সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জুতা নিক্ষেপ’ কর্মসূচি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

ছবিঃ সংগৃহীত

রীতিমতো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘হেইট থ্রু’ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসম্বলিত একটি ব্যানারে জুতা নিক্ষেপ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ’ নামের একটি প্লাটফর্মের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচের ফেসবুক পেজে ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হেইট থ্রু কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘সবাই জুতা, ঝাড়ু নিয়ে চলে আইসেন। কালকে লীগকে জুতা, ঝাড়ু মেরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মোজো জিতে নেন।’ এই কর্মসূচির মাধ্যমে জুতা নিক্ষেপ, রং নিক্ষেপ এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘আমার সোনার বাংলায়, মুজিববাদের ঠাঁই নাই/ স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’; হাসিনা/সাদ্দাম/কাদের/শয়নের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’; ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই?’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। এসময় একদল শিক্ষার্থী সেখানে জুতা মারার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৩টি জুতা একসাথে নিক্ষেপ করার সুযোগ পান। কেউ যদি জুতা নিক্ষেপ করে টানা ৩বার ব্যানারের নেতাদের গায়ে লাগাতে পারেন তাহলে তাকে পুরস্কার স্বরূপ একটি ‘মোজো’ দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতার আয়োজক শিক্ষার্থীরা বলেন, সাবেক স্বৈরাচার সরকার দেশের মানুষের উপর যে নিপীড়ন চালিয়েছে তার হিসেব নেই। এখন সে জীবন বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে গেলেও আমরা সেই ক্ষতচিহ্ন বুকে বয়ে বেড়াচ্ছি। সেজন্য আমরা আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শেখ মুজিব, হাসিনাসহ সকল নেতাদের ছবিতে গণজুতা মারা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। আমরা চাই এই দিনটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকুক। মানুষ জানুক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর ছিলো।

Header Ad
Header Ad

এবার সুখবর দিলেন মিথিলা

অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত

সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান দীর্ঘদিনের একাকিত্ব কাটিয়ে মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদ-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গত ৪ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় তাদের বিয়ে।

তাহসানের নতুন জীবনের এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তার সাবেক স্ত্রী, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তাকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই এবার এলো সুখবর। কিন্তু কী সেই সুখবর?

অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী মিথিলা জনপ্রিয় কোরিয়ান নাটক ‘ডেসেন্ড্যান্টস অব দ্য সান (ডটস)’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তবে এতে অভিনয়ে নয়, নাটকটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে বাংলা ডাবিংয়ে কণ্ঠ দেবেন এ তারকা। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মিথিলা নিজেই। জানান, কাজটির ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দেশে ফিরেই কাজ শুরু করবেন।

নাটকটির বাংলা ডাবিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন খালিদ হোসেন অভি। এর আগে ‘রিপ্লাই ১৯৮৮’, ‘লেজেন্ড অব দ্য ব্লু সি’ ও ‘মিস্টার কুইন’-এর মতো কোরিয়ান ড্রামাগুলোর বাংলা ডাবিং প্রযোজনা করেছেন। সিরিজটির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ডক্টর ইউন মিউং জু চরিত্রে বাচিক অভিনয় করবেন অভিনেত্রী মিথিলা।

এ ব্যাপারে অভি জানান, ‘ডটস’-এর সঙ্গে রয়েছেন মিথিলা। ‘ডেসেন্ড্যান্টস অফ দ্য সান’র বহুল প্রত্যাশিত বাংলা ডাবে উগ্র এবং শক্তিশালী ড. ইউন মিউং জু’র চরিত্রে কণ্ঠ দেবেন তিনি।

অভিনেত্রী মিথিলা বলেন, এর আগে নিজের সিনেমায় নিজের অভিনীত চরিত্রে ডাবিং করেছি। কাজটি করতে ভীষণ ভালো লাগে, এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করি। তবে কখনো অন্য কারও জন্য ডাবিং করিনি আমি। এ জন্য এই কোরিয়ান ড্রামায় ডাবিং করা আমার জন্য হবে নতুন এক অভিজ্ঞতা। কারণ, ভয়েস আর্টিস্টদের কাজ মোটেও সহজ নয়। এখানে শুধু সংলাপ বললেই হয় না। ঠোঁট মেলানো, চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ও ইমোশন কণ্ঠে ধারণ করতে হয়।

প্রসঙ্গত মিথিলা বর্তমানে দেশের বাইরে থাকলেও দেশে ফিরেই ডাবিংয়ের কাজে যোগ দেবেন। বাংলা ভাষায় কোরিয়ান ড্রামার এই যাত্রা দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

মাওবাদী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত

ভারতের ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে আট নিরাপত্তারক্ষী এবং একজন চালক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বস্তার অঞ্চলের কুট্রু এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

এর আগে একই দিন, ছত্তিশগড়ের আবুজমাড় অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অভিযানে পাঁচজন মাওবাদী নিহত হয়। যাদের মধ্যে দুইজন নারী ছিলেন। অভিযানে একে-৪৭ ও সেলফ-লোডিং রাইফেলসহ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অভিযান শেষে ফেরার পথে মাওবাদীরা নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়।

নিহত আট নিরাপত্তারক্ষী জেলা রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) সদস্য ছিলেন। মাওবাদী দমন অভিযানের জন্য বিশেষভাবে গঠিত এই ইউনিট রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থলে বিশাল একটি গর্ত সৃষ্টি হয়।

মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই অঞ্চলে বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া চলমান। তবে, এই হামলাকে বিদ্রোহীদের মরিয়া প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজেপি সাংসদ মহেশ কাশ্যপ এই হামলাকে ভীরুতাপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, আমাদের জওয়ানরা মাওবাদীদের নির্মূল করছে। তাই তারা হতাশ হয়ে এই দুঃখজনক হামলা চালিয়েছে। আমি নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমাদের সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে বস্তারকে মাওবাদীমুক্ত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের জওয়ানদের হত্যার প্রতিশোধ নেবো।

Header Ad
Header Ad

মেজর ডালিমের এক হাতে একটি আঙুল নেই কেন? কী ঘটেছিল?

মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিম। ছবি: সংগৃহীত

মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিম মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। সেই যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার সাক্ষী তাঁর শরীরে বিদ্যমান চিহ্ন। সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের একটি বিশেষ লাইভ টকশোতে দীর্ঘ সময় পর প্রকাশ্যে এসে নিজের জীবন, মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

লাইভ চলাকালে মেজর ডালিম জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি যুদ্ধের সময় তিন-চারবার আহত হয়েছি। তার একটা নিদর্শন আমার হাতের অবস্থা দেখো।” কথাগুলো বলার পর তিনি তাঁর বাম হাত দেখান, যেখানে একটি আঙুল নেই। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হওয়ার কারণেই এই আঙুলটি হারাতে হয় তাঁকে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু আঙুল হারানোই নয়, শরীরের আরও বেশ কয়েক জায়গায় তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। এই আঘাতের চিহ্ন তাঁর সাহসী যুদ্ধজীবনের সাক্ষ্য বহন করে।

এছাড়াও, লাইভের এক পর্যায়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের নানা ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে লড়াই করাটা ছিল আমাদের জন্য গর্বের। আমি জানি, আমার শরীরের প্রতিটি আঘাত শুধু ব্যথার চিহ্ন নয়, বরং এটি আমাদের জাতির স্বাধীনতার জন্য আমার দেওয়া ত্যাগের প্রতীক।”

এই সাক্ষাৎকারে মেজর ডালিম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সামরিক অভ্যুত্থানসহ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও তাঁর মতামত তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন ত্যাগ এবং সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির গভীর প্রতিফলন পাওয়া যায়।

এই আঙুল হারানোর ঘটনাটি কেবল তাঁর যুদ্ধকালীন ত্যাগের উদাহরণ নয়, বরং এটি তাঁর জীবনের এক অনন্য অধ্যায়, যা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর সাহসিকতার পরিচয় বহন করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার সুখবর দিলেন মিথিলা
মাওবাদী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত
মেজর ডালিমের এক হাতে একটি আঙুল নেই কেন? কী ঘটেছিল?
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে উত্তাল রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়
আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে: পিনাকী ভট্টাচার্যের মা
হেলসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রংপুরের দাপুটে জয়
একাধিক পদে ১৩১ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে বিটিসিএল
অবশেষে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমিয়ে দিলো ভারত
চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি
হাসিনার ওপর রাগ লাগে না আপনার? খালেদা জিয়াকে আসিফ নজরুল
কেক কেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, সমর্থক গ্রেফতার
২৪ দফার ইশতেহার নিয়ে সামনে আসছে তরুণদের দল
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতলেন যারা
লন্ডনে দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হবে মা ও ছেলের
ডিবি অফিসে আয়নাঘর বা ভাতের হোটেল থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েব
রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান
৫ আগষ্টের পর খুলনার আ: লীগের নেতাদের বাড়ীগুলো হয়ে গেছে ভূতের বাড়ী
অবশেষে বিপিএলে দল পেলেন মোসাদ্দেক হোসেন
জান্নাতি ফল ডালিম খাওয়ার যত উপকারিতা