সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পুরান ঢাকায় দেয়ালজুড়ে বিশ্বকাপের উন্মাদনা

খেলা নিয়ে উচ্ছ্বাস উন্মাদনায় বাঙালি বরাবরই শীর্ষে। আর ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাঙালির এই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরান ঢাকার অলিগলিতে। সূত্রাপুরের হেমেন্দ্রদাস রোড থেকে পূর্ণচন্দ্র ব্যানার্জি লেন পর্যন্ত দেয়ালে দেয়ালে প্রিয় তারকা ও দেশের পতাকার চিত্র যেন জানান দিচ্ছে ফুটবল নিয়ে বাঙালির আবেগকে।

ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকা সেজেছে নতুন সাজে। পুরান ঢাকার প্রায় সব অলিতে গলিতে, বাসার জানালা ও ছাদে বসেছে রঙের মেলা। প্রিয় দেশকে সমর্থন করতে সর্বত্রই দেখা মিলছে সেই দেশের পতাকা। ফুটবল বিশ্বকাপের এই রঙ পূর্ণতা পেল শিংটোলা তরুণ জাগরণ সংঘের ব্যতিক্রমী দেয়াল চিত্রকর্মের উদ্যোগে।

লিওনেল মেসি, নেইমার, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, পেলের চিত্রকর্ম কিংবা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, জার্মানির পতাকা কী নেই এই দেয়াল চিত্রে। সর্বত্রই যেন বিশ্বকাপের উন্মাদনা। আর এই দেয়াল চিত্র স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জন্য নিয়ে এসেছে বিশ্বকাপের এক নতুন আমেজ।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এই সব কিংবদন্তি ও বিশ্বকাপ খেলা দেশের পতাকার মাঝে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের পতাকা ও বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার চিত্রকর্ম। যা জানান দিচ্ছে বিশ্বকাপ না খেলেও বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের প্রতি তরুণ সমাজের আস্থা ও সম্মান।

জানা যায়, দেয়াল চিত্রের খরচ যোগাতে বাড়ি বাড়ি ও দোকানপাটগুলোতে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেন শিংটোলা তরুণ জাগরণ সংঘের সদস্যরা। সেই অর্থ দিয়ে প্রয়োজনীয় রঙ সামগ্রী কিনে নিজেরাই বিভিন্ন খেলোয়াড় ও দেশের পতাকা অঙ্কন করেন।

শিংটোলা তরুণ জাগরণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্লাবন খান বলেন, ‘ফুটবল বিশ্বকাপ ৪ বছর পর এসেছে। সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে উন্মাদনা। আমরা একেকজন একেকটি দল সাপোর্ট করি কিন্তু এই উদ্যোগে সবাই এক হয়েই কাজ করেছি। তাই তো বিশ্বকাপ ফুটবলকে আমরা দেয়ালচিত্রে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।’

সূত্রাপুরের হেমেন্দ্রদাস রোড থেকে পূর্ণচন্দ্র ব্যানার্জি লেনের এই দেয়াল চিত্র দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন। কেউ নিজ সমর্থিত দলের পতাকার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউবা প্রিয় খেলোয়াড়ের সঙ্গে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তুলছেন।

দর্শনার্থী আশিক ইকবাল বলেন, আমি কিছু বছর ধরে ঢাকায় থাকি, বিশ্বকাপ ফুটবলে ঢাকায় থাকা এই প্রথম। কিন্তু এই ধরনের চিত্রকর্ম টিভিতে প্রায়ই দেখা যায়। আজকে নিজে সামনাসামনি দেখে ও ছবি তুলতে পেরে বেশ আনন্দিত লাগছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ নন্দী বলেন, পুরান ঢাকা মানেই ভিন্ন কিছু, বিশ্বকাপ ফুটবল কেন বাদ যাবে। আগে ফুটবল খেলা শুরু হলেই আমাদের পাগলামি বেড়ে যেত। প্রতিবারই ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করতাম, এখন বয়সের ভাড়ে সেই পাগলামিটা করতে পারি না, তবে আমাদের স্থানীয় ছেলেরা সেই পাগলামিটা বাঁচিয়ে রেখেছে, এটাই পুরান ঢাকার ঐতিহ্য।

উল্লেখ্য, দেয়ালচিত্রে স্থান পাওয়া মেসি ও নেইমারের পাশাপাশি ও ঘাড়ে হাত দেওয়া ছবি যেন জানান দিচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে ফুটবল বিশ্বকাপ বয়ে আনে সম্প্রীতি এবং গড়ে তোলে ভাতৃত্ববোধ।

এসজি

Header Ad

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলার অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজহারুল ইসলাম আজহারকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সদর থানায় তার ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আজাহার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছাড়াও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা সিএনজি-অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।

Header Ad

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়। সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শীতের প্রকোপ থাকছে বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের দাপট থাকছে বেশ।

নওগাঁ সবজি উৎপাদনে বৃহৎ জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

চাষিরা বলছেন, শীত আগমনে সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

অন্যদিকে শীত আগমনে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই সময়টাতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে বলা হচ্ছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