সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পুরোপুরি বদলে যাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বা বিশ্ববিদ্যালয় গেট পেরুলেই চমকে যাবেন। ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই চোখে পড়বে অনেকগুলো সুন্দর স্থাপনা। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের রুচি ও মননের প্রকাশ এগুলো। আছে-বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, সততা ফোয়ারা, মুক্ত বাংলা স্থাপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধটিও অন্যরকম। আগামীতে লেক ও আশপাশের এলাকা এবং শিক্ষকদের নিবাচন করা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্থান নয়নাভিরাম আকার নিতে যাচ্ছে। তাতে বাইরের লোকেরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ফিরে যেতে চাইবেন না।

এর মধ্যেই আমরা ছাত্র, ছাত্রীরা বলতে শুরু করেছি-আমাদের ১শ ৭৫ একরের ক্যাম্পাসের সৌন্দয ফুটে আছে এসবে। আরো একটু ভেতরে গেলেই বিরাট কমযজ্ঞ থমকে দেবে সবাইকে। তাতে মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই, উল্টো খুশি এই ভুবনের মানুষরা। কেননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলটির সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দেশের সেরা হতে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আশকারীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিকল্পনাটি অনেক খেটে, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)তে তারা চাহিদাপত্র দাখিল করেছেন। আমরা জানি, মোট ৪ শ ৫৯ কোটি টাকার চাহিদাপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। অনেক যাছাই, বাছাই ও মাঠ জরিপের পর প্রকল্পের প্রয়োজনীয় অথের পরিমাণ বেড়েছে।

অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)’র ২৭তম সভায়, ২০১৮ সালের ২৫ জুন অনুমোদনের মাধ্যমে ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের স্বপ্নটি বাড়তে শুরু করে। অধ্যাপকরা বলেছেন, একনেকে আলোচনার ছয় নম্বর এজেন্ডা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মেগা প্রকল্পটি উত্থাপিত হয়েছিল। চাহিদা পর্যালোচনা শেষে অর্থনীতিবিদরা ৪শ ৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার প্রস্তাব করেন। চূড়ান্তভাবে প্রকল্পের টাকা আরো বাড়িয়ে ৫শ ৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে পুরো টাকা ভালোভাবে খরচের জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে সবাই নেমেছেন। কাজ চলছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো চেহারাই পাল্টে যাবে। এমনই হবার স্বপ্ন বোনা শুরু করেছিল, বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে বদলে যাচ্ছে এই ক্যাম্পাস।

কী হবে আমাদের ক্যাম্পাসের চেহারা; বিবরণের পর আপনার চোখও কপালে উঠবে। মোট নয়টি ১০ তলা ভবন বানানো হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মোট ১৯টি ভবন আরো সম্প্রসারিত ও বড় আকারে রূপ লাভ করবে। হাজার, হাজার ছাত্র-ছাত্রী; শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জীবন চিরকালের জন্য বদলে যাবে। এবার বলি গোপন কথা, ছাত্রদের জন্য দুটি ও ছাত্রীদের জন্য দুটি ১০ তলা আবাসিক হল তৈরি হচ্ছে। একটি অ্যাকাডেমিক ভবন হচ্ছে। অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের জন্য এবং কর্মকর্তাদের জন্য একটি ভবন করা হচ্ছে। কর্মচারীদের জন্য আলাদা একটি ভবন হচ্ছে। শেখ রাসেলের নামে যে ভবন হচ্ছে, তাতে দ্বিতীয় ব্লক ও নতুন একটি প্রশাসনিক ভবন হচ্ছে।

যে ভবনগুলো বেড়ে উঠছে আরো সম্প্রসারিত ও বড় আকারের সেগুলো হলো, দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন, ‘বিষাদ সিন্ধু’র মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ ভবন, রবীন্দ্র-নজরুল দ্বিতীয় কলা অনুষদ ভবন, দ্বিতীয় ডরমেটরি, ড. ওয়াজেদ মিয়া দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার, প্রভোস্ট কোয়ার্টার, টিএসসি। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একটি নতুন ভবন তৈরি ও পুরোনো ভবনটি সম্প্রসারণ। তাছাড়াও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি নির্মানার্ধীন ভবন ভালোভাবে করার পরিকল্পনা আছে। আমাদের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে সব ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হবে।

