ববিতে নেই গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা
৫০ একর আয়তনের ছোট্ট ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গাড়ি পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত এবং যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় স্বাভাবিক চলাচলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ক্যাম্পাসের মূল প্রবেশপথে যত্রতত্র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেল পার্কিং করায় এ ধরনের ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে মতামত ভুক্তভোগীদের।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে চারটি ফটক। ক্যাম্পাসে গাড়ি পার্কিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের মূল প্রবেশপথে যত্রতত্র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেল পার্কিং করায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলার পথ।
যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং এ সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যাম্পাসের মূল ভবনের পেছনের ফটক। এ ফটকের প্রবেশপথে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মোটরসাইকেল এমনভাবে পার্কিং করা হয়, যেন ফটক থেকে বের হতে হলে গাড়ির মধ্য থেকে শরীর বাঁকা করে বের হতে হবে। স্বাভাবিকভাবে বের হওয়া অসম্ভব।
দেখলে বিশ্বাস হবে না ক্যাম্পাসের মূল ভবন থেকে বের হওয়ার এটি আদৌ কোনো পথ! অথচ ক্লাস শেষে এ পথ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন আবাসিক হল, শিক্ষক কর্মকর্তাদের ডরমেটরি ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং খেলার মাঠে যান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এভাবে যত্রতত্র মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শেষে বের হলে মানবজট সৃষ্টি হয় গেটে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের যাতায়তের জন্য নূন্যতম জায়গা না থাকায় প্রায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের যত্রতত্র মোটরসাইকেল পার্কিং বন্ধ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ক্লাস শেষ হলে এবং প্রয়োজনীয় কাজে প্রশাসনিক ভবনের নিচ দিয়ে যেতে হয় সেখানে প্রায় এলোমেলোভাবে মোটরবাইক পার্কিংয়ের কারণে চলাচলে অসুবিধা হয়। এটা দৃষ্টিকটুও বটে। যদিও আমাদের ক্যাম্পাস ছোট কিন্তু প্রশাসন চাইলে সমস্যাটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটির প্রধান দ্বায়িত্বে থাকা সানোয়ার পারভেজ লিটন বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ আমাকে ডেকেছে, সমাধানের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই চলাচলের জায়গায় রশি বেধে, সেখানে গাড়ি না রাখার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও দ্রুতই গাড়ি পার্কিংয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চেয়ারম্যান বরাবর নোটিশ দেব।'
এসএন