বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পুরোপুরি বদলে যাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বা বিশ্ববিদ্যালয় গেট পেরুলেই চমকে যাবেন। ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই চোখে পড়বে অনেকগুলো সুন্দর স্থাপনা। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের রুচি ও মননের প্রকাশ এগুলো। আছে-বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, সততা ফোয়ারা, মুক্ত বাংলা স্থাপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধটিও অন্যরকম। আগামীতে লেক ও আশপাশের এলাকা এবং শিক্ষকদের নিবাচন করা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্থান নয়নাভিরাম আকার নিতে যাচ্ছে। তাতে বাইরের লোকেরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ফিরে যেতে চাইবেন না।

এর মধ্যেই আমরা ছাত্র, ছাত্রীরা বলতে শুরু করেছি-আমাদের ১শ ৭৫ একরের ক্যাম্পাসের সৌন্দয ফুটে আছে এসবে। আরো একটু ভেতরে গেলেই বিরাট কমযজ্ঞ থমকে দেবে সবাইকে। তাতে মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই, উল্টো খুশি এই ভুবনের মানুষরা। কেননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলটির সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দেশের সেরা হতে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আশকারীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিকল্পনাটি অনেক খেটে, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)তে তারা চাহিদাপত্র দাখিল করেছেন। আমরা জানি, মোট ৪ শ ৫৯ কোটি টাকার চাহিদাপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। অনেক যাছাই, বাছাই ও মাঠ জরিপের পর প্রকল্পের প্রয়োজনীয় অথের পরিমাণ বেড়েছে।

অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র ২৭তম সভায়, ২০১৮ সালের ২৫ জুন অনুমোদনের মাধ্যমে ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের স্বপ্নটি বাড়তে শুরু করে। অধ্যাপকরা বলেছেন, একনেকে আলোচনার ছয় নম্বর এজেন্ডা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মেগা প্রকল্পটি উত্থাপিত হয়েছিল। চাহিদা পর্যালোচনা শেষে অর্থনীতিবিদরা ৪শ ৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার প্রস্তাব করেন। চূড়ান্তভাবে প্রকল্পের টাকা আরো বাড়িয়ে ৫শ ৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে পুরো টাকা ভালোভাবে খরচের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে সবাই নেমেছেন। কাজ চলছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো চেহারাই পাল্টে যাবে। এমনই হবার স্বপ্ন বোনা শুরু করেছিল, বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে বদলে যাচ্ছে এই ক্যাম্পাস।

কী হবে আমাদের ক্যাম্পাসের চেহারা; বিবরণের পর আপনার চোখও কপালে উঠবে। মোট নয়টি ১০ তলা ভবন বানানো হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মোট ১৯টি ভবন আরো সম্প্রসারিত ও বড় আকারে রূপ লাভ করবে। হাজার, হাজার ছাত্র-ছাত্রী; শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জীবন চিরকালের জন্য বদলে যাবে। এবার বলি গোপন কথা, ছাত্রদের জন্য দুটি ও ছাত্রীদের জন্য দুটি ১০ তলা আবাসিক হল তৈরি হচ্ছে। একটি অ্যাকাডেমিক ভবন হচ্ছে। অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের জন্য এবং কর্মকর্তাদের জন্য একটি ভবন করা হচ্ছে। কর্মচারীদের জন্য আলাদা একটি ভবন হচ্ছে। শেখ রাসেলের নামে যে ভবন হচ্ছে, তাতে দ্বিতীয় ব্লক ও নতুন একটি প্রশাসনিক ভবন হচ্ছে।

যে ভবনগুলো বেড়ে উঠছে আরো সম্প্রসারিত ও বড় আকারের সেগুলো হলো, দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন, ‘বিষাদ সিন্ধু’র মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ ভবন, রবীন্দ্র-নজরুল দ্বিতীয় কলা অনুষদ ভবন, দ্বিতীয় ডরমেটরি, ড. ওয়াজেদ মিয়া দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার, প্রভোস্ট কোয়ার্টার, টিএসসি। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একটি নতুন ভবন তৈরি ও পুরোনো ভবনটি সম্প্রসারণ। তাছাড়াও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি নির্মানার্ধীন ভবন ভালোভাবে করার পরিকল্পনা আছে। আমাদের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে সব ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হবে।

প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, অধ্যাপকরা বলেছেন, নয়টি ১০ তলা ভবনের ৮টির চুক্তিপত্র হয়েছে। ছাত্র হল ২’র কাজে কিছু জটিলতা আছে। তাতে পুরো চুক্তিপত্র সম্পন্ন হতে সময় লাগছে। কোনো বিশেষ ব্যক্তির নামে এই ভবনের নামকরণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এই পুরো অবকাঠামোতে কী লাভ হবে, সেটি সাদা চোখে যেকোনো মানুষ বুঝে ফেলবেন। তারপরও আমাদের খবরে প্রকাশ, ১০ তলা আবাসিক হলগুলোর কাজ শেষ হওয়ার পর থাকতে শুরু করলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ ভাগ ছাত্র, ছাত্রীর থাকার সুবিধা তৈরি হবে।

আমাদের ১০ তলা অ্যাকাডেমিক ভবনটি তৈরি হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষগুলোর সংকট দূর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বিভাগগুলোও চালু করা সম্ভব হবে। প্রশাসন ভবনটি তৈরি হবার পর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় অফিসগুলোর উন্নত ও মানসম্পন্ন ব্যবস্থা হবে। ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক; কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উন্নত মানের সেবা ও সুবিধা লাভ করতে পারবেন। প্রশাসনিক স্থান সংকট দূর হয়ে যাবে।

কেবল অবকাঠামোগত উন্নতিতেই থেমে থাকেননি আমাদের শিক্ষকরা। তারা আমাদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের জন্য উন্নত ও মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি কেনার টাকাও নিয়ে এসেছেন একনেক থেকে। তারা আমাদের জন্য কম্পিউটার ল্যাবরেটরিও তৈরি করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে বলে আমরা নিশ্চিত।

এই বিরাট প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো গভীর নলকূপ বসানো হবে। তৃষ্ণার্ত যেকোনো মানুষ সুপেয় জল পান করতে পারবেন। এছাড়াও ভবিষ্যতের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য থাকছে ‘রেইন ওয়াটার হারভেষ্ট প্ল্যান্ট’। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ভবনে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আমাদের ক্যাম্পাসের লেকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে। তার বাদেও পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজনিত সব ধরণের সংকটের সুরাহা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে পুরোপুরি নিরাপদ ৫শ কেভিএ’র দুটি বিদ্যুত সাব-স্টেশন। পুরো ক্যাম্পাসকে আলোয় আলোকিত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে প্রকৌশল শাখা হতে। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে তারা চুক্তি করেছেন। এই কাজে ছয় সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে। আর সব ভবনের কাজ শেষ হলে ভবনগুলোর ওপরে সোলার প্যানেল বা সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় তার চিরকালীন নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত গবেষনার রূপ লাভ করবে। তাতে জেনারেটরের খরচগুলো বাঁচবে। সেই টাকা অন্যখাতে ব্যবহার করা যাবে। অর্থের অপচয় না করার সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে।

ছাত্র, ছাত্রীদের শারিরীকভাবে ভালো রাখতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ব্যয়ামাগারের উন্নয়ন করা হচ্ছে। নতুন ব্যায়াম উপকরণ আসছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প’র অধীনে একনেকের টাকায় ক্যাম্পাসের নীচু ও বিভিন্ন নীচু ভবনের আশপাশের এলাকাতে ভালো মানের মাটি ফেলে সেগুলোতে ভরাট করে দীর্ঘস্থায়ী আকার দেওয়া হচ্ছে। এজন্য টেন্ডার কাজ চলছে।

তবে শিক্ষকরা দু:শ্চিন্তায় আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর বিভিন্ন কাগজে ছাপানোর সূত্রে তাদের সহযোগী হিসেবে আমাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কেননা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভালোভাবে কাজ করতে না পারলে, কোনো কাজ ফেলে রাখলে সেই টাকাগুলো ফেরত চলে যাবে। আবার নিয়ে আসতে শিক্ষকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে। এই অনিশ্চিত যাত্রা কে চায়? আমাদের ব্যাথা আছে-গেল অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া বেশ টাকা ফেরত গিয়েছে, আমরা কষ্ট পেয়েছি। সে বোঝা এখনো বইতে হচ্ছে। গাধার খাটুনি আরো বাড়বে টেন্ডার ভালোভাবে করতে না পারলে, কাজের গুণগত মান নিশ্চিত না হলে।

সব নিয়ে কথা বলেছি আমি-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি মোহাম্মদ তারেকের সঙ্গে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ‘আমরা পুরোপুরি চেষ্টা করছি যাতে সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারি। তবে আরো কিছু সময় লাগবে বলে আমার ধারণা। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হবে। আমিও আপনাদের মতো জানি-মহা প্রকল্পের কাজ শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বদলে যাবে।’

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানিয়েছেন, ‘মহা পরিকল্পনাটির কাজ অনেক আগে শুরু হয়েছে। আমার শুরুতে এই কাজটি মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি কাজটি শুরু করেছি। এই কাজ শেষ হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা মিটে যাবে। পঠন-পাঠনের সেরা ব্যবস্থা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাপকভাবে হবে। যদি টাকা বাঁচে, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে আমি আইনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে লাগানো লাগানোর চেষ্টা করব।’

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া