প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, অধ্যাপকরা বলেছেন, নয়টি ১০ তলা ভবনের ৮টির চুক্তিপত্র হয়েছে। ছাত্র হল ২’র কাজে কিছু জটিলতা আছে। তাতে পুরো চুক্তিপত্র সম্পন্ন হতে সময় লাগছে। কোনো বিশেষ ব্যক্তির নামে এই ভবনের নামকরণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এই পুরো অবকাঠামোতে কী লাভ হবে, সেটি সাদা চোখে যেকোনো মানুষ বুঝে ফেলবেন। তারপরও আমাদের খবরে প্রকাশ, ১০ তলা আবাসিক হলগুলোর কাজ শেষ হওয়ার পর থাকতে শুরু করলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ ভাগ ছাত্র, ছাত্রীর থাকার সুবিধা তৈরি হবে।

আমাদের ১০ তলা অ্যাকাডেমিক ভবনটি তৈরি হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষগুলোর সংকট দূর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বিভাগগুলোও চালু করা সম্ভব হবে। প্রশাসন ভবনটি তৈরি হবার পর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় অফিসগুলোর উন্নত ও মানসম্পন্ন ব্যবস্থা হবে। ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক; কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উন্নত মানের সেবা ও সুবিধা লাভ করতে পারবেন। প্রশাসনিক স্থান সংকট দূর হয়ে যাবে।

কেবল অবকাঠামোগত উন্নতিতেই থেমে থাকেননি আমাদের শিক্ষকরা। তারা আমাদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের জন্য উন্নত ও মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি কেনার টাকাও নিয়ে এসেছেন একনেক থেকে। তারা আমাদের জন্য কম্পিউটার ল্যাবরেটরিও তৈরি করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে বলে আমরা নিশ্চিত।

এই বিরাট প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো গভীর নলকূপ বসানো হবে। তৃষ্ণার্ত যেকোনো মানুষ সুপেয় জল পান করতে পারবেন। এছাড়াও ভবিষ্যতের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য থাকছে ‘রেইন ওয়াটার হারভেষ্ট প্ল্যান্ট’। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ভবনে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আমাদের ক্যাম্পাসের লেকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে। তার বাদেও পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজনিত সব ধরণের সংকটের সুরাহা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে পুরোপুরি নিরাপদ ৫শ কেভিএ’র দুটি বিদ্যুত সাব-স্টেশন। পুরো ক্যাম্পাসকে আলোয় আলোকিত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে প্রকৌশল শাখা হতে। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সঙ্গে তারা চুক্তি করেছেন। এই কাজে ছয় সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে। আর সব ভবনের কাজ শেষ হলে ভবনগুলোর ওপরে সোলার প্যানেল বা সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় তার চিরকালীন নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত গবেষনার রূপ লাভ করবে। তাতে জেনারেটরের খরচগুলো বাঁচবে। সেই টাকা অন্যখাতে ব্যবহার করা যাবে। অর্থের অপচয় না করার সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে।

ছাত্র, ছাত্রীদের শারিরীকভাবে ভালো রাখতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ব্যয়ামাগারের উন্নয়ন করা হচ্ছে। নতুন ব্যায়াম উপকরণ আসছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প’র অধীনে একনেকের টাকায় ক্যাম্পাসের নীচু ও বিভিন্ন নীচু ভবনের আশপাশের এলাকাতে ভালো মানের মাটি ফেলে সেগুলোতে ভরাট করে দীর্ঘস্থায়ী আকার দেওয়া হচ্ছে। এজন্য টেন্ডার কাজ চলছে।

