ইন্দিরা গান্ধী সাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন সোহান

লেখা ও ছবি : প্রতিনিধি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাহিত্যকর্ম ও মানবকল্যাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের ‘ইন্দিরা গান্ধী সাহিত্য পুরস্কার’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ কবি, সংস্কৃতিকর্মী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাকসুদ খান সোহান।
ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের ‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি উৎসব-২০২২’-এ পুরস্কার গ্রহণের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি।
লেখক মাকসুদ খান সোহান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র।
বলেছেন, ‘সামনের মাসের ১৬ তারিখ পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আমাকে পদকটি দেওয়া হবে। ভারত ও বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, গবেষক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও বরেণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।’
অনুভূতি ব্যক্ত করে সোহান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমি সাহিত্যচর্চা করি। কখনো নিজের বই হবে, সাহিত্যচর্চার জন্য পুরস্কৃত হব, আশা করিনি। এই পুরস্কার পাচ্ছি জেনে উৎসাহ অনেক গুণ বেড়ে গেল। সব কৃতিত্ব আমার পরিবার, শিক্ষক, বন্ধুবান্ধব ও পাঠকদের।’
সোহানের লেখা তিনটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘কবিতার উঠোন’ (সংকলন) ‘কাব্যশ্রী’ ও ‘জয়া’।
তিনি আগে ‘লেখক উন্নয়ন কেন্দ্র’র ‘কবি জসিমউদ্দিন কবিতা পুরস্কার’ ২০২২ লাভ করেছেন।
‘বরিশাল ইউনিভার্সিটি কালচারাল কমিটি’র আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার ছাত্রের সাফল্যে বলেছেন, ‘আমাদের মাকসুদ খান সোহান একজন গুণী লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। তার পুরস্কারপ্রাপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। কালচারাল কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমার জন্য আনন্দের। তার কার্যক্রম আরও প্রসারিত হোক, নিজের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সে আরও উজ্জ্বল করুক।’
সোহানের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘সোহান আমার বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তার অনুরাগ, আগ্রহ অনেক আগে থেকে লক্ষ্য করেছি। ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহ দিয়ে চলেছি। মাকসুদ খান সোহান এমন একটি পুরস্কারে মনোনীত হওয়ায় আমি খুব গর্বিত। তার সাফল্য কামনা করছি। বাংলা সাহিত্যের তার অবদান অব্যাহত থাকুক, সমৃদ্ধ ও সফল হোক সেই দোয়া করি।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আগামী প্রজন্মের সাহিত্য, সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে দিয়ে প্রগতিশীল মানসিকতা তৈরি হবে। সোহানের সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মে অবদান রাখার পেছনে এই পুরস্কার উৎসাহ হিসেবে কাজ করবে।’
ওএফএস।
