রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পুরোপুরি বদলে যাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বা বিশ্ববিদ্যালয় গেট পেরুলেই চমকে যাবেন। ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই চোখে পড়বে অনেকগুলো সুন্দর স্থাপনা। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের রুচি ও মননের প্রকাশ এগুলো। আছে-বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, সততা ফোয়ারা, মুক্ত বাংলা স্থাপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধটিও অন্যরকম। আগামীতে লেক ও আশপাশের এলাকা এবং শিক্ষকদের নিবাচন করা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্থান নয়নাভিরাম আকার নিতে যাচ্ছে। তাতে বাইরের লোকেরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ফিরে যেতে চাইবেন না।

এর মধ্যেই আমরা ছাত্র, ছাত্রীরা বলতে শুরু করেছি-আমাদের ১শ ৭৫ একরের ক্যাম্পাসের সৌন্দয ফুটে আছে এসবে। আরো একটু ভেতরে গেলেই বিরাট কমযজ্ঞ থমকে দেবে সবাইকে। তাতে মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই, উল্টো খুশি এই ভুবনের মানুষরা। কেননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলটির সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দেশের সেরা হতে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আশকারীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিকল্পনাটি অনেক খেটে, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)তে তারা চাহিদাপত্র দাখিল করেছেন। আমরা জানি, মোট ৪ শ ৫৯ কোটি টাকার চাহিদাপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। অনেক যাছাই, বাছাই ও মাঠ জরিপের পর প্রকল্পের প্রয়োজনীয় অথের পরিমাণ বেড়েছে।

অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র ২৭তম সভায়, ২০১৮ সালের ২৫ জুন অনুমোদনের মাধ্যমে ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের স্বপ্নটি বাড়তে শুরু করে। অধ্যাপকরা বলেছেন, একনেকে আলোচনার ছয় নম্বর এজেন্ডা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মেগা প্রকল্পটি উত্থাপিত হয়েছিল। চাহিদা পর্যালোচনা শেষে অর্থনীতিবিদরা ৪শ ৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার প্রস্তাব করেন। চূড়ান্তভাবে প্রকল্পের টাকা আরো বাড়িয়ে ৫শ ৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে পুরো টাকা ভালোভাবে খরচের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে সবাই নেমেছেন। কাজ চলছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো চেহারাই পাল্টে যাবে। এমনই হবার স্বপ্ন বোনা শুরু করেছিল, বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে বদলে যাচ্ছে এই ক্যাম্পাস।

কী হবে আমাদের ক্যাম্পাসের চেহারা; বিবরণের পর আপনার চোখও কপালে উঠবে। মোট নয়টি ১০ তলা ভবন বানানো হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মোট ১৯টি ভবন আরো সম্প্রসারিত ও বড় আকারে রূপ লাভ করবে। হাজার, হাজার ছাত্র-ছাত্রী; শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জীবন চিরকালের জন্য বদলে যাবে। এবার বলি গোপন কথা, ছাত্রদের জন্য দুটি ও ছাত্রীদের জন্য দুটি ১০ তলা আবাসিক হল তৈরি হচ্ছে। একটি অ্যাকাডেমিক ভবন হচ্ছে। অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের জন্য এবং কর্মকর্তাদের জন্য একটি ভবন করা হচ্ছে। কর্মচারীদের জন্য আলাদা একটি ভবন হচ্ছে। শেখ রাসেলের নামে যে ভবন হচ্ছে, তাতে দ্বিতীয় ব্লক ও নতুন একটি প্রশাসনিক ভবন হচ্ছে।

যে ভবনগুলো বেড়ে উঠছে আরো সম্প্রসারিত ও বড় আকারের সেগুলো হলো, দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন, ‘বিষাদ সিন্ধু’র মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ ভবন, রবীন্দ্র-নজরুল দ্বিতীয় কলা অনুষদ ভবন, দ্বিতীয় ডরমেটরি, ড. ওয়াজেদ মিয়া দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার, প্রভোস্ট কোয়ার্টার, টিএসসি। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একটি নতুন ভবন তৈরি ও পুরোনো ভবনটি সম্প্রসারণ। তাছাড়াও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি নির্মানার্ধীন ভবন ভালোভাবে করার পরিকল্পনা আছে। আমাদের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে সব ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হবে।

