রাজধানীতে বাইসাইকেল চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চার শতাধিক বাইসাইকেল চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)’র তেজগাঁও বিভাগের হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-আসিফ, আপন ও হোসেন ফকির শাকিল। গ্রেপ্তারের পর তাদের হেফাজত থেকে ২৭টি চোরাইকৃত বাইসাইকেল জব্দ করা হয়।
শনিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন করেছেন।
হাতিরঝিল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাতিরঝিল থানার মধুবাগ এলাকায় চোরাই বাইসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অভিযানকালে প্রথমে আসিফ ও আপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দু’জন বাইসাইকেল চুরি ও চোরাই বাইসাইকেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা থানা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
তাদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে মধুবাগ থেকে হোসেন ফকির শাকিলকে গ্রেপ্তার করে তার দোকান থেকে ১টি চোরাই বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়। শাকিলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিম রামপুরার একটি গোডাউন থেকে আরো ২৬টি চোরাই বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসিফ ও আপনসহ এ চক্রের আরও ১০ জন মিলে মগবাজার, রামপুরা, মতিঝিল, বাড্ডা, মুগদা এলাকায় বাইসাইকেল চুরির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে।
চক্রটির মূল টার্গেট রেস্টুরেন্ট, মার্কেট, কাঁচাবাজার কিংবা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বাইসাইকেল। টার্গেটকৃত বাইসাইকেলে তালা না থাকলে তারা নিমিষেই চুরি করে নিয়ে যায়। তালা থাকলেও বিশেষ কায়দায় চোখের পলকেই ভেঙে ফেলে। এই চক্রটি গত ৩-৪ বছরে প্রায় ৪ শতাধিক বাইসাইকেল চুরিতে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদেরকেও সনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত শাকিলের বাইসাইকেল মেরামতের দোকান আছে মধুবাগে। সে মূলত এই চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে অল্প দামে চোরাই বাইসাইকেল কিনে তার গোডাউনে রেখে প্রয়োজনে মেরামত করে বা যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে নিজের দোকানে রেখে বিক্রি করে। চোরাই বাইসাইকেলের সংখ্যা বেশি হলে বংশালে একটি দোকানে পাঠিয়ে দেয়। সেই দোকানের মালিককেও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসিফ ও আপনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বাইসাইকেল চুরি-মিসিং সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল ও সংশ্লিষ্ট সময়ে বাইসাইকেল চুরি সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা-জিডি হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে, যাতে উদ্ধারকৃত বাইসাইকেলগুলো প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় বলেও থানা সূত্রে জানা যায়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতসহ পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
কেএম/এমএমএ/