সমন্বয়ক পদ থেকে সরে গেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নুর নবী
মো. নুর নবী। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নেতৃত্ব দেওয়া মো. নুর নবী সমন্বয়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের যেকোনো আন্দোলনে নিজে অংশ নেবেন বলেও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি নিজের আইডি থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পোস্টে নূর নবী লেখেন, আমি মো. নুর নবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই সকল আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
নূর নবী আরও লেখেন, আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শহীদেরা যে রক্ত দিয়েছেন, তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদদের আত্মত্যাগে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশে যেকোনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করব, ইনশা আল্লাহ। আজ থেকে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।
ছাত্রলীগের হামলা ও নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করে নূর নবী বলেন, ব্যক্তিস্বার্থবিহীন এই আন্দোলনে শুরু থেকেই মাঠে থেকেছি। ময়দানে ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছি, ময়দান থেকেই গুম হয়েছি এবং পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি, কারাগারে গিয়েছি। এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি। সেই ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমি সর্বদা আপনাদের পাশে থাকব, ইনশা আল্লাহ।
এ বিষয়ে নূর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে “জবি সংস্কার আন্দোলন” নামে একটি প্ল্যাটফরম করে প্রতিটি বিভাগ থেকে গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব গঠন করা হবে। আমি মনে করি, আমাদের ক্যাম্পাসে আর সমন্বয়ক প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া খুব সম্ভবত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের ক্যাম্পাস লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিমুক্ত থাকবে। সে জন্য আমি আগে আগে আমাকে সরিয়ে নিয়েছি এই জায়গা থেকে।