‘মিট দ্যা জিওগ্রাফার্স’-এ উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন
আজ ৩০ জুন বৃহস্পতিবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ’র বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র, ছাত্রীদের সঙ্গে উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক-গবেষক ড. হাফিজা খাতুনের ‘মিট দ্যা জিওগ্রাফার্স’র আয়োজন করা হয়েছে।
বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. রাহিদুল ইসলাম, অন্যতম অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, এ. এইচ. এম. মঞ্জুরুল মামুন এবং হুমায়রা আঞ্জুম অংশগ্রহণ করেছেন।
বিভাগের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় গ্যালারি-২ উন্মুক্ত আলোচনা সভাটি সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হয়েছে দেড় ঘন্টা পর জানিয়েছেন জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন।
ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের নানা কৌতুহলের জবাব দিতে গিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম এবং ইতিহাসের প্রথম নারী উপাচার্য বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রথম ভোটে নির্বাচিত নারী সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন খোলামেলা আলাপ করেছেন। তাদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের ব্যক্তিগত, শিক্ষা ও কর্মজীবনের কথা বলেছেন।
বিভাগের ও ভবিষ্যত কর্মজীবনের নানা দিক নির্দেশনা, বিভাগ নিয়ে পরিকল্পনা ও তাদের পড়ালেখার খবর নিয়েছেন অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি মানুষকেই আমি বলবো, জীবনের সবচেয়ে ছোট অর্জন থেকেও ভালোবাসা বোধ করতে হবে। আনন্দ পেতে হবে। বিশ্বায়নের এই সময়ে আমাদের মধ্যে আত্মতুষ্টির অনুভূতি ও অনুভব থাকতে হবে। লাভ করতে ও বোধ করতে হবে। এই দিকগুলোকে আরো প্রসারিত এবং ভালো নানা জিনিস গ্রহণের প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আমাদের ভালো কাজের মধ্যেই ভালো অনেক কিছু নিহিত থাকে। ভালো লাগা ও ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ফলে প্রাপ্তি লাভ ঘটবে। মন দিয়ে পড়ালেখা ও ভালো ফলাফল করতে হবে।’
একজন ছাত্রী হতাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য ম্যাডাম বলেছেন, ‘হতাশা সবার মধ্যে থাকতে পারে। হতাশাগ্রস্থ হলে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। গান শুনলে মন হালকা হতে পারে। বিশ্বস্ত কারো কাছে নিজের হতাশাকে প্রকাশ করতে হবে। যখন-তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনোকিছুই শেয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে। জীবনের নানা সমস্যার সমাধানের জন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। বন্ধু, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক ও মা-বাবার সহযোগিতা নিতে হবে।’
তিনিও তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।
ওএস।