‘যেকোনো জায়গায় অভিযান চালাতে পারে পুলিশ’
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোনো জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ বা অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হলে পুলিশ যেকোনো সময় অভিযান পরিচালনা করতে পারে।
উত্তরায় কিংফিশার রেস্টুরেন্টে নামে একটি কথিত বারে পুলিশের অভিযান ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাহলে ডিবি কীভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে জানতে চাইলে ইউনিটটির প্রধান বলেন, পুলিশ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে পারে কি না বা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে কি না তা আপনারা (সাংবাদিক) ভালো জানেন।
আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কারা তল্লাশি করবেন বা করবেন না, যোগ করেন তিনি।
রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ প্রয়োজনে অবৈধ কোনো জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ, অবৈধভাবে মদ বিক্রি এবং যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ যেকোনো জায়গায় অভিযান চালাতে পারে। আমরা সবসময় এটা করে আসছি, আমরা বড় বড় চালান ধরছি। এ ছাড়া, অবৈধবারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
অন্যদিকে সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে দুই জনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনরা থানায় জিডি করতে গেলে তাদের ঘুরিয়ে জিডি করতে বলা হয় যে, বাসা থেকে বের হয়ে তারা নিখোঁজ হয়েছেন।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে অনুরোধ থাকবে কেউ যদি ডিবি পরিচয় দেয় তাহলে তাদের আইডি কার্ড দেখতে চাইবেন। আমাদের ডিবির প্রতিটা টিমের কাছে বলা আছে যে যে এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন চাহিবা মাত্র কার্ড প্রদর্শন করবেন।
‘কিন্তু আমরা ইদানিং এটাও শুনেছি, ডিবির পরিচয় দিয়ে অনেকে অনেককে ধরে নিয়ে আসছেন। পরে আমাদের কাছে এলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ওই এসব ব্যক্তিদের পাইনি। যখন খোঁজাখুঁজি করে পাইনি তখন আমরা মনে করি কেউ ডিবির পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তিকে উঠিয়েছে,’ তিনি বলেন।
ডিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শুধু এইটুকু বলতে চাই, আমরা স্বচ্ছ। কোথাও কোনো এলাকায় কেউ ডিবির নাম ব্যবহার করলে আপনারা চ্যালেঞ্জ করবেন। আইডি কার্ড দেখাতে না পারলে তখন আপনারা যা করার তা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্যটা এসেছে ডিবির নাম বলে মানুষজনকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। ডিবি যখন অভিযান করে তখন সঠিক তথ্য দিয়েই আমরা অভিযান পরিচালনা করি।’
তিনি বলেন, ‘ডিবির নাম যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে সে জন্য আমরা যেমন অত্যাধুনিক আইডি কার্ড তৈরি করেছি, তেমনি কিউআর কোড সম্বলিত নতুন পোশাকও সংযুক্ত করেছি। এর একটিও যদি আমাদের কাছে না থাকে তাহলে মনে রাখতে হবে ডিবির নাম কেউ ব্যবহার করেছে। আর যাত্রাবাড়ীতে আমরা কোনো অভিযান পরিচালনা করিনি।’
কেএম/এমএমএ/