প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, অধ্যাপকরা বলেছেন, নয়টি ১০ তলা ভবনের ৮টির চুক্তিপত্র হয়েছে। ছাত্র হল ২’র কাজে কিছু জটিলতা আছে। তাতে পুরো চুক্তিপত্র সম্পন্ন হতে সময় লাগছে। কোনো বিশেষ ব্যক্তির নামে এই ভবনের নামকরণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এই পুরো অবকাঠামোতে কী লাভ হবে, সেটি সাদা চোখে যেকোনো মানুষ বুঝে ফেলবেন। তারপরও আমাদের খবরে প্রকাশ, ১০ তলা আবাসিক হলগুলোর কাজ শেষ হওয়ার পর থাকতে শুরু করলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ ভাগ ছাত্র, ছাত্রীর থাকার সুবিধা তৈরি হবে।

আমাদের ১০ তলা অ্যাকাডেমিক ভবনটি তৈরি হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষগুলোর সংকট দূর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বিভাগগুলোও চালু করা সম্ভব হবে। প্রশাসন ভবনটি তৈরি হবার পর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় অফিসগুলোর উন্নত ও মানসম্পন্ন ব্যবস্থা হবে। ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক; কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উন্নত মানের সেবা ও সুবিধা লাভ করতে পারবেন। প্রশাসনিক স্থান সংকট দূর হয়ে যাবে।

কেবল অবকাঠামোগত উন্নতিতেই থেমে থাকেননি আমাদের শিক্ষকরা। তারা আমাদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের জন্য উন্নত ও মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি কেনার টাকাও নিয়ে এসেছেন একনেক থেকে। তারা আমাদের জন্য কম্পিউটার ল্যাবরেটরিও তৈরি করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে বলে আমরা নিশ্চিত।

এই বিরাট প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো গভীর নলকূপ বসানো হবে। তৃষ্ণার্ত যেকোনো মানুষ সুপেয় জল পান করতে পারবেন। এছাড়াও ভবিষ্যতের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য থাকছে ‘রেইন ওয়াটার হারভেষ্ট প্ল্যান্ট’। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ভবনে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আমাদের ক্যাম্পাসের লেকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে। তার বাদেও পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজনিত সব ধরণের সংকটের সুরাহা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে পুরোপুরি নিরাপদ ৫শ কেভিএ’র দুটি বিদ্যুত সাব-স্টেশন। পুরো ক্যাম্পাসকে আলোয় আলোকিত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে প্রকৌশল শাখা হতে। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে তারা চুক্তি করেছেন। এই কাজে ছয় সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে। আর সব ভবনের কাজ শেষ হলে ভবনগুলোর ওপরে সোলার প্যানেল বা সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় তার চিরকালীন নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত গবেষনার রূপ লাভ করবে। তাতে জেনারেটরের খরচগুলো বাঁচবে। সেই টাকা অন্যখাতে ব্যবহার করা যাবে। অর্থের অপচয় না করার সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে।

ছাত্র, ছাত্রীদের শারিরীকভাবে ভালো রাখতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ব্যয়ামাগারের উন্নয়ন করা হচ্ছে। নতুন ব্যায়াম উপকরণ আসছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প’র অধীনে একনেকের টাকায় ক্যাম্পাসের নীচু ও বিভিন্ন নীচু ভবনের আশপাশের এলাকাতে ভালো মানের মাটি ফেলে সেগুলোতে ভরাট করে দীর্ঘস্থায়ী আকার দেওয়া হচ্ছে। এজন্য টেন্ডার কাজ চলছে।

তবে শিক্ষকরা দু:শ্চিন্তায় আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর বিভিন্ন কাগজে ছাপানোর সূত্রে তাদের সহযোগী হিসেবে আমাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কেননা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভালোভাবে কাজ করতে না পারলে, কোনো কাজ ফেলে রাখলে সেই টাকাগুলো ফেরত চলে যাবে। আবার নিয়ে আসতে শিক্ষকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে। এই অনিশ্চিত যাত্রা কে চায়? আমাদের ব্যাথা আছে-গেল অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া বেশ টাকা ফেরত গিয়েছে, আমরা কষ্ট পেয়েছি। সে বোঝা এখনো বইতে হচ্ছে। গাধার খাটুনি আরো বাড়বে টেন্ডার ভালোভাবে করতে না পারলে, কাজের গুণগত মান নিশ্চিত না হলে।

