কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না : ইস্ট-ওয়েস্টের সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি’ আজ ১০ মে মঙ্গলবার ২১তম সমাবর্তন করেছে।
ঢাকার আফতাবনগরে স্থায়ী ক্যাম্পাসে মোট ১৬শ ৯৩ জন অনার্স ও মাস্টার্স পাশ ছাত্র, ছাত্রীকে ডিগ্রি ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়েছে।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য অনন্য মেধার স্বীকৃতি হিসেবে দুই শিক্ষার্থীকে ‘গোল্ড মেডেল’ প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে অবিস্মরণী এই অনুষ্ঠানে এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেয়াদের ভিসি এবং কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত ‘এমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার মন্ডল’।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অংশ নিয়েছেন ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিএস, প্রখ্যাত আমলা ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
ছাত্র, ছাত্রীদের সামনে আরো বক্তৃতা দিয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম.এম. শহিদুল হাসান।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মেধাবী ও গর্বিত ছাত্র, ছাত্রীদের মেধার স্বীকৃতি দিতে পেরে তারা সবাই আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের কর্ম ও ভবিষ্যত জীবনের সাফল্য কামনা করেছেন।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সব সদস্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, গ্রাজুয়েটরাসহ অভিভাবকরা অংশ নিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মণি ছাত্র, ছাত্রীদের সবাইকে বলেছেন, ‘নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যে এবং যত বাধাই আসুক না কেন, কখনোই কোনোভাবে হতাশ হওয়া যাবে না। আর পেশাগত জীবনে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে হবে সেখানেও।’
তিনি নারীদের আরো এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
ডা. দীপু মণি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের আক্রমণে কোভিড ১৯ রোগে আমাদের এই পৃথিবীটি অনেক বদলে গিয়েছে। আগামী দিনগুলোর উপযোগী মানবসম্পদ দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে শিক্ষকদের তৈরি করতে হবে। সেজন্য সরকারও শিক্ষাখাততে ঢেলে সাজানোর ব্যাপক ও বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। সে কার্যক্রম চলছে। অনেকটাই সফল হয়েছে। ই-লানিং’র ও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে উদ্যাগও চলছে।’
তিনি সময় মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট প্রদান করায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়েছেন। ছাত্র, ছাত্রীরাও ভালো পড়ালেখা করতে পেরে খুব খুশি হয়েছেন।
ছবি : বক্তব্য রাখছেন ইস্ট ওয়েস্টের পাশ করা ছাত্র, ছাত্রীদের সামনে অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার মন্ডল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
ওএস।