বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৪২ বছরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চালু হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এখন তার অনেক অর্জন। মোট বিভাগ আছে ৩৪টি। আর ছাত্রছাত্রী আছেন সেখানে ১৩ হাজার। বাংলাদেশ তো বটেই, সারা বিশ্বেই নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে তার। লিখেছেন রুমি নোমান

যাত্রা হলো শুরু : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার শুরু করতে চাইলেন সরকার। সেখানে ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার প্রসারের চিন্তাটিই ছিল প্রধান। সেজন্য ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকার একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করলেন। পরের বছরের শুরুর দিকে সৌদী আররের মক্কায় হলো ‘প্রথম মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’। তাতে আমন্ত্রিত হয়ে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রতিটি মুসলমান দেশে একটি করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করলেন। গ্রহণ করা হলো। ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হলো। সেজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম এ বারীর নেতৃত্বে কমিটি করা হলো। তারা অনেক কাজ করে একটি প্রতিবেদন জমা দিলেন। সেটি নিয়ে ১৯৭৯ সালের ২২ নবেম্বর সরকার কুষ্টিয়ার শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করলেন। নানা সংকট পেরিয়ে আস্তে, আস্তে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরি হয়ে গেল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৯৮৫ সালে লেখাপড়া শুরু হলো এখানে।

প্রথমের গল্প : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ভিসি হিসেবে কাজ করেছেন অধ্যাপক ড. এএনএম মমতাজ উদ্দীন। প্রথম শিক্ষাবর্ষ ছিল ১৯৮৫-’৮৬। প্রথম দুটি অনুষদের একটি ছিল থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ। এখানে প্রথম দুটি বিভাগ ছিল আল কুরআন-ওয়া উলুম কুরআন ও উলুমত তাওহীদ ওয়াদ্ দাওয়াহ। অন্য অনুষদটি ছিল মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান। এখানেও দুটি বিভাগ ছিল হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা। প্রথম শিক্ষাবষে ভতি হয়েছিলেন প্রায় ৩শ ছাত্র, ছাত্রী।

এখন আছে : একটি বিরাট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরি হয়ে গিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। মোট অনুষদ আছে আটটি। সেগুলোর অধীনে আছে মোট ৩৪টি বিভাগ। ইনিস্টিটিউট আছে একটি। সবগুলো বিভাগের অধীনে মোট ১৩ হাজার শিক্ষার্থী, ৪শ ৫ জন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট কর্মকর্তার সংখ্যা ৩শ ২০ জন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্যকারী কর্মচারী আছেন ১শ ৮১ জন। সাধারণ কর্মচারী আছেন এই ক্যাম্পাসে মোট ৩শ জন। তাদের সবার মাথার ওপরে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নামকরা শিক্ষাবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক ড. শেখ আব্দুস সালাম। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ভিসি।

এটি হলো : বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এর বয়স ৪২ বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

এক পলকে : মোট ১শ ৭৫ একরের বিরাট এক বিশ্ববিদ্যালয় এটি। একটি পূণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা কিছু আছে, তার সবই আছে এখানে। আছে এখন দুটি প্রশাসনিক ভবন, ছয়টি অ্যাকাডেমিক ভবন, পাঁচটি ছাত্র হল, তিনটি ছাত্রী হল, একটি অত্যাধুনিক মিলনায়তন, ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি), ক্যাফেটেরিয়া, গ্রন্থাগার, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আলাদা আবাসিক ভবন, আধুনিক একটি ব্যায়ামাগার, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ, ভাষা শহীদদের স্মরণে গড়া ‘শহীদ মিনার’, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতিস্মারক ‘মুক্ত বাংলা’, ‘স্মৃতিসৌধ’, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্মারক "মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’, বিশ্ববিদ্যালয় ডাকঘর, বাংলাদেশ পুলিশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ‘মফিজ লেক’ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’। এখন তো ৫শ ৩৭ কোটি টাকার বিরাট প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলছে এখানে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা পুরো পাল্টে যাবে।

লাইব্রেরির গল্প : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি ডিজিটাল। তাতে পড়ালেখার জন্য বই, পত্র হাতের কাছেই পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা। সেমিস্টার নিয়মে লেখাপড়া এবং অধ্যাপকদের মনোযোগ দিয়ে পড়ানোর ফলে, ছাত্র, ছাত্রীদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশনজট নেই। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আইনের ছাত্রী নিশাত নওরীন জানালেন, ‘এখানে ভর্তি হওয়ার আগে সেশনজটের ভয়াবহতার কথা শুনেছিলাম। তারপরও সাহস করে ভালো বিষয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম। তাতে দেখলাম সেশনজট নেই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেজন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে ইন্টারনেট সেবার অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নানা দেশের মোট ৪০ জন ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করছেন। নানা দেশের কয়েকজন শিক্ষকও আছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আছে নানা অসুবিধা : ৪২ বছর হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কিছু অপূর্ণতা আছে। সেগুলোর সমাধান আজো করা যায়নি। এই বিষয়ে বলেছেন পিয়াস পাণ্ডে নামের একজন ছাত্র, ‌‌‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ ও ক্ষেত্রটি সংকীণ আছে। তাছাড়াও একটি পুর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একে আজো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ছাত্র, ছাত্রীরা ২৫ কিলোমিটারের দূরের পথ পাড়ি দিয়ে লেখাপড়া করতে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র, ছাত্রীদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ছাত্র সংসদ চালু করা হয়নি।

উপাচার্য বলেছেন : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘আমার মূল পরিকল্পনা হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাকাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয় করে তুলব। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয় উন্নত পরিবেশ তৈরী করতে কাজ করছি। এক্ষেত্রে আর্থিক সন্নিবেশ সুনিশ্চিত করব। তবে আমার একার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সার্বিক বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। ছাত্র, ছাত্রীদের দীঘদিনের দাবী ছাত্র সংসদ নির্বাচন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটি তাদের ন্যায্য অধিকার। তবে দেশের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অসুবিধার কারণে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ব্যাপকভাবে কাজ করছি।’

১৮-১-২০২২।

 

Header Ad
Header Ad

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সিরিয়ার বর্তমান ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানে শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন এই নেতা। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির সংবিধান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং আসাদ সরকারের সংসদ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। তিনি আরও বলেন, আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলা হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইল ও হামাসের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও ১১০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পাশাপাশি হামাস ৫ থাই নাগরিকসহ ৮ জনকে মুক্তি দিবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এই বন্দি বিনিময় হতে যাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটিই তৃতীয় বন্দি বিনিময় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আলজাজিরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজেদের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিন ইসরাইলি জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এরা হলেন আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্গার এবং গ্যাডি মোশে মোজেস।

এই জিম্মিদের বিনিময়ে যে ১১০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পাচ্ছেন— সে তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৪৮ জন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড এবং ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কারাবন্দি রয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার চতুর্থ বন্দিবিনিময়ে ৩ ইসরাইলি পুরুষকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তুম্মাম শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, আলজাজিরার তথ্যমতে, উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত
মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু