শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৪২ বছরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চালু হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এখন তার অনেক অর্জন। মোট বিভাগ আছে ৩৪টি। আর ছাত্রছাত্রী আছেন সেখানে ১৩ হাজার। বাংলাদেশ তো বটেই, সারা বিশ্বেই নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে তার। লিখেছেন রুমি নোমান

যাত্রা হলো শুরু : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার শুরু করতে চাইলেন সরকার। সেখানে ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার প্রসারের চিন্তাটিই ছিল প্রধান। সেজন্য ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকার একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করলেন। পরের বছরের শুরুর দিকে সৌদী আররের মক্কায় হলো ‘প্রথম মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’। তাতে আমন্ত্রিত হয়ে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রতিটি মুসলমান দেশে একটি করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করলেন। গ্রহণ করা হলো। ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও একটি আন্তর্জাতিক মানের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হলো। সেজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম এ বারীর নেতৃত্বে কমিটি করা হলো। তারা অনেক কাজ করে একটি প্রতিবেদন জমা দিলেন। সেটি নিয়ে ১৯৭৯ সালের ২২ নবেম্বর সরকার কুষ্টিয়ার শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করলেন। নানা সংকট পেরিয়ে আস্তে, আস্তে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরি হয়ে গেল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৯৮৫ সালে লেখাপড়া শুরু হলো এখানে।

প্রথমের গল্প : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ভিসি হিসেবে কাজ করেছেন অধ্যাপক ড. এএনএম মমতাজ উদ্দীন। প্রথম শিক্ষাবর্ষ ছিল ১৯৮৫-’৮৬। প্রথম দুটি অনুষদের একটি ছিল থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ। এখানে প্রথম দুটি বিভাগ ছিল আল কুরআন-ওয়া উলুম কুরআন ও উলুমত তাওহীদ ওয়াদ্ দাওয়াহ। অন্য অনুষদটি ছিল মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান। এখানেও দুটি বিভাগ ছিল হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা। প্রথম শিক্ষাবষে ভতি হয়েছিলেন প্রায় ৩শ ছাত্র, ছাত্রী।

এখন আছে : একটি বিরাট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরি হয়ে গিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। মোট অনুষদ আছে আটটি। সেগুলোর অধীনে আছে মোট ৩৪টি বিভাগ। ইনিস্টিটিউট আছে একটি। সবগুলো বিভাগের অধীনে মোট ১৩ হাজার শিক্ষার্থী, ৪শ ৫ জন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট কর্মকর্তার সংখ্যা ৩শ ২০ জন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্যকারী কর্মচারী আছেন ১শ ৮১ জন। সাধারণ কর্মচারী আছেন এই ক্যাম্পাসে মোট ৩শ জন। তাদের সবার মাথার ওপরে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নামকরা শিক্ষাবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক ড. শেখ আব্দুস সালাম। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ভিসি।

এটি হলো : বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এর বয়স ৪২ বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

এক পলকে : মোট ১শ ৭৫ একরের বিরাট এক বিশ্ববিদ্যালয় এটি। একটি পূণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা কিছু আছে, তার সবই আছে এখানে। আছে এখন দুটি প্রশাসনিক ভবন, ছয়টি অ্যাকাডেমিক ভবন, পাঁচটি ছাত্র হল, তিনটি ছাত্রী হল, একটি অত্যাধুনিক মিলনায়তন, ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি), ক্যাফেটেরিয়া, গ্রন্থাগার, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আলাদা আবাসিক ভবন, আধুনিক একটি ব্যায়ামাগার, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ, ভাষা শহীদদের স্মরণে গড়া ‘শহীদ মিনার’, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতিস্মারক ‘মুক্ত বাংলা’, ‘স্মৃতিসৌধ’, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্মারক "মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’, বিশ্ববিদ্যালয় ডাকঘর, বাংলাদেশ পুলিশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ‘মফিজ লেক’ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’। এখন তো ৫শ ৩৭ কোটি টাকার বিরাট প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলছে এখানে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা পুরো পাল্টে যাবে।

লাইব্রেরির গল্প : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি ডিজিটাল। তাতে পড়ালেখার জন্য বই, পত্র হাতের কাছেই পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা। সেমিস্টার নিয়মে লেখাপড়া এবং অধ্যাপকদের মনোযোগ দিয়ে পড়ানোর ফলে, ছাত্র, ছাত্রীদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশনজট নেই। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আইনের ছাত্রী নিশাত নওরীন জানালেন, ‘এখানে ভর্তি হওয়ার আগে সেশনজটের ভয়াবহতার কথা শুনেছিলাম। তারপরও সাহস করে ভালো বিষয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম। তাতে দেখলাম সেশনজট নেই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেজন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে ইন্টারনেট সেবার অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নানা দেশের মোট ৪০ জন ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করছেন। নানা দেশের কয়েকজন শিক্ষকও আছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আছে নানা অসুবিধা : ৪২ বছর হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কিছু অপূর্ণতা আছে। সেগুলোর সমাধান আজো করা যায়নি। এই বিষয়ে বলেছেন পিয়াস পাণ্ডে নামের একজন ছাত্র, ‌‌‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ ও ক্ষেত্রটি সংকীণ আছে। তাছাড়াও একটি পুর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একে আজো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ছাত্র, ছাত্রীরা ২৫ কিলোমিটারের দূরের পথ পাড়ি দিয়ে লেখাপড়া করতে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র, ছাত্রীদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ছাত্র সংসদ চালু করা হয়নি।

উপাচার্য বলেছেন : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘আমার মূল পরিকল্পনা হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাকাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয় করে তুলব। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয় উন্নত পরিবেশ তৈরী করতে কাজ করছি। এক্ষেত্রে আর্থিক সন্নিবেশ সুনিশ্চিত করব। তবে আমার একার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সার্বিক বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। ছাত্র, ছাত্রীদের দীঘদিনের দাবী ছাত্র সংসদ নির্বাচন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটি তাদের ন্যায্য অধিকার। তবে দেশের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অসুবিধার কারণে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ব্যাপকভাবে কাজ করছি।’

১৮-১-২০২২।

 

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