শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডাইনিংয়ে দাম বাড়লেও বাড়েনি খাবারের মান

এক কেজি মুরগির মাংস করা হয় ২০-২৫ পিস। আর মাছের ক্ষেত্রে যত ছোট পিস করা যায়। ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ বা মাংস তাতেই বিল আসে ৪০-৪৫ টাকা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ডাইনিংগুলোর খাবারের চিত্র এটি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গে খাবারের দাম বাড়লেও বাড়েনি খাবারের মান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান(ছদ্মনাম)।সকালে ক্লাস না থাকলে ঘুম থেকে ওঠেন দেড়িতে,যাতে সকাল ও দুপুরের খাবার একবারেই সেরে নেওয়া যায়।সকালে ক্লাস থাকলে ক্লাস শেষে দুপুর ১২ টায় সকাল ও দুপুরের খাবার একবারেই সেরে ফেলেন। শুধু মশিউর নয়৷ মশিউরের মতো অধিকাংশ শিক্ষার্থীর রুটিন এটি৷ খাবারের ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে তারা এই রুটিন অনুসরণ করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা যা খান তার দামের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এক টুকরো মাছ বা মুরগির মাংস এবং ভর্তা দিয়ে এক প্লেট ভাত খেতে সর্বনিম্ন খরচ হয় ৪৮ টাকা। একটি ডিম ও ভর্তা দিয়ে খেতে খরচ পড়ে ৩৮ টাকা। আলাদা হিসাব করলে ভাতের দাম বর্তমানে ৮ টাকা (প্রতি প্লেট), সবজির দাম ২০ টাকা, মাছ ৩০ টাকা, মুরগি ৩০ টাকা। যেখানে ২০২০ সালে প্রতি প্লেট ভাত ছিল ৬ টাকা, ডিম ১৫ টাকা, প্রতি পিস মাংস ২৫ টাকা এবং প্রতি পিস মাছের দাম ছিল ২৫ টাকা।খাবারের দাম বাড়লেও বাড়েনি মান।খাবারের মান আগে যেমন ছিল এখনও তেমন ই আছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

ডাইনিংয়ের এই খাবার দিয়ে শিক্ষার্থীদের পুষ্টিচাহিদা না মিটলেও অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা এই খাবার খাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবেল(ছদ্মনাম) বলেন, এই খাবারে আমার দৈহিক চাহিদা পূরণ না হলেও এটি খাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার মাসে ৪ হাজার টাকার মধ্যে আমার চলতে হয়।পর্যাপ্ত আমিষসমৃদ্ধ খাবার খেতে চাইলে এক বেলায় সর্বনিম্ন ৭০ টাকা খরচ করতে হয়।যেটি বহন করা আমার পক্ষে অসম্ভব।

যারা সকালে নাশতা করেন, তাদের খাদ্যতালিকায় থাকে সাধারণত সবজি ও রুটি বা পরোটা। খুব কম শিক্ষার্থী দৈনিক সকালের নাশতার সঙ্গে ডিম খেতে পান। দুপুর ও রাতের খাবারের তালিকায় থাকে সাধারণত ভাত, মাছ, মুরগির মাংস (ফার্মের),পাতলা ডাল। বিকালের নাশতা বলতে সাধারণত এক-দুই পিস বিস্কুট বা পাউরুটি, কলা বা চটপটি। এসব নিয়মিত খেতে পান এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাতেগোনা। এবার দেখা যাক এই খাবারে কতটুকু শক্তি আছে।

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ৩০ গ্রামের একটি রুটিতে থাকে ৭০ থেকে ৭৫ ক্যালরি, একটি ডিমে ৯০ ক্যালরি, ১০০ গ্রাম মিক্সড সবজিতে ৫০ ক্যালরি, ৬০ গ্রাম ভাতে ৭৫ থেকে ৮০ ক্যালরি, ৩০ গ্রাম মাছে ৪০ ক্যালরি, ৩০ গ্রাম মুরগিতে ৪০ থেকে ৬০ ক্যালরি, ৩০ গ্রাম ডালে ১০০ ক্যালরি।

গবেষণা বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা দৈনিক যে খাবার খান তাতে পুষ্টির পরিমাণ গড়ে ১ হাজার ৮২১ কিলোক্যালরি। অথচ পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দিনে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার কিলোক্যালরি গ্রহণ করা উচিত।

