসেম্বর খোলা মাঠেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে: ডিএমপি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের বিষয়ে ডিএমপির সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য হলো, খোলা মাঠেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে। আইন ভঙ্গ করে রাস্তার ওপরে সমাবেশ করতে চাইলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিষয় সামনে রেখে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান– কালশীতেও এক মাঠ আছে। ঢাকা শহরে যদি এমন বড় মাঠ আরও থাকে তাহলে তারা সেখানে জনসমাবেশ করতে পারেন। তবে কোনোভাবেই জননিরাপত্তা বিঘ্নিত এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে অথবা কোনো রাস্তার ওপরে আমরা সমাবেশের অনুমতি দিতে পারছি না। আমরা সোহরাওয়ার্দীতে অনুমতি দিয়েছি। হয়তো তারা সোহরাওয়ার্দীতে যাবেন অথবা চাইলে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য মেলার মাঠে অথবা বিশ্ব এজতেমার মাঠেও যেতে পারেন।’

জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না করে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সমাবেশ করলে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ রকম বড় বড় মাঠ ছাড়া ১০ লাখ লোক নিয়ে জনসমাবেশ করার জায়গা ঢাকাতে নেই। জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে এর দায়িত্ব নিতে আমরা রাজি নই।

তিনি বলেন, ‘আমি আবারও তাদের অনুরোধ করছি, আপনাদের রাজনৈতিক সমাবেশ করার যে অধিকার সেই আইনের মধ্যে থেকেই সমাবেশ করবেন। আমরা সেটা বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে। তখনো পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। এখন যদি তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে তাহলে সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ডিএমপি পুলিশের। তাদের নিরাপত্তার সামন্যতম কো ঘাটতি হবে না। যদি আইন ভঙ্গ করে রাস্তার ওপরে সমাবেশ করতে চান, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখনো সময় আছে যদি সিদ্ধান্ত বদল করে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যায় তাহলে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়বে না। ১০ তারিখের মধ্যে সিদ্ধান্ত না জানালে আমাদের আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের সমাবেশ ১০ তারিখে। আজকে অফিস ডে। এ সময়ে তারা নয়াপল্টনে রাস্তা দখল করে সমাবেশ করছেন। যানবাহনের চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে কোনো সমাবেশ নয়। আজকে যে তারা জমায়েত হয়েছেন এইটা আমি মনে করি কোনো আইনানুগ কাজ করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে চাল-ডাল, লাঠি, ককটেল জমা করা হয়েছে খবরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আজ একটা অফিসিয়াল ডে। পূর্বানুমতি ছাড়া সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ সোয়াত ও এম১৬ (একটি অ্যাসল্ট রাইফেল) ব্যবহার করা হয়েছে।’

কেএম/এমএমএ/

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।

Header Ad

সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের চতুর্থ বর্ষ স্নাতক পরীক্ষার সময়সূচি থেকে মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। তবে স্থগিত করা পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগির ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া পূর্বঘোষিত সময়সূচির অন্যান্য পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রবিবার ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি করেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীরা। ফলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন। যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad

সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন। ছবি: সংগৃহীত

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি), কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। এর জেরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে সংঘর্ষের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি), কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেলা ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। সংঘর্ষে আহত হয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের