সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অনেক আবিস্কার আছে

 

ইফতেখার আহমেদ ফাগুন


আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’। টাঙ্গুয়া, হাকালুকি, হাইল হাওড়ের নাম তো বাংলাদেশ ও বিশ্বের ভ্রমণপিয়াসু; পরিবেশবাদী সব মানুষের জানা। এগুলো কেবল আমাদের নয়, সারা বিশ্বেরও সম্পদ।

টাঙ্গুয়ার হাওড়কে ইউনেসকো ‘রামসার সাইট’ ঘোষণা করেছে। বিশ্বজুড়ে পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম আশ্রয় ও আবাসস্থল এই হাওড়গুলো। আশপাশের গরীব জলজীবি ও কৃষিজীবীদের বেঁচে থাকার আশ্রয়।


পুরো সিলেটে ছড়িয়ে আছে চা বাগান। বাংলাদেশের চা শিল্পের প্রাণ বাগানগুলো। সিলেটের চা খাননি বিশ্বে এমন মানুষ কী আছেন? টিলা, পাহাড়, সমভূমি ও জলাভূমির সিলেটের কৃষি ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশে এবং সেগুলোর প্রাণপ্রবাহ, ভবিষ্যতের উন্নয়নের প্রধান কেন্দ্র আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। দেখতে, দেখতে ১৫ বছরে পা রাখলো।

সে উৎসব করতে মহামারি রোগের ভেতরে, করোনা ভাইরাসের আক্রমণের মধ্যেও ক্যাম্পাসে আসা থামানো যায়নি ছাত্র, ছাত্রী; শিক্ষক, কমকতা, কর্মচারীদের। একটু দেরিতে এই খবর জানালেও যারা জানেন না, তাদের বলছি-সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন ২ নভেম্বর।

এদিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে সব বিভাগের শিক্ষক ও সর্বস্তরের কমকতা-কমচারীদের শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু, নানা রঙের বেলুন ও সাদা পায়রা শান্তির প্রতীক উড়িয়ে ভিসি স্যার প্রতিষ্ঠাবাষিকীর শুরু করে দেন। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে পুরো ক্যাম্পাসে ঘুরে আসার জন্য বর্ণাঢ্য যাত্রার শুরু হলো। টিলাগড় চত্বরও ঘুরে আসে।


বলা প্রয়োজন, বাংলাদেশের তৃতীয় ‘ইকোপাক’ হলো ‘টিলাগড় ইকোপাক’। ছোট, বড় টিলার মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ছড়া। লাক্কাতুরা চা বাগান ও শেভরনের গ্যাসক্ষেত্রটি এখানে।


এরপর আমরা ফিরলাম ক্যাম্পাসের টিএসসিতে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে বিলিয়ে দেওয়া হলো সবাইকে।


আমাদের গ্রামগুলোকে ভুলিনি


টিএসসির বৈশাখী চত্বরে শুরু হলো গ্রামীণ নানা বিনোদন আয়োজন। প্রথমেই লাঠিখেলায় মেতে উঠলেন খেলোয়াড় ছাত্ররা। আজ খেলাটির দেখা পাওয়া ভার। তারপর হারানোর দিকে চলে যাওয়া পুতুলনাচ। তাতে অংশ নিলেন ছাত্রী এবং শিক্ষিকারাও। কাপড়ের পুতুলে প্রাণ ফিরে এলো স্থানীয় সংলাপ, সঙ্গীত আর বাজনার তালে। আয়োজনগুলোতে দর্শক ছিলেন আমাদের অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকতা, কর্মচারী ও শহরের গণ্যমান্যরা।


পুরোনো এক ইতিহাসের নতুন গল্প
‘সিলেট ভেটেরিনারি কলেজ’ রূপান্তরিত হয়েছে সিলেটের গর্ব ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’-এ। জন্ম ২০০৬ সালে। শ্লোগান-‘কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি’। সিলেটের টিলাঘেরা সবুজ ক্যাম্পাসে আছে। এখন ছয় অনুষদ ও ৪৭ বিভাগের বিরাট ক্যাম্পাস। সেগুলোর মাধ্যমে চলছে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণা। অনেক আবিস্কার আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ছাত্রছাত্রীদের।


কটি বলি-সিলেট ও সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ‘আগাম ধান চাষ’ শুরু করে প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন, ‘বছরব্যাপী উৎপাদনশীল শিম জাত উদ্ভাবন’, ‘চাষীদের নিয়মিত কৃষি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান’, ‘গ্রীষ্মে চাষের জন্য শিম ও টমেটোর নতুন জাত উদ্ভাবন’, ‘বাগানগুলোর উৎপাদিত চায়ের মান নির্ণয় যন্ত্র আবিস্কার’, ‘স্বয়ংক্রিয় জলসেচ যন্ত্র তৈরি’, ‘উলম্বাকৃতির ভাসমান খামারের একটি স্থানেই বেশি শষ্য উৎপাদন কৌশল’, ‘মাছের মড়ক রোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কার’, ‘জলাবন রাতারগুল ও হাওরাঞ্চলে দেশী জাতের মাছ রক্ষায় অভয়াশ্রম গড়ে তোলা’, ‘হাওড়বাওড়ের মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন’, ‘মাৎস্যচাষে সয়াগ্রোথ বোস্টার নামের পরিপূরক প্রোটিন আবিষ্কার’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামুদ্রিক কুয়াশা নির্ধারণ’, ‘স্যাটেলাইটের তথ্য স্থানান্তর কৌশলের মাধ্যমে সামুদ্রিক দূর্ঘটনা রোধ’ ইত্যাদি।

ভিসি স্যার বললেন
অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার তার বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আগামী ২০ বছর মেয়াদী উচ্চমানের পরিকল্পনা তৈরি করেছি। সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সাহায্য পেলে বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সেন্টার অব এক্সসিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলব।”


তিনি আরো বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের আক্রমণেও অন্য বিশ্ববিদ্যালগুলোর মতো আমরা গবেষণা, উন্নয়ন ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয় যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য সবাই কাজ করছেন। তাতে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেতে পারবে।’


ওএস-২১/১/২০২২।

Header Ad
Header Ad

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

কাতার সফর এবং পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় রোববার দুপুর দেড়টায় তিনি ইতালির রাজধানী রোম ত্যাগ করেন। এরপর সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টায় তাকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।

গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে তিনি শুক্রবার কাতারের দোহা থেকে রোমে পৌঁছান।

পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের দুই শীর্ষ নেতা-কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি ও কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড।

তারা পোপ ফ্রান্সিসের দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নের স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি, ড. ইউনূসের কাজের জন্য তাকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যবিরোধী আন্দোলনে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানবিক নেতা।


এছাড়া শনিবার ভ্যাটিকানে জাতিসংঘ অফিসের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসিও ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে কার্ডিনাল তোমাসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

Header Ad
Header Ad

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

অ্যানফিল্ডে শিরোপা উৎসব করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন লিভারপুলের ফুটবলার ও সমর্থকরা। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে নিস্তব্ধতা নেমে আসে গ্যালারিতে।

এক গোল খেয়ে গর্জে উঠতে সময় লাগেনি অলরেডদের। একের পর এক গোলে গ্যালারির লাল সমুদ্রে যেন উত্তাল ঢেউ উঠেছিল, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তা সুনামিতে রূপ নেয়। ২০২৪-২৫ চ্যাম্পিয়ন্স লেখা জার্সি পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। বিশেষ জার্সি পরে উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায় মোহাম্মদ সালাহ-ভার্জিল ফন ডাইকদের। রেকর্ড ছোঁয়া ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ছুঁয়েছে তারা।

রবিবার লিভারপুলের দরকার ছিল কেবল এক পয়েন্ট। অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করলো তারা। জিতেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করলো অলরেডরা। ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট তাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের ৬৭ পয়েন্ট। আর কোনোভাবেই লিভারপুলকে পেছনে ফেলা সম্ভব নয়। তাতে চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে লিভারপুল।

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

১২ মিনিটে ডমিনিক সোলাঙ্কের হেডে টটেনহাম এগিয়ে গিয়েছিল। লিভারপুল পিছিয়ে পড়লেও গর্জে ওঠে। গোল খাওয়ার চার মিনিট পর লুইস দিয়াজ সমতা ফেরান। ২৪তম মিনিটে অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার লিভারপুল এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ৩৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল করেন কডি গাকপো।

৬৩ মিনিটে সোবোসলাইয়ের পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে জাল কাঁপান মোহাম্মদ সালাহ। চলতি প্রিমিয়ার লিগে ২৮তম গোল করে শীর্ষ গোলদাতার আসন আরও সুসংহত করলেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ১৮৫তম গোলে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে গেলেন সালাহ।

ছয় মিনিট পর আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস সালাহর কাছে পৌঁছানোর আগেই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান টটেনহাম ডিফেন্ডার উডোগি।

ছবি: সংগৃহীত

লিভারপুলের আর্নে স্লট পঞ্চম কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতলেন। হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি ও আন্তোনিও কোন্তে এর আগে এই কীর্তি গড়েন।

ফেনুর্দকে শিরোপা জিতিয়ে ইংল্যান্ডে পা রেখে সফল হলেন স্লট। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বললেন, ‘কিছু জেতা সবসময় বিশেষ। আর সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যদি আপনি প্রথম হন। আরও বিশেষ হওয়ার কারণ এমন একটি ক্লাবে এই সাফল্য পাওয়া, যাদের প্রত্যেক বছর লিগ জেতা হয়ে ওঠে না।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা