শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মসজিদে ছাত্রীর ঘুম, নামাজ পড়ানোর অনুমতি পেলেন জবির সেই ইমাম

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় অব্যাহতি দেওয়া ইমাম মো. ছালাহ্ উদ্দীনকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (৩১ মে) ইমাম জুমার নামাজে ইমামতি করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজ ওনাকে ডেকে নামাজ পড়াতে বলেছি। তিনি সহকারী ইমামের সঙ্গে অল্টারনেট করে নামাজ পড়াতে পারবেন। তবে ঘটনার তদন্ত চলমান থাকবে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মধ্যরাতে ঘুমন্ত ছাত্রীর ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহকে সদস্য সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মধ্যরাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে তাকে ইমামতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম খতিবকে অপসারণ করা হয়েছে বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে, যা অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ১৫ মে রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থীর অবস্থানের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মসজিদের ইমামসহ (খতিব) সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইমাম ইস্যু নিয়ে একটি বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল, তাই প্রশাসন থেকে বিষয়টি ক্লিয়ার করা হয়েছে।

এ ঘটনাকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর সমালোচনা শুরু করেন। এর প্রতিবাদে ৩০ মে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করলে তারা প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হন।

Header Ad
Header Ad

সরবরাহ বাড়ছে, সবজির দাম কমেছে মুরগীর দাম বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শীত মৌসুমের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। ফলে দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। তবে মুরগির বাজারে এখন বিরাজ করছে অস্বস্তি। কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে সব ধরনের মুরগি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পাইকারি ও খুচরাবাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে বাজার দরের এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে আলু ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মাঝারি ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ২০ টাকা আটি, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, সিম প্রকার ভেদে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচা মিষ্টি কুমড়া মাঝারি আকারের প্রতি পিস ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, নতুন দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ২১০ টাকা, দেশি আদা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাউ আকার ভাদে প্রতি পিস ৬০ টাকা, কালো বেগুন ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা বেগুন ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা।

এক সবজি বিক্রেতা বলেন, গতকালের তুলনার সব ধরনের সবজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকার বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শালগম ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি করেছি আজ সেই শালগম ৪০ টাকা করে বিক্রি করেছি। বাজারে প্রচুর সবজির আমদানি থাকার কারণে দাম কমেছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পুঁটি ৫০০- ৬০০ টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৮০০ টাকা, পাপদা ৪০০ টাকা, রুই আকারভেদে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি কই ৭০০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, কাতল আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা দাম বেড়েছে সব ধরনের মুরগির। ব্রয়লার ২০০-২১০, লেয়ার ২৯০-৩০০, সোনালি ৩০০ হাইব্রিড ২৮০, দেশি ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, দাম বাড়ার কারণ বলতে পারি না। আমাদের পাইকারি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তারপর আবার দোকান পর্যন্ত নিয়ে আসতে কত ধরনের খরচ আছে। বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে আমাদের। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাদা ডিম হালি ৪৬, ডজন ১৪০ টাকা, লাল ডিম হালি ৪৬, ডজন ১৪০ এবং হাঁসের ডিম হালি ৭৫ টাকা, ডজন ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ‘লাভ লীন’ নামের রেস্তোরাঁয় ‍শুক্রবার আগুন ধরার খবর জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বাহিনীর মিডিয়া সেলের বার্তায় বলা হয়, শাহ মখদুম রোডে অবস্থিত ‘লাভ লীন’ নামের রেস্তোরাঁয় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে আগুন ধরার খবর পেয়ে ১০টা ৪৪ মিনিটে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে উত্তরা, টঙ্গী, বারিধারা, কুর্মিটোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট।

 

বিস্তারিত আসছে.......

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আ.লীগ নেতার রগ কর্তন

আহত সেলিম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সেলিম রেজার বাড়ি সদর উপজেলার পূর্বমোহনপুর গ্রামে। তিনি সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।

সেলিমের ছেলে আব্দুল জলিল বলেন, ‘সকালে ৩০-৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে অটোভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা বাবাকে পিটিয়ে দুই পা, ডান হাত ভেঙে ফেলে। দুই পায়ের রগও কেটে দেয়। পরে তার মাথায় কুপিয়ে জখম করে অচেতন অবস্থায় পূর্ববাঐতারা স্কুলের সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।’

জলিল জানান, সেলিমকে উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় নিয়ে তাকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার বা তার পক্ষে কারও অভিযোগ তারা পাননি।

সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা জানান, হামলার শিকার সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সরকার পতনের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিন দিন আগে বাড়ি ফেরেন। সেলিম বাড়ি ফেরার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেলিমকে মারধরের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন।

তিনি আরও বলেন, ‘যুবদলের দুই নেতা হত্যা মামলার আসামি সেলিম রেজা। এতদিন পলাতক ছিলেন। এলাকায় ফেরার পর স্থানীয় জনতা তাকে ধরে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরবরাহ বাড়ছে, সবজির দাম কমেছে মুরগীর দাম বাড়ছে
উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আ.লীগ নেতার রগ কর্তন
ভারতে পেট্রল পাম্পে ভয়াবহ আগুন, পর্যন্ত চারজনের প্রাণহানি
সাদপন্থীদের নেতা মুয়াজ বিন নূর গ্রেফতার
সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে মেয়ের ডিএনএ মিলেছে
ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস
৫ আগস্টের আগে সংগ্রাম ছিল স্বৈরাচার পতনের আর এখন রাষ্ট্র মেরামতের; তারেক রহমান
ডি-৮ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
উদ্ধার হওয়া ৪ অস্ত্র আসল নয়, খেলনা পিস্তল
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ফের তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট
‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না, ভিডিও বার্তায় হামজা
ডাকাতদলের একজনের বাড়ী গোপালগঞ্জে
কিডনি রোগীকে সাহায্য করতে ডাকাতির চেষ্টা
গ্রাহক সেজে ম্যানেজারকে পিস্তল ঠেকায় ডাকাতরা
ইজতেমা যথাসময়ে হবে, সহিংসতাকারীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আ.লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই : বদিউল আলম মজুমদার
বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় নাগরিকের খোলা চিঠি
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ডাকাতদের আত্মসমর্পণ, ভল্ট ও জিম্মিরা অক্ষত
সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক