বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ‘আত্মহত্যা’ গবেষণা করতে চায় রাজশাহীর পুলিশ
লেখা ও ছবি : আসিফ আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে গবেষণায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ। এ লক্ষ্যে আজ শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জয়দেব ভদ্রের নেতৃত্বে বিভাগীয় পুলিশের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসেছেন।
আলোচনাকালে জয়দেব ভদ্র বলেছেন, ‘রাজশাহী বিভাগে আত্মহত্যার হার গড় জাতীয় হারের চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ বেশি। এ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ আত্মহত্যাজনিত মামলাগুলি তদন্ত করে বলে আত্মহত্যার প্রকৃতি ও কারণ সম্পর্কে অবহিত থাকে।’
‘পারিপার্শ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতিসহ সামগ্রিকভাবে আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে গভীর গবেষণা প্রয়োজন’ তিনি মতপ্রকাশ করেছেন।
জয়দেব ভদ্র বলেছেন, ‘সেজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান।’ গবেষণা চলাকালীন তার পুলিশ প্রশাসন গবেষকদের অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সহায়তা প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার এই ধরনের গবেষণার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অঙ্গগুলোকে এ ধরণের গবেষণায় সম্পৃক্ত হতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি এই ধরনের গবেষণার সুপারিশ নীতিনির্ধারণে সহায়তা করবে বলেও মনে করেন।
আত্মহত্যা গবেষণা বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অবিলম্বে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে।
মতবিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য-শিক্ষা অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য-প্রশাসন অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ হোসেন, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হাসান সুফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অংশ নিয়েছেন।
রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক টি.এম. মোজাহিদুল ইসলাম ও ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট শাখার পুলিশ সুপার আব্দুস সালামসহ সংশ্লিষ্টরা পুরিশের হয়ে ছিলেন।
ওএস।