১৯তম দিনের অনুষ্ঠানমালা
মনজুরে মওলা ও হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে স্মরণ
বইমেলায় আজ বিকালে লুৎফা হাসিন রোজী রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
অমর একুশে বইমেলার ১৯তম দিন শনিবার (৫ মার্চ) বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ : কাজী মনজুরে মওলা ও হাবীবুল্লাহ সিরাজী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা করেন মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, আসাদ মান্নান ও সাহেদ মন্তাজ। সভাপতিত্ব করেন সুব্রত বড়ুয়া।
প্রাবন্ধিক বলেন, ‘কবি মনজুরে মওলা এবং কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী দু’জনেই শিল্প-সাহিত্য-পরিমণ্ডলে পরিচিত দুই নাম। দু’জনেই বাংলা একাডেমিতে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রশাসকের পেশা কাজী মনজুরে মওলার বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডকে কিছু বিশেষ চরিত্র ও ঝোঁক জুগিয়েছিল। গবেষক-লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন প্রচারবিমুখ। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাঁর জানাশোনা ছিল বিস্ময়কর। অন্যদিকে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী প্রকৌশল-বিদ্যায় শিক্ষালাভ করলেও কাব্যজগতে বিচরণ করেছেন সাবলীলতার সঙ্গে। বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে এই দুজন কবিই স্বতন্ত্র কাব্য-ভাবনা, ভাষা ও বক্তব্য তাঁদের কবিতায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
আলোচকরা বলেন, বাংলা কবিতার ইতিহাসে কবি মনজুরে মওলা ও কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কবিতা যে স্থায়ী আসন অর্জন করেছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মনজুরে মওলার রসবোধ ও সহজ-সরস সাহচর্য ছিল সবার উপভোগ্য। অন্যদিকে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ছিলেন সদাহাস্য, উদারচিত্ত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। আমাদের মণিকোঠায় এ দুজন বরেণ্য মানুষ তাঁদের সৃষ্টিশীলতার গুণে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
সুব্রত বড়ুয়া বলেন, ‘কবি মনজুরে মওলা এবং কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী-এ দুজন গুণী ব্যক্তি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় মেধা ও মননের প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁদের জীবন, আদর্শ ও কর্ম আমাদের চিন্তার জগৎকে আরো প্রসারিত করবে।’
লেখক বলছি
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন বিমল গুহ এবং শাহেদ কায়েস।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মূল মঞ্চে আজকের অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি ঝর্না রহমান এবং ইমরুল ইউসুফ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল ‘কাশফুল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন সাইদুর রহমান বয়াতী, আমিরুল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার দাস, নাজমুল করিম মানিক, রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং শারমিন সুলতানা, শিমু দে। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন জয় প্রসাদ সিংহ রায় (তবলা), মো. দেলোয়ার হোসেন (দোতারা), মো. হাসান আলী (বাঁশি) এবং আনোয়ার সাহদাত রবিন (কী-বোর্ড)।
রবিবারের অনুষ্ঠান
রবিবার (৬ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার ২০তম দিন। মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জন্মশতবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি : নীলিমা ইব্রাহিম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নিশাত জাহান রানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আজিজুর রহমান আজিজ এবং আহমেদ মাওলা। সভাপতিত্ব করবেন মনিরুজ্জামান।
সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এপি/