শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৮ বছরে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

গৌরব আর সাফল্যের ১৭ বছর পার করে যৌবনের ১৮ বছরে পা দিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামের যে বট গাছের নিচে বাঁশি বাজাতেন সেই বটতলার কাছেই ২০০৬ সালের ৯ মে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুলের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা এবং পায়রা অবমুক্তকরণ করা হয়।

২০ একর আয়তন নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান শুরু হয় ২০০৭ সালে ৩ জুন। প্রতিষ্ঠাকালীন অনুষদ ছিল ২টি ও বিভাগ ছিল ৪টি। এর মধ্যে কলা অনুষদের বিভাগ ছিল-বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং সংগীত বিভাগ। বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ছিল- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। উদ্বোধনী ব্যাচে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল মাত্র ১৮৫ জন।

বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৭ একর। এখন ৬টি অনুষদের অধীনে ২৪টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে। ৭ হাজার ১৯৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২১০ জন শিক্ষক, ১৪৩ জন কর্মকর্তা, ১৯৪ জন কর্মচারী। শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। এগুলো হলো- অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। প্রায় তিন হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হলগুলোতে অবস্থান করতে পারে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ডরমিটরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে- জয় বাংলা ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, নজরুল ভাস্কর্য, চির উন্নত মম শির স্মৃতিস্তম্ভ। এ ছাড়া নির্মাণাধীন রয়েছে দৃষ্টিনন্দন লেক, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, শেখ রাসেল শিশু পার্কসহ নানা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. শামসুর রহমান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬ষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি ২০২১ সালে ১৯ ডিসেম্বর উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের রূপকল্প নিয়ে কাজ করছে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড.সৌমিত্র শেখর যোগদানের পর যেন বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে। যোগদানের পরেই তিনি শিক্ষা,গবেষণা ও উন্নয়নকে প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছেন। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই তিন উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে বিশ্বের অন্যানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়, গবেষণায় সহযোগিতা, বৃত্তি প্রদান, ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদান-প্রদানের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, আসাম ডাউনটাউন বিশ্ববিদ্যালয়, সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের ফেরদৌসি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও দ্য ইনফিনিটি মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড রোবোটিক টেকনোলজি লিমিটেড।

এ ছাড়া ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে নজরুলকে নিয়ে নির্মোহ গবেষণার উদ্দেশে গবেষণা পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একাডেমিক কার্যক্রমে সেশনজট দূর করতে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে একাডেমিক ক্যালেন্ডার। স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণে নেওয়া হয়েছে ডিজিটাল ফাইলিংয়ের উদ্যোগ।

নজরুল গবেষণাকে নতুনমাত্রা দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ। যেখান থেকে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীকে নজরুলের উপর 'নজরুল স্টাডিজ' নামের -১০০ নম্বরের একটি কোর্স বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো হয়। নজরুল গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয় গবেষণা বৃত্তি।

শিক্ষা-গবেষণার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাসে চলছে সুবিশাল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। একসঙ্গে চলমান আছে ২৩টি অবকাঠামো নির্মাণকাজ। একদিকে যেমন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অন্যদিকে চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, মসজিদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), সম্প্রসারিত মেডিকেল সেন্টার, নতুন দুইটি আবাসিক হল, ইনস্টিটিউট ভবন,প্রশাসনিক ভবনসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণকাজ। ক্যাম্পাসের সুরক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর এবং সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসার জন্য আহ্বান করা হয়েছে দরপত্র।

সাংস্কৃতিক মননে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা বছরই উৎসবের আমেজ লেগে থাকে। প্রতিবছরই এখানে নজরুলজয়ন্তী, রবীন্দ্রজয়ন্তী ও বারামখানার উদ্যোগে লালন স্মরণোৎসব পালন করা হয়। মাসব্যাপী নাট্যোৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, পিঠা উৎসব, নজরুল বইমেলা, কুয়াশা উৎসব অন্যতম আকর্ষণীয় দিক। বিশেষত ভিন্ন আমেজের কুয়াশা উৎসব এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.সৌমিত্র শেখর শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনটিকে মটো করে আমাদের যে অভিযাত্রা সেই অভিযাত্রা চলমান আছে। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে উপাদানগুলো প্রয়োজন সেই উপাদানগুলো ইতোমধ্যেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়েছে, এখন সেটিকে বিকশিত করার পালা। বিকশিত করার ক্ষেত্রে আমি শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আহ্বান জানাই। আমরা মনে করি সম্মিলিতভাবে আমরা যদি কাজ করতে পারি তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সবদিক থেকে বিশ্বমানের করা সম্ভব। আগামীতে এটিই আমাদের প্রত্যয়। আর অবকাঠামো দিক থেকে আমাদের টুইন ক্যাম্পাস করার একটি স্বপ্ন আছে। আমরা সেই স্বপ্ন দেখে চলেছি। আশা করি সেটিও বাস্তবায়িত হবে।’

এসজি

Header Ad
Header Ad

গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার: জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চলাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ১৮ মার্চ থেকে এই হামলা শুরু হয়। তখন থেকে প্রতিদিন অবরুদ্ধ উপত্যাকায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি শিশু হতাহতের শিকার হচ্ছে। ইউএনআরডব্লিউ এর প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ৫২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৪ হাজার ৬৩৮ জন।

যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে মোট ৬১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কারণ যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন তারাও নিহত হয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সিরিয়ায়ও সম্প্রতি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় এসব হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে ইসরায়েলকে সংঘাত পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না তুরস্ক। সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোতে বারবার ইসরায়েলি হামলার ফলে নতুন সরকারের হুমকি প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্ক ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার তীব্র সমালোচনা করে আসছে। গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ দেশটির। তাছাড়া এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করেছে তুরস্ক।

Header Ad
Header Ad

আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম

ছবি: সংগৃহীত

উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্টকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্ট। অন্যদিকে, এই তালিকায় ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম।

বিশ্বের ২০০টি দেশের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা, বিদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের ওপর নির্ধারিত কর, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতাসহ পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই পাসপোর্ট সূচক তৈরি করেছে নোমাড ক্যাপিটালিস্ট।

নোমাড ক্যাপিটালিস্টের তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের প্রাপ্ত স্কোর ১০৯। এ দেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

শুক্রবার পাসপোর্টের বৈশ্বিক মানের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সে তালিকায় ৩৮ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১৮২তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ৫০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।

নোমাডের হালনাগাদ তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক আগে আছে নেপাল (স্কোর ৩৯ দশমিক ৫) এবং পরে আছে মিয়ানমার (স্কোর ৩৭ দশমিক ৫)। অপর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান সূচকে ১৪৮ তম (স্কোর ৪৭ দশমিক ৫) এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৯৫তম (স্কোর ৩২)।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে নোমাডের পাসপোর্ট সূচকে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তকমা পেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। হালনাগাদ তালিকায় ১০৬ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটি। তবে দশম অবস্থানে থাকলেও আমিরাতের নাগরিকরা ১৭৯টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন; অর্থাৎ তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের তুলনায় অতিরিক্ত ৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন আমিরাতের পাসপোর্টধারীরা।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, নেই যানজট ও ভোগান্তি

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। ছবি: ফাইল ছবি

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। সরকারি অফিসগুলো আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হলেও, অধিকাংশ বেসরকারি অফিসের ছুটি ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী।

তবে এবারের ঈদযাত্রা ছিল গত বছরের তুলনায় অনেক মসৃণ এবং সুবিধাজনক। রাজধানীর প্রবেশমুখে যানজটের কোনো বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। শনিবার (০৫ এপ্রিল) ভোর থেকে সদরঘাট, বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষের ফিরে আসার দৃশ্য ছিল স্বাভাবিক।

সকাল গড়ানোর সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা রাজধানীর উদ্দেশ্যে আসতে শুরু করে। দূরপাল্লার বাসগুলো একে একে টার্মিনালে এসে থামছিল এবং যাত্রীরা ক্লান্ত কিন্তু শান্ত চেহারায় নামছিলেন। তবে এবারের ঈদযাত্রা ছিল তুলনামূলকভাবে মসৃণ। দীর্ঘদিন পর মানুষ একে অপরকে ছোঁতে না গিয়ে, ভোগান্তির অভাবেই কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন।

গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়েছে, তবে দূরপাল্লার পরিবহনগুলোতে যাত্রী চাপ কম ছিল। বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. জুবায়ের মাসুদ বলেন, “এই ঈদযাত্রায় বাস মালিকদের খুব ভালো অবস্থা ছিল না। তবে যাত্রীদের স্বস্তি দিতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট।”

কমলাপুর রেলস্টেশনে সার্ভার জটিলতার কারণে অনলাইনে ট্রেন টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল, তবে ১৫ ঘণ্টা পর এটি স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং শিডিউল বিপর্যয়ও কাটতে শুরু করে।

এদিকে, পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে হাজার হাজার যাত্রী ফেরি ও লঞ্চে করে পদ্মা নদী পার করছেন। তবে কোথাও কোথাও বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তা সালাম হোসেন বলেন, “ঈদযাত্রায় সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে নৌপথে কোনো বড় সমস্যা দেখা যায়নি।”

এবারের ঈদে সরকারি কর্মকর্তাদের টানা ৯ দিনের ছুটি ছিল, যা সরকারি আদেশে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার: জাতিসংঘ
আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, নেই যানজট ও ভোগান্তি
আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে আজ
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ২৮ জনের ৩ কোটি আত্মসাৎ, ফেরত দেওয়ার দাবি
প্রশাসনে রেকর্ড সংখ্যক কর্মকর্তা ওএসডি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নতুন রেকর্ড
ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক আশার আলো তৈরি করেছে: মির্জা ফখরুল
সাভারে আবারও চলন্ত বাসে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এক দিনেই পাঁচ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর ৬৮২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে
কাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম?
ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস
মানিকগঞ্জে বাঁশঝাড়ে কার্টনে মিললো তরুণীর লাশ
ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ
দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ
হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে এ বিষয়ে আর কিছু বলা সম্ভব নয় : বিক্রম মিশ্রি
মার্কিন গাড়ি আমদানিতে ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা কানাডার
প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার
বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিল বাংলাদেশ