মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রেজিস্ট্রার ভবনে হয়রানি: শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার ভবনে হয়রানি বন্ধে আট দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচির পর আমরণ অনশনে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর পানি খাইয়ে অনশন ভাঙালেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান উপাচার্য। এসময় শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি পূরণের পাশাপাশি কোনো শিক্ষার্থীকে আর দাপ্তরিক কাজের জন্য আর রেজিস্ট্রার ভবনে আসতে হবে না, বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এখন থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে দাপ্তরিক কাজের জন্য আর রেজিস্ট্রার ভবনে যেতে হবে না। সব কাজ হল ও বিভাগে সম্পন্ন হবে। সেখানে আমাদের লোকবল দেওয়া আছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। সব কাজ হল ও লাইব্রেরিতে সম্পাদন হবে। সেখানে কেউ হয়রানিরে শিকার হলে প্রভোস্ট ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অনশন ভাঙানোর পর হাসনাত আব্দুল্লাহকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীসহ সহকারী প্রক্টর ও বিভাগের শিক্ষকরা।

হানাতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের: বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) অনশনরত হাসনাতকে সংহতি জানাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীদের- হাসনাত যখন অনশনে, ভিসি কেন এসি রুমে; আমরা আপনার সন্তান, সহজ সমাধান দিয়ে যান; অভিযোগের দরকার নেই, সহজ সমাধান দিয়ে যান; লাল ফিতার দৌরাত্ম, বন্ধ কর বন্ধ কর; জেগেছে রে জেগেছে, ঢাবি জেগেছে; এক দফা এক দাবি, মানতে হবে মানতে হবে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। এসময় তাদের দাবি ছিল- উপাচার্য অতি শিগগিরই দাবি মেনে নিয়ে হাসনাতের অনশন ভাঙাবেন।

দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসে দাবি মেনে অনশন ভাঙান হাসনাতের। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা এসেও তার অনশন ভাঙাতে পারেননি।

সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে হুমকি ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ: অনশনরত হাসনাতকে সংহতি জানাতে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল রহমানের বিরূপ আচরণ ও গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছ। ইতোমধ্যে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের সেখান থেকে সরানোর জন্য চেষ্টা করেন প্রক্টর। এ সময় আঙুল উঁচু করে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘সহ্যের একটা সীমা আছে’, ‘এই তুই কে?’ ‘ভিসি কী, ভিসি স্যার বল’ ‘ভিসিকে স্যার বলা যায় না’ ইত্যাদি শব্দ বলতে থাকেন। পাশাপাশি বারবার প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্যকে ধাক্কা দিতে থাকেন শিক্ষার্থীদের আটক করার জন্য।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর ড. মাহবুবুল রহমান বলেন, ‘তারা আমার সন্তানের মতো। হাসনাতের দাবিগুলো অবশ্যই যৌক্তিক। এখন তাকে নিয়ে যদি কেউ রাজনীতি করতে চায় তাহলে সেটা খারাপ ব্যাপার হয়ে যায়। এটা তো রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়। একটা ছেলে মারা যাচ্ছে আর তারা সেখানে ওটাকে ঘিরে রাজনীতি করছে। আমরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। একটা ছেলে মারা গেলে এর ক্ষতি শুধুমাত্র তার পরিবার বুঝতে পারবে।’

বিরূপ আচরণের শিকার ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার অপরাধ ছিল শুধু সব কথার পরে ‘স্যার’ কেন বলিনি। আমি ‘ভিসি’, ‘প্রক্টর’, ‘রেজিস্ট্রার’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছি। এজন্য তিনি আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছেন।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, এভাবে কথা বলা যাবে না।’

আন্দোলন থেকে অনশন: গত ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে আট দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তিনি। সেসময় তিনি উপাচার্যকে স্মারকলিপি এবং দাবি পূরণে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। পরে দাবি পূরণ না হওয়ায় ফের গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।

গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আট দাবি, গণস্বাক্ষরের কাগজ, জরিপ ও নানা অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে উপাচার্য ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ তোলেন হাসনাত। এরপর থেকেই আমরণ অনশনে বসেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

অনশনে আরও অসুস্থ হাসনাত আবদুল্লাহ: বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অনশনে থাকায় অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছিল। কিছু দিন আগেই তিনি নিউরোলজিতে জটিলতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে গতকাল রাত দেড়টার দিকে শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান সহপাঠীরা। তবে তাতে তিনি রাজি না হলে চিকিৎসক নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ আনা হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।

