রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
বঙ্গবন্ধুর সংবিধান বিশ্বের প্রধান আধার: ড. মশিউর রহমান
‘জাতির পিতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কর্মজীবন’ শীর্ষক আলোচনায় ড. মশিউর রহমান
ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার আধার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগামীর পৃথিবী যত বেশি আধুনিক হবে তত বেশি প্রাসঙ্গিক হবেন বঙ্গবন্ধু। এই পৃথিবী যত বেশি প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবে এবং উৎকর্ষতা লাভ করবে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব তত বেশি আবশ্যক হয়ে উঠবে। পুঁজিবাদের যে ধারা এখন চলছে, তার বাইরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালির জন্য যে সংবিধান প্রণয়ন করেছেন সেটিই বিশ্বের প্রধান আধার।’
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান ২০২১-এ ‘জাতির পিতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কর্মজীবন’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
মশিউর রহমান বলেন, ‘একটি ছাত্র সংগঠন সৃষ্টি, রাজনৈতিক দল সৃষ্টি, জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি, দ্বিতীয় বিপ্লব সৃষ্টি, একটি সংবিধান সৃষ্টি এই সব অনন্য সৃষ্টির স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বায়াফ্রার (রিপাবলিক অব বায়াফ্রা) মতো অবস্থা যাতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য ৭ই মার্চ ঠিক যে কথাটি বলা দরকার ছিল, সেটি বলে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে ঐক্যের জায়গায় এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সে কারণে তার প্রজ্ঞার পরিচয় ২৬ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আজকের এই মাঠে আমাদের শিশু-কিশোররা যে প্রদর্শনী দেখালো সেটিই ছিল আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। প্রস্ফুটিত এই শিশু-তরুণরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সারা বাংলাদেশকে আলোকিত করবে। আমাদের আগামীর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর পরিচয়ে গৌরবান্বিত হবে। আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তিনি মিশে আছেন আমাদের সবার হৃদয়ে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর মলয় ভৌমিক।