যুব মহাসমাবেশে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এদিকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশে চলছে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) হাইকোর্টের সামনে দিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে চলে এই খেলা। খেলার পাশাপাশি রয়েছে মিছিল। মিছিল নিয়ে দলের নেতা কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন সমাবেশে। মিছিলের সামনে প্রায় ৮-১০ জন হাতে -২-৩ টা করে লাঠি। লাঠি খেলা প্রদর্শনের পাশাপাশি ঢাক ও কেসিওর তালে নাচতে দেখা গেচে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের।
আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নানা রং-বেরঙের ব্যানারে ছেয়ে গেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট ও টুপি পরে সকাল থেকেই আসছেন নেতা-কর্মীরা। কেউ কেউ এসেছেন ঢাকা-ঢোল, ব্যান্ডপার্টি, সাউন্ড বক্সসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে।
তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ কাজটি করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দীন টিপু। দেশের ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রদর্শন করতে করতে তারা মহাসাবেশে এসেছেন। মিছিলের সামনে এই লাঠি খেলার নৃত্য নজর কেড়েছে অনেকের।
এই লাঠিয়াল দলের সরদার মো. মোস্তফা গণমাধমে বলেন, সদরঘাট থেকে আমরা লাঠিখেলা দেখাতে দেখাতে আসছি। পরিশ্রম হয়ে গেছে। তবে সবাই আমাদের দেখছে তাই ভালো লাগছে। আর এই খেলা আমাদের দেশের ঐতিহ্য।
এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দীন টিপু বলেন, পাঁচ হাজারের মতো নেতা-কর্মী নিয়ে এসেছি। কেউ বাসে এসেছেন, কেউ লঞ্চে। নেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে তারা এসেছেন। লাঠিখেলার বিষয়ে তিনি বলেন, লাঠিখেলা দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলা। তাই আমরা দেশের ঐতিহ্যকেই সামনে রেখে মিছিল নিয়ে যাচ্ছি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বরত র্যাব পুলিশ বলছে, আমাদের উপর থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, নিরাপত্তায় যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না হয়। লাঠি খেলার বিষয়টি ও আমরা নজরে রাখছি। তবে অনেকেই আন্দন করছে এজন্য তেমন চিন্তার কারণ নেই আমাদের। তবে সব কিছু চিন্তা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কেএম/এএজেড