বেইলি রোডের আগুন
বেইলি রোডের আগুনে ড্যাফোডিলের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত তুষার হাওলাদার । ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের বহুতল ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র। তার নাম তুষার হাওলাদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিকতা বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তুষারের মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা। মেধাবী শিক্ষার্থী তুষার হাওলাদার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিআইইউ কমিউনিকেশন ক্লাবেরও সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
তুষারের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জুনিয়র ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টের (সাংবাদিকতা) ৩৯তম ব্যাচের তুষার হাওলাদার ভাই আর নেই! গতকাল রাতে রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে পুড়ে তিনি মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
এর আগে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের সেই ভবনে আগুনের খবর পাওয়া যায়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ টি ইউনিট।
রাতে নিখোঁজদের খোঁজে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আত্মীয়-স্বজনরা। এ সময় ভিড় করেন উৎসুক জনতাও। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছোটাছুটি খোঁজ-খবর নিতেও দেখা যায় স্বজনদের।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল। আমাদের দেখা মতে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। যেগুলোতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি। যে কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে এবং দাউদাউ করে জ্বলেছে।
এদিকে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।