অবসান হতে যাচ্ছে “লাঞ্চের পরে আসুন” অজুহাতের: দীর্ঘদিনের একধরনের জটিলতা ও “লাঞ্চের পরে আসুন” অজুহাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধারণা করছেন। হাসান আলী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যেহেতু রেজিস্ট্রার ভবনে আসতে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে দাবির অনেকটাই পূরণ হলো বলে মনে হচ্ছে।’

হাসনাত আবদুল্লাহর আট দাবি হলো-

১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।

২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।

৩. নিরাপত্তা এবং হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে প্রতিকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।

৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।

৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার।

৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা।

৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত না থাকা।

৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা।

এসএন

Header Ad
Header Ad

৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  

ছবিঃ সংগৃহীত

টানা ৪০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী ২ মার্চ থেকে এ ছুটি শুরু হবে। শেষ হবে ৮ এপ্রিল।

এদিকে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ সময় দেশের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকবে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র। তাই ওই সময়ও এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেন্দ্র থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো টানা দুই মাস ১০ দিনের ছুটি কাটাবে। সেক্ষেত্রে ছুটি হবে প্রায় ৭০ দিন।

শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাস, শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবেকদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ২ মার্চ থেকে শুরু হবে, শেষ হবে ৮ এপ্রিল। পবিত্র রমজান শুরু হবে ১ বা ২ মার্চ। ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বশেষ ক্লাস হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মো. ইউনুছ ফারুকী জানিয়েছেন, সরকারি শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী এ ছুটি থাকবে। এ ছুটি সরকারি, বেসরকারি সব পর্যায়ে স্কুলের জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, চলতি বছরের রমজান, ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার ছুটি মিলে যাওয়ায় লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময় বাদে স্কুল-কলেজগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যদি ক্লাস নিতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো নিষেধ নেই।

Header Ad
Header Ad

ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  

ছবিঃ সংগৃহীত

ওয়াশিংটনে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পিট হেগসেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রিন্স খালিদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি সরকারি সফরে আছেন। এই সফরের লক্ষ্য মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক জোরদার করা।

তারা সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে প্রিন্স খালিদ লিখেছেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

সৌদি মন্ত্রী আরো লিখেছেন, ‘আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেছি।’

সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রিন্স খালিদের সরকারি সফরের উদ্দেশ্য ছিল ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা।

সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রিন্স খালিদের সরকারি সফরের উদ্দেশ্য ছিল ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা। পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা।

বৈঠকের আগে হেগসেথকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ইরানের আক্রমণ থেকে সৌদি আরবকে রক্ষা করতে আমেরিকা সাহায্য করবে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করতে যাচ্ছি। ইরান এই অঞ্চলে একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। সৌদি আরব একটি ভালো অংশীদার।’

কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, প্রিন্স খালিদের হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গে দিনের শেষের দিকে দেখা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার  উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী)  সকাল সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক) শারমিন আক্তার।

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিনের প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন ছিলেন স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাকসুরা জান্নাত। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কম্পিউটার অপারেটররা অংশ নেন। 

উদ্বোধনী দিনে গ্রাম আদালত, বিচার ব্যবস্থা, গ্রাম আদালত ও সালিসির মধ্যকার পার্থক্য, গ্রাম আদালতের ভিত্তি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, গ্রাম আদালতের ক্ষমতাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

উদ্বোধনী বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে বর্তমান সরকার নানান উদ্যোগ নিয়েছে।

ঘটনা সংগঠিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ফৌজদারি মামলা, ৬০ দিনের মধ্যে দেওয়ানী মামলার আবেদন গ্রহন করতে হবে। আবেদন ফি যথাক্রমে ১০ ও ২০ টাকা। আদালত ৩ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ দর্শিয়ে আর এক মাস সময় পাবেন। বিচারিক প্যানেলে মোট সদস্য থাকবে ৫ জন। এর মধ্যে বাদী পক্ষে ২ জন,  বিবাদী পক্ষে ২ জন ও একজন চেয়ারম্যান। এই আদালত সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপুরণ আদায় করতে পারবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশায় ভূমিকম্প, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে