ই-টিকিটিং সিস্টেমে পরিবহনে মিলছে কিছুটা স্বস্তি!
বাসে ই-টিকিটের স্টুডেন্ট সিস্টেমে ক্লিক করলেই শিক্ষার্থীদের জন্য কমে আসে ভাড়ার অর্ধেক এ জন্য ভাড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থেকে মুক্তি পাচ্ছে বাসে চলাচলরত যাত্রী ও শিক্ষার্থীরা।
যাত্রী ও শিক্ষার্থীরা জানান, পরিবহনের নৈরাজ্য কিছুটা কমে এসেছে। ই-টিকিটিংয়ে যাত্রীরা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে আবার কমছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছে কন্ডাকটাররা।
শাহবাগে কথা হয় ঢাকা কলেজের ছাত্র মো. রায়হানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসস্ট্যান্ডে এখন ই-টিকিটিংয়ে কারণে আমরা অর্ধেক ভাড়া দিতে পারছি। কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। স্টুডেন্ট কার্ড দেখালেই সঠিক ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে এবং টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
আজিমপুরে কথা হয় সিটি কলেজের ছাত্রী লাবনী আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগের থেকে পরিবহনে এখন কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে পরিবহন চালকেরা রাস্তার মাঝে উল্টাপাল্টা যাত্রী উঠায় যার কারণে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
রাজধানীর মিরপুরে থাকেন ফয়সাল আহমেদ। সেখানে তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেন। বাসে ই-টিকিটিং চালু হওয়ার পর স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছেন তিনি। এখন আর তাকে ভাড়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় না। অথচ আগে মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর যেতে কখনো ২০ কখনো ৩০ টাকা গুণতে হতো।
জানা গেছে, বাসে ই-টিকিট সিস্টেমে দুটো অপশন রয়েছে। একটা সাধারণ যাত্রীদের, অন্যটি শিক্ষার্থীদের।
ই-টিকিটিং সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। এ বিষয়ে একাধিক সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এটা কম দূরত্বের জন্য একটু বেশি, তবে বেশি দূরত্বের হলে ঠিক হতো। সর্বনিম্ন ৫ টাকা ভাড়া করা উচিত।
ইডেন কলেজের ছাত্রী লাইজু বলেন, আমার বাসা পলাশী মোড়। ওখান থেকে ইডেন কলেজে যেতে হয় ১০ টাকা দিয়ে অথচ ৫ টাকা হলে ভালো হয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী পলাশ মাহমুদ বলেন, ই-টিকিটিং যাত্রীদের ভোগান্তি কমিয়েছে। তবে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা বেশি হয়ে যায়, এটা একটু কমালে ভালো হতো। আমরা শিক্ষার্থী অনেক সময় কম দূরত্বে যাতায়াত করি। এ ছাড়া টিউশনি করি সেটাও বেশি দূর নয়। এতে ১০ টাকা বেশি হয়ে যায়।
কারওয়ার বাজার মোড়ে কথা হয় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী জাকির হোসেনের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ই-টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা ন্যায্য ভাড়া দিয়ে যেতে পারছি। এখানে শিক্ষার্থী বা বাসের স্টাফদের কথা বলার কোনো সুযোগ নেই, যা ভাড়া তাই। একজন সাধারণ যাত্রীর ভাড়া কত, একজন স্টুডেন্টের ভাড়া কত অটোমেটিক বের হয়ে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ মুঠো ফোনে ঢাকা প্রকাশকে বলেন, নতুন এই সিস্টেম কয়েকটি কোম্পানির বাসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। বিআরটিএর কর্তৃপক্ষের সহায়তা এটি চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাসে ই-টিকিটের মাধ্যমে বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছেন। এটি চালুর প্রথম দিকে কিছু সমস্যা ছিল আমরা এখনো এটি মনিটরিং করছি। যাত্রীদের কাছে থেকে ফিডব্যাক নিচ্ছি। এটা সুফল হলে অন্যান্য রুটে বিআরটিএ এর সহযোগিতায় রাজধানীতে বিভিন্ন বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। যাতে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন খাতের কোনো অসুবিধা না হয়।
কেএম/এমএমএ/