সারা পৃথিবীর মানুষ আজ কাঁদছেন: পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী
এটা একটা বিরাট ক্ষতি। সারা পৃথিবীর মানুষ আজ কাঁদছেন। প্রত্যেকের চোখে জল। কারণ আজকে মা স্বরসতী বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের শরীরেরও বিসর্জন হয়েছে।
রবিবার (৬ জানুয়ারি) উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে দেওয়া এক ভিডিও প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় গায়ক, সুরকার, গীতিকার ও সংগীতগুরু পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী এসব কথা বলেন।
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, লতাজির দেহ চলে গেছে। কিন্তু উনি কোনো দিনও যাবেন না। মা স্বরসতী আবার আগামী বছর আসবেন। কিন্তু সামনের বছর আরেকজন লতা মঙ্গেশকরকে আমরা নিয়ে আসতে পারব না।
আরেকজন লতা মঙ্গেশকরকে জন্মাতে হয়তো আরও ১০০ বছর লাগবে এমন মন্তব্য করে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে অজয় চক্রবর্তী বলেন, লতা মঙ্গেশকরের আদর্শটা গ্রহণ করতে হবে। তিনি কী খেতেন কী করতেন, কী গান করতেন- তা শুধু নয়। তার প্রতিজ্ঞা, তার পরিশ্রম, তার মানসিকতা, তার সহ্য ক্ষমতা, তার স্বপ্ন-সমস্ত কিছু নতুন প্রজন্ম পেতে পারে যদি তারা সঠিকভাবে জীবনটা নির্বাহ করে।
লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো জানিয়ে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, উনার বাবার নামে মহারাষ্ট্র সরকার একটা ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক সেন্টার তৈরি করছে। সেটার কারিকুলাম কী হবে সে ব্যাপারে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতেন।
আমার মনে হয় সঙ্গীতকে সার্বিকভাবে দেখতে লতাজির গান আমাদের কাছে তালিমের মতো এমন মন্তব্য করে প্রখ্যাত এই সঙ্গীতজ্ঞ তাঁকে গুরু হিসেবে মানেন বলে জানান।
নতুন প্রজন্মের গায়কদের উদ্দেশে অজয় চক্রবর্তী বলেন, লতা মঙ্গেশকরের অন্তত ১০টি গান তোমরা মুখস্থ করো। দেখো কী কী স্বর আছে, সুর আছে। কীভাবে উনি বলেছেন। কথাটার মধ্যে হাওয়ার কোথায় জোর আছে । কোথায় কম আছে। সেগুলো দেখে একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীর আশির্বাদধন্য হয়ে তোমারও শ্রেষ্ঠ হও। এই প্রার্থনা করি।
ভারতীয় এই সঙ্গীতজ্ঞ আরও বলেন, যদিও কোভিড পিরিয়ডে উনি চলে গেলেন। তারপরও উনার চলে যাওয়ার কারণ কোভিডের জন্য নয়। উনার সমস্ত অর্গান ফেল করেছিল। অনেক চেষ্টা করেছেন ডাক্তাররা। উনার ভাই ও ভাইপো অনেক চেষ্টা করেছেন।
আরইউ/এপি/