তবে শিক্ষকরা দু:শ্চিন্তায় আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর বিভিন্ন কাগজে ছাপানোর সূত্রে তাদের সহযোগী হিসেবে আমাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কেননা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভালোভাবে কাজ করতে না পারলে, কোনো কাজ ফেলে রাখলে সেই টাকাগুলো ফেরত চলে যাবে। আবার নিয়ে আসতে শিক্ষকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে। এই অনিশ্চিত যাত্রা কে চায়? আমাদের ব্যাথা আছে-গেল অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া বেশ টাকা ফেরত গিয়েছে, আমরা কষ্ট পেয়েছি। সে বোঝা এখনো বইতে হচ্ছে। গাধার খাটুনি আরো বাড়বে টেন্ডার ভালোভাবে করতে না পারলে, কাজের গুণগত মান নিশ্চিত না হলে।

সব নিয়ে কথা বলেছি আমি-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি মোহাম্মদ তারেকের সঙ্গে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ‘আমরা পুরোপুরি চেষ্টা করছি যাতে সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারি। তবে আরো কিছু সময় লাগবে বলে আমার ধারণা। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হবে। আমিও আপনাদের মতো জানি-মহা প্রকল্পের কাজ শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বদলে যাবে।’

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানিয়েছেন, ‘মহা পরিকল্পনাটির কাজ অনেক আগে শুরু হয়েছে। আমার শুরুতে এই কাজটি মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি কাজটি শুরু করেছি। এই কাজ শেষ হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা মিটে যাবে। পঠন-পাঠনের সেরা ব্যবস্থা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাপকভাবে হবে। যদি টাকা বাঁচে, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে আমি আইনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে লাগানো লাগানোর চেষ্টা করব।’

 

Header Ad
Header Ad

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল দুদকের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়, যেখানে তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিবরণী জমা না দেওয়ায় ওই বছরের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নূর আহম্মেদ গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান এই মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেন।

Header Ad
Header Ad

সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে সিআইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সিআইডি জানায়, তার বিরুদ্ধে ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলা রয়েছে। সেই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী ১৩৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি, ভুটান ও নেপাল হতে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় করার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু/ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু/ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয় করে সাদিক অ্যাগ্রো।

টেকনাফ ও উখিয়া, কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার হতে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রি করা হয় সাদিক অ্যাগ্রোর মাধ্যমে। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর করেন ইমরান হোসেন।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মোট ১,০৩০ টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন পড়েছে ৬৬ হাজার ৪০২টি। ফলে প্রতি সিটের বিপরীতে লড়বে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী। সোমবার (৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে 'এ' ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) আবেদন পড়েছে ৩২,৬৫৮ টি, বি ইউনিটে (কলাও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং আইন অনুষদ) আবেদন পড়েছে ২৩,৭৯২টি এবং সি ইউনিটে (ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ) আবেদন জমা পড়েছে ৯,৯৫২ টি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেও পেমেন্ট প্রক্রিয়া চলে ২ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ে ১,০৩০ টি সিটের বিপরীতে ৬৬ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষার্থী পেমেন্ট সম্পন্ন করেছে। ফলে প্রতি সিটের বিপরীতে লড়বে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী।

'এ' ইউনিটের আসন সংখ্যা ৩৫০ টি। 'বি' ও 'সি' ইউনিটের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪০ ও ২৪০ টি। 'এ' ইউনিটের একটি আসন পেতে লড়বে ৯৩ জন, 'বি' ইউনিটের প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৫৪ জন এবং 'সি' ইউনিটে লড়বে ৪১ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, '৬৬ হাজার ৪০২ জন পেমেন্ট করেছে এটাই আমাদের প্রকৃত আবেদন সংখ্যা। এটার ভিত্তিতে ইউনিট প্রধানদের জানিয়ে দেব। আমরা আগামীকাল সেন্ট্রাল কমিটির সাথে বসে আলোচনা করে কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করব।'

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু এবার আবেদন বেশি পড়েছে কোটবাড়িতে যদি কেন্দ্র সংকুলান না হয় তাহলে আমরা কুমিল্লা শহরের বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা নিয়ে ওখানে কেন্দ্র স্থাপন করব।'

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় 'সি' ইউনিট এবং একই দিনে বিকেল ৩টায় 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া  
লন্ডন সম্মেলনে ইউক্রেনকে সমর্থনে চার পদক্ষেপ  
সেকেন্ড রিপাবলিক ‘তত্ত্ব’ থেকে সবাই একটু সাবধান থাকবেন : মির্জা আব্বাস