অন্তঃসত্ত্বা বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকায় অনলাইনে ফেসিয়াল সেবা নেওয়ার কথা বলে বিউটিশিয়ানকে বাসায় ডেকে ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে তাদেরকে রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচএম আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. রিয়াদ ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম।
ডিসি আজিমুল বলেন, ধর্ষণের শিকার বিইউটিশিয়ান নারী হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করেন। সেখান তিনি একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় নারীদের বাসায় গিয়ে ফেসিয়ালসহ বিউটি পার্লারের সেবা দিতেন। অনলাইন পেজের নম্বরের সূত্র ধরে গত ১১ অক্টোবর মেয়ে কন্ঠের মাধ্যমে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ফোন দেওয়া হয়। এ সময় জানানো হয় শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে। পরে সেই তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থেকে সেই বিউটিশিয়ান নারী শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। রাস্তায় আসতে আসতে এক সময় একটি ছেলে কন্ঠে (রিয়াদ) তার অবস্থান সম্পর্কে ফোনে বারবার জানতে চাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার পর সেই নারীকে রিয়াদ শুক্রাবাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। এ সময় খালি বাসায় রিয়াদ তার বন্ধু সিয়াম ও তার আরেক বন্ধু জিতু মিলে সেই পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা নারীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ করার পর ওই নারীকে রাস্তায় একটি সিএনজিতে তুলে দেন তারা।
গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে ডিসি তেজগাঁও বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তিনজনই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তারা বখে যাওয়া ছাত্র। নিজেদের ফ্যান্টাসির কারণেই এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেপ্তার রিয়াদ ও সিয়াম সরাসরি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছে। এ ধর্ষণের সঙ্গে তাদের আরেক বন্ধু জিতুও জড়িত।
এ সময় আজিমুল হক বলেন, ভুক্তভোগী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রথমে ধানমন্ডি থানায় যান কিন্তু ঘটনাস্থল এ থানার বাইরে হওয়ায় শেরেবাংলা নগর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শেরেবাংলা থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং আরেকজন পলাতক রয়েছে।
অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ধরনের ঘটনা অনেকটাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে উল্লেখ করে বিভাগের পুলিশ কমিশনার বলেন, বাসা বাড়িতে যেকোনো সার্ভিস দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহক এবং সেবাদানকারী ব্যক্তিদের আরও সতর্ক হতে হবে।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম এবং রিয়াদ জানায়, তারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে।
কেএম/এমএমএ/