অমর একুশে বইমেলার অনুষ্ঠান
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্য

অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্য। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা একদিন সংশয় প্রকাশ করেছিলেন, তারা আজ ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছেন। বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক দিক দিয়েই এগিয়ে যায়নি, চিন্তা ও পরিকল্পনার দিক থেকেও উন্নয়নের ধারায় অগ্রগামী হয়েছে। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে দেশে মানবশক্তির উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুভাষ সিংহ রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এবং লেখক-গবেষক ফারুক মঈনউদ্দীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান। একুশের আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
স্বাগত বক্তব্যে মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, একুশে বইমেলার অনিবার্য অংশ বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চের একুশের আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমরা আশা করি এবারের আলোচনা-পর্ব এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন সকলের অংশগ্রহণে প্রাণবান এবং সার্থক হয়ে উঠবে।
প্রাবন্ধিক বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ১৩১৪ দিনের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশকে ভিত্তি দিয়ে গেছেন। সেই অল্প সময়েই বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে রেখে গেছেন। জাতীয় প্রবৃদ্ধি সাত অর্জন করে দিয়ে গেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দেশ চলছিল সম্পূর্ণ উল্টো পথে। টানা ২১ বছর ছিল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সামরিক শাসন। ক্ষুধা দারিদ্র্য ছিল আমাদের নিত্যসঙ্গী। গত ১৩ বছরের বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলাদেশ এক উন্নয়ন বিস্ময়ের বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ এখন সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের ধারায় আজ অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আজ বাংলাদেশ একটি মানবিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের রাষ্ট্র। আজ চারদিকে যে উন্নয়ন দেখছি, তার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যে দূরদৃষ্টি ও স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন তা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।
লেখক বলছি:
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন জমিম মল্লিক, নাহার মনিকা, আদনান সৈয়দ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি নাসির আহমেদ, হালিম আজাদ এবং মোহাম্মদ সাদিক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম, লায়লা আফরোজ এবং ডালিয়া আহমেদ। সংগীত পরিবেশন করেন মহিউজ্জামান চৌধুরী, তিমির নন্দী, এবং তানজিনা করিম স্বরলিপি। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), রবিনস্ চৌধুরী (কী-বোর্ড), রিচার্ড কিশোর (গীটার) এবং বিদ্যুৎ রায় (প্যাড)।
বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠানসূচি:
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার তৃতীয় দিন। মেলা চলবে বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বিকাল ৪টা বইমেলার মূলমঞ্চে রয়েছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও নাটক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাবুল বিশ্বাস ও মোমিন রহমান। আলোচনা করবেন অরুণা বিশ্বাস ও সাজ্জাদ বকুল। সভাপতিত্ব করবেন রামেন্দু মজুমদার।
এপি/
