সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৪২ বছরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চালু হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এখন তার অনেক অর্জন। মোট বিভাগ আছে ৩৪টি। আর ছাত্রছাত্রী আছেন সেখানে ১৩ হাজার। বাংলাদেশ তো বটেই, সারা বিশ্বেই নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে তার। লিখেছেন রুমি নোমান

যাত্রা হলো শুরু : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার শুরু করতে চাইলেন সরকার। সেখানে ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার প্রসারের চিন্তাটিই ছিল প্রধান। সেজন্য ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকার একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করলেন। পরের বছরের শুরুর দিকে সৌদী আররের মক্কায় হলো ‘প্রথম মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’। তাতে আমন্ত্রিত হয়ে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রতিটি মুসলমান দেশে একটি করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করলেন। গ্রহণ করা হলো। ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হলো। সেজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম এ বারীর নেতৃত্বে কমিটি করা হলো। তারা অনেক কাজ করে একটি প্রতিবেদন জমা দিলেন। সেটি নিয়ে ১৯৭৯ সালের ২২ নবেম্বর সরকার কুষ্টিয়ার শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করলেন। নানা সংকট পেরিয়ে আস্তে, আস্তে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরি হয়ে গেল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৯৮৫ সালে লেখাপড়া শুরু হলো এখানে।

প্রথমের গল্প : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ভিসি হিসেবে কাজ করেছেন অধ্যাপক ড. এএনএম মমতাজ উদ্দীন। প্রথম শিক্ষাবর্ষ ছিল ১৯৮৫-’৮৬। প্রথম দুটি অনুষদের একটি ছিল থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ। এখানে প্রথম দুটি বিভাগ ছিল আল কুরআন-ওয়া উলুম কুরআন ও উলুমত তাওহীদ ওয়াদ্ দাওয়াহ। অন্য অনুষদটি ছিল মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান। এখানেও দুটি বিভাগ ছিল হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা। প্রথম শিক্ষাবষে ভতি হয়েছিলেন প্রায় ৩শ ছাত্র, ছাত্রী।

এখন আছে : একটি বিরাট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরি হয়ে গিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। মোট অনুষদ আছে আটটি। সেগুলোর অধীনে আছে মোট ৩৪টি বিভাগ। ইনিস্টিটিউট আছে একটি। সবগুলো বিভাগের অধীনে মোট ১৩ হাজার শিক্ষার্থী, ৪শ ৫ জন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট কর্মকর্তার সংখ্যা ৩শ ২০ জন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্যকারী কর্মচারী আছেন ১শ ৮১ জন। সাধারণ কর্মচারী আছেন এই ক্যাম্পাসে মোট ৩শ জন। তাদের সবার মাথার ওপরে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নামকরা শিক্ষাবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক ড. শেখ আব্দুস সালাম। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ভিসি।

এটি হলো : বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এর বয়স ৪২ বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

এক পলকে : মোট ১শ ৭৫ একরের বিরাট এক বিশ্ববিদ্যালয় এটি। একটি পূণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা কিছু আছে, তার সবই আছে এখানে। আছে এখন দুটি প্রশাসনিক ভবন, ছয়টি অ্যাকাডেমিক ভবন, পাঁচটি ছাত্র হল, তিনটি ছাত্রী হল, একটি অত্যাধুনিক মিলনায়তন, ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি), ক্যাফেটেরিয়া, গ্রন্থাগার, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আলাদা আবাসিক ভবন, আধুনিক একটি ব্যায়ামাগার, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ, ভাষা শহীদদের স্মরণে গড়া ‘শহীদ মিনার’, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতিস্মারক ‘মুক্ত বাংলা’, ‘স্মৃতিসৌধ’, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্মারক "মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’, বিশ্ববিদ্যালয় ডাকঘর, বাংলাদেশ পুলিশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ‘মফিজ লেক’ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’। এখন তো ৫শ ৩৭ কোটি টাকার বিরাট প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলছে এখানে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা পুরো পাল্টে যাবে।

লাইব্রেরির গল্প : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি ডিজিটাল। তাতে পড়ালেখার জন্য বই, পত্র হাতের কাছেই পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা। সেমিস্টার নিয়মে লেখাপড়া এবং অধ্যাপকদের মনোযোগ দিয়ে পড়ানোর ফলে, ছাত্র, ছাত্রীদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশনজট নেই। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আইনের ছাত্রী নিশাত নওরীন জানালেন, ‘এখানে ভর্তি হওয়ার আগে সেশনজটের ভয়াবহতার কথা শুনেছিলাম। তারপরও সাহস করে ভালো বিষয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম। তাতে দেখলাম সেশনজট নেই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেজন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে ইন্টারনেট সেবার অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নানা দেশের মোট ৪০ জন ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করছেন। নানা দেশের কয়েকজন শিক্ষকও আছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আছে নানা অসুবিধা : ৪২ বছর হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কিছু অপূর্ণতা আছে। সেগুলোর সমাধান আজো করা যায়নি। এই বিষয়ে বলেছেন পিয়াস পাণ্ডে নামের একজন ছাত্র, ‌‌‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ ও ক্ষেত্রটি সংকীণ আছে। তাছাড়াও একটি পুর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একে আজো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ছাত্র, ছাত্রীরা ২৫ কিলোমিটারের দূরের পথ পাড়ি দিয়ে লেখাপড়া করতে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র, ছাত্রীদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ছাত্র সংসদ চালু করা হয়নি।

