পুলিশি সেবা নগরবাসীর আস্থার প্রতীকে পরিণত হবে: ডিএমপি কমিশনার
জনমুখী পুলিশি সেবা দ্রুত নিশ্চিতকরণ, সমকালীন অপরাধের ধরন ও গতিপথ বিবেচনা করে বিশেষ করে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণসহ ডিএমপিকে নগরবাসীর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত করতে সর্বোচ্চ প্রয়াস থাকবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলম ফারুক।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস’- আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
কমিশনার বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে যথেষ্ট মিল রয়েছে। উভয়ে সত্যের সন্ধানে এবং কল্যাণার্থে কাজ করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সৌহার্দ্য এবং সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে দেশ সেবায় সকলে একত্রে কাজ করব।
টিম ডিএমপির পক্ষ থেকে নগরবাসী ও সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নবনিযু্ক্ত ডিএমপি কমিশনার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের উত্তরাধিকার বাংলাদেশ পুলিশ।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গতিশীল রাখতে ৩২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, মেধা এবং প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে রাষ্ট্র, সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, টিম ডিএমপি সব সময়ই আপনাদের পাশে থাকবে। আরও উত্তম ও নিরাপদ ঢাকা বিনির্মাণ এবং নগরবাসীর আরও নিশ্চিন্তে চলাচল নিশ্চিত করতে তিনি সম্মানিত নাগরিকদের ও সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
রাজধানীর ট্রাফিক সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে কমিশনার বলেন, বর্তমানে রাজধানীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে, এজন্য ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা ও দুই সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করব।
থানার সেবার মান নিয়ে করা সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেবার মান বৃদ্ধির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। জিডি ও মামলা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। থানায় সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক থানায় আমরা সিসিটিভি স্থাপন করেছি যাতে থানার সেবার মান মনিটরিং করা যায়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের কোন ভূমিকা নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। রাজনীতির নামে কেউ সহিংসতা ছড়ালে বা ফৌজদারি অপরাধ করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মূলেও আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। মাদক নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই লাইন ও ডিমান্ড লাইন বন্ধ করতে হবে। মাদকসেবীদের চিকিৎসার মাধ্যমে পুনর্বাসন করে ডিমান্ড লাইন বন্ধ করলে মাদক ব্যবসায়ীদের সাপ্লাই লাইন এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
জঙ্গি দমনেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি আমাদের সাইবার মনিটরিং টিম প্রতিনিধি কাজ করে যাচ্ছে সেই সঙ্গে সিআইএমএস পদ্ধতি মনিটারিং করে জঙ্গিদের নজরদারি করা হচ্ছে অতীতে জঙ্গি দমনে পুলিশ যে ভূমিকা রেখেছে ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা থাকবে।
মিট দ্য প্রেসের শুরুতে নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনারের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কেএম/এমএমএ/