একজন সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় ও পরিমাণমতো ছয়টি উপাদানযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হয়, যা পুষ্টিচাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায়। আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি গ্রহণ করলে দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়।

সেজন্য একজন পূর্ণবয়স্ক শিক্ষার্থীর দৈনিক সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয় সাধারণত ১ হাজার ৩০০ গ্রাম। সেটা এমন হতে পারে : ভাত ২৫০ গ্রাম, আলু ভাজি ১০০ গ্রাম, ছোট মাছ ৮০ গ্রাম, শাকসবজি ২৫০ গ্রাম, মৌসুমি ফল ২৫০ গ্রাম, মাংস ৫০ গ্রাম, চিনি-গুড় ২০ গ্রাম, দুধ ৩০০ গ্রাম। সেখানে হলের খাবারের তালিকায় থাকে ছোট্ট এক টুকরো মুরগি বা মাছ।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ(ছদ্মনাম) জানান, পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য খেতে হলে আমাদের দৈনিক সর্বনিম্ন ২৫০ টাকার খাবার গ্রহণ করতে হবে, যেটি হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কারণ এখানে যারা পড়াশোনা করে সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।

জয়ন্ত সাহা নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান,আমরা যে ধরণের খাবারগুলো গ্রহণ করছি সেটি আমাদের শরীরে মারাত্বক প্রভাব ফেলছে। এটি আমরা এখন বুঝতে না পারলেও বয়স কিছুটা বাড়ার সাথে সাথে এর প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪টি আবাসিক হলেই ডাইনিং চালু আছে। ডাইনিংয়ের পাশাপাশি রয়েছে একটি ক্যাফেটেরিয়া। ক্যাফেটেরিয়া খাবার দাম আরও উর্দ্ধমুখী। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হল, দোলনচাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মিলিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় আড়াই হাজার। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেসগুলোতে থাকের অনেক শিক্ষার্থী। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া কিংবা হলের ডাইনিংয়ে খাবারের ওপর নির্ভরশীল।

ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়া ঘুরে দেখা গেছে, ছোট এক টুকরো মাছ বা মাংসের সাথে পাতলা ডাল দিয়ে খাবার গ্রহণ করছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী।যে ভাত পরিবেশন করা হচ্ছে সেটিও মোটা চালের। ডালের যে পাত্র থাকে, তাতে ডালের পরিমাণ সামান্যই।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাইনিং মালিক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের কোনো ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে ডাইনিং চালাতে আমাদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রশাসন থেকে কিছু ভর্তুকি পেলে আমরা খাবারের মান কিছুটা উন্নত করতে পারতাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে খাবারে ভর্তুকির দাবি জানিয়ে বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইশরাত বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের দামও বেড়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ভর্তুকি দিয়ে খাবারের মান ঠিক রাখা।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, আমার পরিবারের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায়। কিছুদিন আগেও তিন হাজার টাকায় মাস চলে যেত। আর এখন একবেলা না খেয়েও চার হাজারে মাস পার হচ্ছে না। এখন সকাল-দুপুর মিলিয়ে এক বেলা খাচ্ছি। তবুও টাকা বেশি লাগছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ভর্তুকি না থাকায় ডাইনিংয়ে খুবই নিম্নমানের খাবার উচ্চমূল্যে খেতে হয়। এতে টাকাও খরচ হয় পুষ্টিকর খাবারও পাই না। প্রশাসনের উচিৎ হলে খাবারের ভর্তুকির ব্যাপারে নজর দেওয়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা হলের খাবারের পুষ্টিমান ঠিক আছে দাবি করে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্যের কোনো ভর্তুকি নেই। হলের দায়িত্ব হচ্ছে খাবারের ব্যবস্থা করা এবং দাম ঠিক রাখা। বাইরের তুলনায় আমাদের এখানে কম মূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়৷ কারো যদি অর্থনৈতিক সংকট থাকে তাহলে হয়তো খাদ্যের যোগানের ঘাটতি হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড.হুমায়ুন কবীর বলেন, ডাইনিংয়ে ভর্তুকি নেই এই কথাটি ঠিক না। বাবুর্চির বেতন,রান্নার আসবাব পত্র, প্লেট, গ্লাস এগুলোর ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকে।যদি ভর্তুকি না থাকতো তাহলে এই খাবার আরও বেশি দামে খেতে হতো। খাদ্যের পুষ্টিমান নিশ্চিতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাইনিং ব্যবস্থাপনার যারা আছেন তারা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
এএজেড

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