জরুরি বৈঠকের পর যে সিদ্ধান্ত নিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কোটা সংস্কার ইস্যুতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং আবাসিক হল বন্ধে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আবাসিক হলে শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগতদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম।
বৈঠকে বহিরাগত অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা ছাড়া আরো চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব হলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন।
২. প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিকভাবে হলে অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. যেকোনো ধরনের গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
৪. এ ছাড়া সকলকে নাশকতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। কেউ নাশতকতামূলক কাজে জড়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে।
জানা গেছে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিভিন্ন হল/হোস্টেলসমূহের প্রাধ্যক্ষ/ওয়ার্ডেনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠক শেষে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের হলের প্রাধ্যক্ষরা রাতভর হলে অবস্থান করবেন। মিটিংয়ে সিদ্ধান্তগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাবিতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতির পর ঢাবি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।