জব্দ তালিকা থেকে ১৩ বোতল দামি ব্র্যান্ডের মদ হাওয়া!
গত ৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের লেক ভিউ বারে (কিং ফিশার নামে পরিচিত) অভিযান চালায় ডিবি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) নেতৃত্বে ওই অভিযানে জব্দ করা হয় সাড়ে ৪০০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি-বিদেশি মদের বোতল ও ছয় হাজার বোতল বিয়ার।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) মামলার এজাহার ও গোয়েন্দা পুলিশের বেশ কয়েকটি সূত্র মতে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই সূত্র জানায়, ডিবি পুলিশে অভিযানে জব্দ তালিকা থেকে গায়েব হলো ১৩ বোতল দামি ব্র্যান্ডের মদ।
জানা যায়, ১৩ বোতল দামি ব্র্যান্ডের মদ হলো-জ্যাক ডেনিয়েল, গ্লেনফিডিক, রয়্যাল সুইট (২১ বছরের পুরোনো), ডাবল ব্ল্যাক, ব্লু লেবেল, গোল্ড লেবেল, মার্টেল (কর্ডন ব্লু), সাম্বুকা, পিনা, লিথুয়ানিয়ান, হাইকমিশনারস, জেঅ্যান্ডবি ও ম্যাক এন্ড্রুজ।
৬ অক্টোবর রাতে ডিবি উত্তরার উপকমিশনার আকরামুল হোসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারসহ লেক ভিউ বারে অভিযান পরিচালিত হয়। পরদিন মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ শর বেশি বিদেশি মদের বোতল এবং ৪ হাজার ৪০০ বোতলের বেশি বিদেশি বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে’।
ওই সময় মিডিয়া সেন্টার থেকে সরবরাহ করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জব্দ করা বোতলের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
একই দিনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেন ডিবির উত্তরা জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ৪৫৩টি দেশি বিদেশি মদের বোতল ও ৬ হাজার ৫ বোতল বিয়ার, খালি মদের বোতল ২৯টি, নগদ ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা উদ্ধার করেছেন তারা। যার আনুমানিক মূল্য ৯৯ লাখ ৭৬ হাজার ৯০০ টাকা।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, গরিবে নেওয়াজ এভিনিউয়ের ওই ভবনের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা থেকে এসব মদ ও বিয়ারের ক্যান ও বোতল জব্দ হয়েছে অভিযানে। আসামিদের রিমান্ড আবেদনের পাশাপাশি জমা দেওয়া হয়েছে জব্দ তালিকাও। কিন্তু সেই জব্দ তালিকায় ১৭টি ব্র্যান্ডের বিদেশি মদের বোতলের নাম ও পরিমাণসহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হলেও ১৩ বোতল দামি ব্র্যান্ডের কোনো উল্লেখ নেই।
যে ব্র্যান্ডগুলোর নাম বাদ পড়েছে এর সবগুলোর বোতলই ওই রাতে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হওয়া ফুটেজে দেখা গেছে। সেগুলোর মধ্যে ১৩ বোতল মদের হদিস পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, অভিযানস্থলে পাওয়া এবং জব্দ তালিকায় থাকা মদের বোতলের কোনো অমিল নেই। কোনো কিছু মিসিং (অনুপস্থিত) নেই। যা পেয়েছেন সবই জমা দেওয়া হয়েছে। এর থেকে আপ্ত্ত আর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
কেএম/এমএমএ/