সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের তুলনায় নিঃসন্দেহে ভালো

মানবাধিকার পরিস্থিতি সার্বিকভাবে বলাটা কিন্তু কঠিন ব্যাপার। এখানে আমাকে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে দুটো ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার, অপরটি হচ্ছে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, চুক্তি বা সামাজিক অধিকার। এই ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতি কী রকম।

একটি কথা বোধহয় সব তর্কের অতীত। সেটি হচ্ছে যে, বাংলাদেশ নানাভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইন্ডিকেটরে বিশ্বের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে ও দ্রুততম গতিতে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলছে। সেই দিক থেকে যদি চারপাশে তাকাই আমরা কিন্তু স্বাভাবিক চোখেও দেখতে পাব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে দেশে। নাগরিকরা আগের তুলনায় অনেক ভালো আছেন দেশে— এটা কিন্তু দৃশ্যমান এখন।

তবে আমরা জানি যে, আমাদের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা হয়ত যতটা সফলতা অর্জন করতে চেয়েছিলাম বা প্রত্যাশা করেছিলাম হয়ত সেখানে কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে। বিশেষ করে আমার মনে হয়— সাধারণ মানুষ তা অনেক সময় প্রশাসন কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়। যে প্রশাসন হতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক সময় হতে পারে আমাদের বেসামরিক প্রশাসন সিভিলাইজেশনের। সেটা আমাদের জেলা পর্যায়, উপজেলা পর্যায় বা গ্রাম পর্যায়ে হয়ে থাকে। আমরা কিন্তু যে সত্যটা বাংলাদেশের জন্মের সময় জেনেছি, যে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা হচ্ছে জনগণের সেবক। এই সেবক কথাটার যথার্থতার প্রমাণ সব সময় পাই— এমনটা নয়। আমাদের এই ক্ষেত্রে তারা যদি সত্যিকার অর্থেই জনগণের সেবক হিসেবে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারতেন তাহলে হয়ত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ক্ষেত্রেও আমরা আরও বেশি অগ্রগতি সাধন করতে সক্ষম হতাম। তবে গোটা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় নিঃসন্দেহে অনেকটা ভালো।

বিশ্বব্যাপী কিন্তু মানবাধিকারে যে ঝড় অতীতে লক্ষ্য করেছি সে ঝড়টা কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব তাদের মেরু হিসেবে পালন করতে চায়। বিশ্ব রাজনীতিতে এ কারণে কিন্তু ঝড়টার স্থিতি থেমে গেছে কিন্তু মানবাধিকার আন্দোলনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজকে আফগানিস্থানে যে অবস্থা, আজকে সিরিয়াতে যে অবস্থা, আজকে ইয়েমেনে যে অবস্থা, আজকে মিয়ানমারের যে অবস্থা সব কিছুর পেছনে খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, পেছনের শক্তি তাদের ভেতরে প্রতিযোগিতা। একটি অশুভ প্রতিযোগিতার কারণে এ রাষ্ট্র ব্যাপ্তি জনগণ নিপীড়িত ও নির্যাতিত হচ্ছেন এবং আমার মনে হয় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। সেই তুলনায় উন্নয়নশীল বিশ্বে আমরা যে আচরণ করেছি, আমরা মনে করি উন্নত বিশ্ব যদি মানবাধিকারের প্রতি সত্যিকার অর্থে অনুগত প্রকাশ করত, শতভাগ মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে যেতেন, তাহলে বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অনেক উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হতো। আজকে কিন্তু মানবাধিকার একটা বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে আমাদের এই ক্লাইমেট চেঞ্জ বা পরিবেশে যে পরিবর্তনটি ঘটছে এটার পেছনে দায়ি কিন্তু বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। আজকে যদি দেখি যে, বাংলাদেশের অনেক অংশ সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবে। মালদ্বীপ নামক দেশটি হয়ত ভবিষ্যতে সাগরের নিচে তলিয়ে যাবে। এই সম্ভাবনা দেশটি পেছনে ভূমিকা পালন করেছে আমরা নই, মালদ্বীপের জনগণ নয় এর মূল ভূমিকা পালন করেছে পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ— যারা তাদের উন্নয়নের জন্য পরিবেশের দিকে কখনোই ভ্রুক্ষেপ করেন নি। এখন এদের ক্ষতিপূরণ আমাদের দিতে হচ্ছে। সেই তুলনায় আমি বলবো যে মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক বেশি তূলনামূলক একটি বিপদের মুখে রয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে মানুষ যতটা সজাগ ছিল, পৃথিবীব্যাপী যে জোরদার আন্দোলন ছিল, আন্দোলন অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।

আমি বলব যে, আমাদের আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা স্পর্শকাতর বিষয় কিন্তু আমাদের জন্য অতি গুরুত্ব বিষয়ে অবতরণ করেছেন এই প্রশ্নের মাধ্যমে। আমরা জানি আমাদের বাংলাদেশে যারা নিরীহ জনগণ তাদের নিরীহ অর্থে বলব যে তারা কিন্তু সন্ত্রাসী নয়। তাদের হাতে কিন্তু অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করে না। তারা কিন্তু সন্ত্রাসী আক্রমণ করে না। হয়ত তারা হবে নিতান্তই দরিদ্র মানুষ, তাই হয়ত ক’টা শাড়ি বা দ্রব্য আনতেই পারে। পাসপোর্ট ভিসা নেই, আমি কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে সীমান্তের ওপারে চলে যাচ্ছি। এই অপরাধ একজন মানুষ হয়ত করতেই পারে।

আমি নিশ্চিত হয়ে একটা কথা বলতে পারি যে, যখন দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম পরস্পর বর্ডার থাকে, যেখানে ইসরাইল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ দালান আমি করে দেয়নি। সেখানে যদি বর্ডার থাকে উভয় পক্ষ থেকে আনাগোনা হয়ে থাকে এটা হচ্ছে বাস্তবতা। যে মানুষ মানুষের পরস্পরের সাথে কথা বলবে, তারা মিলিত হবে, তারা আত্মীয় সম্পর্ক হবে এমনটি তারা দেখা করতে চাইবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই অপরাধের জন্য আপনি একজন মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারেন না। এটাই আমি বলব বড় মাপের মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমার প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র তাদের কাছ থেকে কিন্তু এরকম আচরণ প্রত্যাশা করি না।

আমার মনে পড়ছে যে, যখন আমি মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে ছিলাম তখন ১৩ বছরের একটা ছোট মেয়ে ফেলানী। সেই ফেলানীর মৃতদেহ আমরা দেখেছি, কুড়িগ্রামে কাঁটাতারের বেড়ার উপরে কয়েক ঘণ্টা ঝুলে ছিল। এর চেয়ে বড়, অধিকতম, নিষ্ঠুরতম, বেদনাদায়ক আর কোনো ছবি কখনো আপনি খুঁজে পাবেন না। তখনো কিন্তু আমরা দেখেছি যে ভারত কিন্তু ফেলানীর হত্যার ব্যাপারে নির্বিকার থাকতে চেয়েছিল এবং প্রথম অবস্থায় তারা যে তাকে গুলি করেছে সেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স জওয়ানকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে তারা কিন্তু প্রস্তুত ছিল না। আমার মনে আছে তখন আমি ভারতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রধান সাবেক বিচারপতি বালাকৃষ্ণ এর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলাম এবং আমি সেই চিঠিতে বলেছিলাম আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে যে কেন ভারতে এ আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন , মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এখানে উচিত হবে মানবাধিকার কমিশনকে এগিয়ে এসে বিচারের ব্যবস্থা করা। আমি অনেকটা সন্তুষ্ট হয়েছিলাম যে, আমার চিঠিটা পাবার পরেই বালাকৃষ্ণ সশরীরে পশ্চিমবঙ্গে যান। বিএসএফের সঙ্গে বসেন এবং পরবর্তীতে বিএসএফের জওয়ানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রজ্জু হয়। যদিও আমরা বিচারে কাঙ্খিত ফল লাভ করিনি অর্থাৎ যে বিচারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পদক্ষেপ টুকু পেয়েছে এই ব্যাপারে কিন্তু আমাদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম সে উদ্যোগের কারণে এ কাজটি করতে সফল হয়েছিলাম। এ ধরনের সীমান্তবর্তী নির্যাতন হত্যা করা, তাদের প্রাণকেড়ে নেওয়া এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি অপ্রত্যাশিত এবং আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা কখনোই এরকম আচরণ আশা করি না।

এখানে আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস না করে, যদি কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে সম্বোধন করতে দ্বিধা বোধ করে, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দ্বিধা বোধ করেন, আমার তো মনে হয় সে রকম ব্যক্তির পেশা বা তার কোনো রকম কাজ করার অধিকার এ রাষ্ট্রে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি না। আমি বিশ্বাস করি— কোনো স্বাধীনতাই কিন্তু লাইসেন্স নয়, যেমন ইচ্ছে তেমন কিন্তু করতে পারি না।

মানবাধিকার তো আসলে বিশাল একটি ভুবন। সেই ভুবনে কোনো ব্যক্তির একার পক্ষে বা কোনো সংগঠনের একার পক্ষে কিন্তু সব কিছু করা সম্ভব নয়। একটা সমন্বিত প্রচেষ্টার দরকার এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত এবং এটি চলতে থাকবে। কেননা মানবাধিকারের কিন্তু এমন কোনো লক্ষ্য নেই যে আমি সেই লক্ষ্য পৌঁছে গেছি আর মানবাধিকার আন্দোলন শেষ হয়ে গেল; আর কোনো কিছু প্রয়োজন নেই। ব্যাপারটা কিন্তু এমনটা নয়। ঠিক যেমন আমাদের চাহিদা যেমনটি শেষ নেই, ঠিক তেমনি একটি মানুষের জীবনের যে মানদণ্ড সেই মানদণ্ড উঁচুতে আরও উন্নত করতে পারি এবং যেটা ইংরেজিতে বলা হয় স্কাই ইজ দ্য লিমিট। আকাশ হচ্ছে আমার সেই সীমানা যে আকাশ পর্যন্ত আমাকে যেতে হবে। এখন যদি সেটি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু যে মানবাধিকার সর্ব ক্ষেত্রে বিচরণ করছেন তা কিন্তু নয়। আমি একটা ছোট ক্ষেত্রকে নির্বাচন করে নিয়েছি। সেটা হচ্ছে—মানবাধিকার সুরক্ষা, দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের দেশে আইনের জ্ঞানসম্পন্ন কিছু যোগ্য মানুষের দরকার বলে আমি মনে করি।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান: সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

আরএ/

Header Ad
Header Ad

রংপুরের কাছে বড় হারে শুরু শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালসের

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবার বিপিএলে দল কিনে অংশ নিয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। তার দল ঢাকা ক্যাপিটালসের যাত্রা শুরুটা হতাশাজনক হয়েছে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৪০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে থিসারা পেরেরার নেতৃত্বাধীন দলটি।

১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম দুর্দান্ত শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ বলে ৬৫ রান তোলেন তারা। তবে শেখ মেহেদীর ঘূর্ণিতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। ১০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৫/০ থেকে ৭৫/৪-এ পরিণত হয় দলটি।

ঢাকার পক্ষে লিটন দাস ২৭ বলে ৩১ এবং তানজিদ তামিম ২১ বলে ৩০ রান করেন। তবে মিডল অর্ডার ধসের পর থিসারা পেরেরা (৮ বলে ১৭), মুকিদুল ইসলাম (১১ বলে ১৮), এবং নাজমুল অপু (১৬ বলে ১২) কিছুটা লড়াই করলেও তা যথেষ্ট হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।

রংপুরের পক্ষে শেখ মেহেদী ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন, আর খুশদিল শাহ শিকার করেন ২ উইকেট।

এর আগে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের স্টিভেন টেলর (৭ বলে ১৪) ও অ্যালেক্স হেলস (৬ বলে ৫) দ্রুত আউট হলেও সাইফ হাসান (৩৩ বলে ৪০) এবং পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদের (৩৮ বলে ৪৯) দুর্দান্ত জুটিতে ৬৫ বলে ৮৯ রান তোলে রংপুর।

শেষদিকে খুশদিল শাহর ২৩ বলে অপরাজিত ৪৩ রানে ভর করে রংপুর ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। নুরুল হাসান সোহানও ১১ বলে ২৫ রান করেন। ঢাকার পক্ষে আলাউদ্দীন বাবু ৪৩ রানে ৩ উইকেট এবং মুকিদুল ইসলাম ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।

এই হার দিয়ে শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপিএল যাত্রা শুরু হলেও তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর।

Header Ad
Header Ad

দেশে একটা ষড়যন্ত্র চলছে: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেছেন, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, যা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপিই পারে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সমাবেশে ‘গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা’ ও তার দোসরদের অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারার প্রতিবাদ জানানো হয়।

দুদু বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু কোনো মহল নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে ভিন্ন পথে দেশ পরিচালনা করতে চায়। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে দল গঠন করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে বিএনপির আপত্তি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বাজার পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা এবং সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, দেশে কার্যকর কোনো সরকার নেই। সরকারের দুর্বলতা দেশের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, তাদের আমলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এ পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে।

ডক্টর ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুদু বলেন, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের দুর্নীতিবাজ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে দুর্নীতি ও অরাজকতা থেকে মুক্ত করবে।

দুদু আরও বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়া সেটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা আবার দেখা দিয়েছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান এবং কৃষক দলের নেতা এসকে সাদীসহ অন্যান্য নেতারা।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নওগাঁ সদর ও বদলগাছি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন– নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আলমের ছেলে পারভেস (২৮) ও বদলগাছীর পালশা গ্রামের রিপন (২৭)।

নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আজ বিকালে নওগাঁ সদর উপজেলার কাঠালতলী মোড় থেকে রানীনগর যাওয়ার রাস্তায় হিন্দু পাড়া মোড়ে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।’

তিনি আরোও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে সংবাদ দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। লাশ বর্তমানে সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। পিকআপ চালক ঘটনাস্থলে গাড়ি রেখে পলাতক আছে।’

অপর দিকে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার বদলগাছী-আক্কেলপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনপাড়া এলাকায় ট্রলি এবং ছোট পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রংপুরের কাছে বড় হারে শুরু শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালসের
দেশে একটা ষড়যন্ত্র চলছে: শামসুজ্জামান দুদু
নওগাঁয় সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ
১২ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ
এক কেজি ফুলকপির দাম ১ টাকা! কৃষকের মাথায় হাত
মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ঝড়ে দুর্বার রাজশাহীকে হারাল ফরচুন বরিশাল
ফেনীতে মসজিদের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘আ. লীগ আবার ফিরবে জয় বাংলা’
আওয়ামী লীগ এক ফুঁৎকারেই উড়ে গেছে: ডা. শফিকুর রহমান  
চার জেলায় নতুন পুলিশ সুপার পদায়ন
মিয়ানমার সীমান্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিন পর সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশ  
২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হত্যা মামলা-বাণিজ্য; পুলিশ থেকে ঘুষ নিচ্ছে পুলিশ
দুই জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ
খালি পেটে লবঙ্গ খেলে কী হয়? জানলে অবাক হবেন আপনিও
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনে লড়বেন ২৫ জন
আমি নিজেই কুমিরের খালে লাফালাফি করি: পরীমণি
বিজয়-রাব্বির বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দুইশ’র দোরগোড়ায় রাজশাহী
সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরানো হলো ডিসি তানভীরকে
প্রেমের টানে ইউক্রেনের যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়