হাই টেক পার্ক হবে না, অ্যাকাডেমিক ভবন হবে বশেমুরবিপ্রবি’তে

গোপালগঞ্জে বাবা বাংলাদেশের পাকিস্তানের নাগপাশ থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) গড়ে দিয়েছেন, সেখানে একটি হাই টেক পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করলেও ছাত্র, ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে এমন একটি তহবিল তছরুফ ও অসাধু কর্মের প্রতিবাদের আন্দোলনের মুখে সাময়িকভাবে নির্মাণযজ্ঞ স্থগিত ঘোষণা করেছেন আজ প্রশাসন।
সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীদের দাবীর মুখে এই ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব।
এ সময় উপাচার্য বলেছেন, ‘তোমরা যেহেতু এখানে আইটি পার্ক চাচ্ছো না, আমি এই মেসেজটি মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেব। এরপর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে তারা এখানে করবেন? না-কি অন্য কোথাও হবে? সে সময় পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।’
উপাচার্যের এমন সিদ্ধান্তও মেনে নেননি সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মুক্ত আলোচনা শেষে তারা বলেছেন, ‘আজ ৩১ আগস্ট বিকাল ৫টার মধ্যে উপাচার্য স্যার যদি এই ঘোষণা না দেন যে, ৫৫ একরের মধ্যে হাইটেক পার্ক হবে না, তাহলে আগামীকাল থেকে সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও প্রশাসনিক এবং অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়ে আন্দোলন করা হবে।’ ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মাস্টার প্ল্যান অনুসারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)’র দ্বিতীয় অ্যাকাডেমিক ভবনটি নির্মাণ বাদ দিয়ে সেই জায়গায় হাই টেক পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল।
ফলে শিক্ষকরা সমালোচনা ও ছাত্র, ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এরপর ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার রাত থেকে অনশনে বসে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।
বুধবার সকাল থেকে তাদের সঙ্গে শামিল হয়ে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে একনেকের মাধ্যমে সারা দেশের ১২টি জেলায় ১২টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সরকার। এই প্রকল্পের অধীনে বশেমুরবিপ্রবি’র সামান্য জায়গার মধ্যে ৪ একর তারা পাক নিমাণের জন্য চূড়ান্ত করেন। আর তাতে বাদ পড়ে যায় অ্যাকাডেমিক ভবন। ফলে শিক্ষক ও ছাত্র, ছাত্রীরা উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েন।
ওএফএস।
