তিন প্রবেশদ্বার সাজছে বঙ্গবন্ধুর বই দিয়ে
কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি
২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলা চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে।
বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে ঘিরে সাজবে এবারের মেলা।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ’সৃজনে মননে মানবিক দেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ’। বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লোগো।
বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিসার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি শেখর দে জানান, বইমেলায় প্রধান ৪টি প্রবেশদ্বারের মধ্যে ৩টি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এই তিনটি প্রবেশদ্বার সাজানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত ৩টি বই বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', 'কারাগারের রোজনামচা' এবং 'আমার দেখা নয়া চীন'-এর আদলে। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আকৃতি হবে প্রায় ৬০০ বর্গফুট। ৫০টি স্টলে সরকারি বেসরকারি মোট ৪২টি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে, সব মিলিয়ে বই থাকবে ১০ হাজারের বেশি। ৩রা এবং ৪ঠা মার্চ কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ দিবস উদযাপিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কলকাতা প্রেসক্লাবে বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিসার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশের লোগো আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এ লোগোর উন্মোচন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে ভারতের সরকার এবং জনগণ গভীরভাবে জড়িয়ে আছে উল্লেখ করে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ বইমেলার আয়োজন ইতিহাসের এক অনন্য সাধারণ অংশ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা বইমেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে । বঙ্গবন্ধু’র ৭ই মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে উপজীব্য করে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সুধাংশ শেখর তার বক্তব্যে জানান, এবারের বইমেলায় মোট স্টল থাকবে ৬ শ’র বেশি। এছাড়া লিটল ম্যাগাজিনের সংখ্যা ১৮০ থেকে বাড়িয়ে ২০০টি স্টল করা হয়েছে। ৬ই মার্চ শিশু দিবস উদযাপন ছাড়াও ১১ এবং ১২ই মার্চ কলকাতা সাহিত্য উৎসব উদযাপনের কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, আয়োজক সংস্থা পাবলিসার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ছাড়াও থাকছে ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইরান এবং ল্যাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। ৩১ জানুয়ারির বদলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে এ বইমেলা।
বাংলাদেশের বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলাও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়ে শুরু হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
এপি/