উপাচার্য বলেছেন : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘আমার মূল পরিকল্পনা হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাকাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয় করে তুলব। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয় উন্নত পরিবেশ তৈরী করতে কাজ করছি। এক্ষেত্রে আর্থিক সন্নিবেশ সুনিশ্চিত করব। তবে আমার একার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সার্বিক বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। ছাত্র, ছাত্রীদের দীঘদিনের দাবী ছাত্র সংসদ নির্বাচন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটি তাদের ন্যায্য অধিকার। তবে দেশের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অসুবিধার কারণে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ব্যাপকভাবে কাজ করছি।’

১৮-১-২০২২।

 

Header Ad
Header Ad

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

কাতার সফর এবং পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় রোববার দুপুর দেড়টায় তিনি ইতালির রাজধানী রোম ত্যাগ করেন। এরপর সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টায় তাকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।

গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে তিনি শুক্রবার কাতারের দোহা থেকে রোমে পৌঁছান।

পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের দুই শীর্ষ নেতা-কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি ও কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড।

তারা পোপ ফ্রান্সিসের দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নের স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি, ড. ইউনূসের কাজের জন্য তাকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যবিরোধী আন্দোলনে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানবিক নেতা।


এছাড়া শনিবার ভ্যাটিকানে জাতিসংঘ অফিসের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসিও ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে কার্ডিনাল তোমাসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

Header Ad
Header Ad

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

অ্যানফিল্ডে শিরোপা উৎসব করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন লিভারপুলের ফুটবলার ও সমর্থকরা। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে নিস্তব্ধতা নেমে আসে গ্যালারিতে।

এক গোল খেয়ে গর্জে উঠতে সময় লাগেনি অলরেডদের। একের পর এক গোলে গ্যালারির লাল সমুদ্রে যেন উত্তাল ঢেউ উঠেছিল, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তা সুনামিতে রূপ নেয়। ২০২৪-২৫ চ্যাম্পিয়ন্স লেখা জার্সি পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। বিশেষ জার্সি পরে উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায় মোহাম্মদ সালাহ-ভার্জিল ফন ডাইকদের। রেকর্ড ছোঁয়া ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ছুঁয়েছে তারা।

রবিবার লিভারপুলের দরকার ছিল কেবল এক পয়েন্ট। অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করলো তারা। জিতেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করলো অলরেডরা। ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট তাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের ৬৭ পয়েন্ট। আর কোনোভাবেই লিভারপুলকে পেছনে ফেলা সম্ভব নয়। তাতে চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে লিভারপুল।

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

১২ মিনিটে ডমিনিক সোলাঙ্কের হেডে টটেনহাম এগিয়ে গিয়েছিল। লিভারপুল পিছিয়ে পড়লেও গর্জে ওঠে। গোল খাওয়ার চার মিনিট পর লুইস দিয়াজ সমতা ফেরান। ২৪তম মিনিটে অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার লিভারপুল এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ৩৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল করেন কডি গাকপো।

৬৩ মিনিটে সোবোসলাইয়ের পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে জাল কাঁপান মোহাম্মদ সালাহ। চলতি প্রিমিয়ার লিগে ২৮তম গোল করে শীর্ষ গোলদাতার আসন আরও সুসংহত করলেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ১৮৫তম গোলে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে গেলেন সালাহ।

ছয় মিনিট পর আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস সালাহর কাছে পৌঁছানোর আগেই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান টটেনহাম ডিফেন্ডার উডোগি।

ছবি: সংগৃহীত

লিভারপুলের আর্নে স্লট পঞ্চম কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতলেন। হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি ও আন্তোনিও কোন্তে এর আগে এই কীর্তি গড়েন।

ফেনুর্দকে শিরোপা জিতিয়ে ইংল্যান্ডে পা রেখে সফল হলেন স্লট। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বললেন, ‘কিছু জেতা সবসময় বিশেষ। আর সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যদি আপনি প্রথম হন। আরও বিশেষ হওয়ার কারণ এমন একটি ক্লাবে এই সাফল্য পাওয়া, যাদের প্রত্যেক বছর লিগ জেতা হয়ে ওঠে না।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা