ইস্ট ওয়েস্টে হলো ‘চতুর্থ নেহরীন খান স্মৃতি বক্তৃতা’

‘লেখকের চারপাশে এক ধরনের অদৃশ্য শেকল পরানো থাকে। ইচ্ছে করলেই তাই যা খুশি লেখার স্বাধীনতা নেই’-মনে করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘এই স্বাধীনতা নেই বলে যুগে, যুগে বিশ্বব্যাপী লেখকদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন হয়ে এসেছে।’
‘তবে, এত নিপীড়নের পরও লেখক সত্য ও ন্যয়ের পথে সোচ্চার থাকেন বলে তিনি জাতির বিবেক বলে বিবেচিত হন।’
২৬ জুলাই, মঙ্গলবার, বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির চতুর্থ নেহরীন খান স্মৃতি বক্তৃতায় সেলিনা হোসেন কথাগুলো বলেছেন।
তার বক্তব্যের বিষয় ছিল, ‘সাহিত্যের ভুবনে লেখকের পথচলা’।
এই বক্তৃতায় সেলিনা হোসেন লেখালেখির ক্ষেত্রে একজন লেখকের বিবেচ্য বিষয়গুলোও তুলে ধরেন।
তার মতে, ‘লেখক নিজের অনুভবের প্রতি সৎ থেকে মেরুদন্ডকে শক্ত করবেন ও লিখে যাবেন। তিনি যেন পরগাছা হয়ে অন্যের ইচ্ছে, অনিচ্ছের দাসত্ব না করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সততার সাথে বলতে না পারা একজন লেখকের জন্য অ-গৌরবের।’
সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের প্রয়াত কন্যা ও ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির সাবেক ছাত্রী নেহরীন খানের স্মরণে বক্তৃতা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকে ভূষিত সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সভাপতি ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ এ. জেড. এম. শফিকুল আলম ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন।
ওএফএস।