সব নিয়ে কথা বলেছি আমি-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি মোহাম্মদ তারেকের সঙ্গে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ‘আমরা পুরোপুরি চেষ্টা করছি যাতে সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারি। তবে আরো কিছু সময় লাগবে বলে আমার ধারণা। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হবে। আমিও আপনাদের মতো জানি-মহা প্রকল্পের কাজ শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বদলে যাবে।’

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানিয়েছেন, ‘মহা পরিকল্পনাটির কাজ অনেক আগে শুরু হয়েছে। আমার শুরুতে এই কাজটি মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি কাজটি শুরু করেছি। এই কাজ শেষ হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা মিটে যাবে। পঠন-পাঠনের সেরা ব্যবস্থা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাপকভাবে হবে। যদি টাকা বাঁচে, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে আমি আইনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে লাগানো লাগানোর চেষ্টা করব।’

 

Header Ad
Header Ad

আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা বারের তদন্ত কমিটির সবাই পদত্যাগ করেছেন। গত বুধবার ও তার আগে কমিটির সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বিষয়টি শনিবার জানাজানি হয়।

পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির প্রধান হচ্ছেন সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার। গত বুধবার তিনি সমিতির সভাপতির কাছে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর দুদিন আগে কমিটির চার সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আইনজীবী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ঘটনার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসন ও আদালতের কর্মকর্তারাও সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। আইনজীবীরা যদি ঘটনাটির তদন্ত করে তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, স্পর্শকাতর এ বিষয়টির সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক দিয়ে বিচারিক তদন্ত হওয়া উচিত। এই কারণে কমিটির সদস্যরা সবাই অব্যাহতি নিয়েছেন।’

উল্লেখ, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনার তদন্তে সমিতির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর নিহত আইনজীবী সাইফুলের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। একই দিন আলিফের ভাই বাদী হয়ে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

 

Header Ad
Header Ad

যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ

কক্সবাজার সীমান্তের পাশে আশি শতাংশের বেশি অঞ্চল আরকান আর্মির দখলে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তের ওপাড়ে যেকোনো মুহুর্তে হতে পারে নতুন একটি রাষ্টের ঘোষণা।চলতি মাসেই সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে রাখাইনে আশি শতাংশের বেশি অঞ্চলের দখল নিয়েছে রাজ্যটির সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মি।এতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে ঘিরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন দক্ষিণ এশিয়ায়।

ফলে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের অস্থিরতার মধ্যেই আরও বড় ঘূর্ণাবতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। জানা গেছে, রাখাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে ভারত চীন আমেরিকার মতো দেশগুলো। 

এতে প্রশ্ন উঠেছে, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কি নতুন সংকটে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই নতুন সমীকরণে কতটা  স্বস্তিকর হবে ঢাকার জন্য এই নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। এমন খবরই উঠে আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। 

দেড় দশক আগে ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান (ইউএলএ) এর সামরিক শাখা আরাকার আর্মির। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

সরকারি বাহিনীকে রীতিমত পরাজিত করে তারা পুরো অঞ্চল দখল নিয়েছে। সর্বশেষ মংডু দখল করার মধ্য দিয়ে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়েছে। খুব দ্রুত হয়তো আত্নপ্রকাশ হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের পাশে নতুন একটি দেশ আরাকান রাজ্য। রাখাইন নৃগোষ্ঠীর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই সংগঠন নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সামনে রেখে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় গোষ্ঠীটি।
আলওয়ান খান, ঢাকাপ্রকাশ

Header Ad
Header Ad

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু

শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার দোতলা ভবনের দোতলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা শামছুন্নাহার ও ছেলে সানোয়ার হোসেন দগ্ধ হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থায়ীয় জানা যায়, দোতলা ভবনের দোতলায় কিচেন রুমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে জানালার থাইগ্লাস ফেটে নিচে পড়ে। স্বজনরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট ঢাকায় পাঠায়। আহত দুজনের মধ্যে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক ছিল পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের স্বামী আবুল হাসেম প্রধান শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত গাফফার প্রধানের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।

প্রতিবেশী আব্দুল গফুর জানান, দোতলা ওই বাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। তিনিসহ প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে গিয়ে শামসুন নাহার ও তার ছেলে মো. সানোয়ার হোসেনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। এর মধ্যে শামসুন নাহারের অবস্থা ছিল গুরুতর। তার মুখসহ শরীরের অনেক অংশই পুড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে স্বজনরা তাদেরকে ঢাকা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে মা ও ছেলে দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি