শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শেষ কথা ২৩শে এপ্রিল...

-ত্রিদিব, আমার এনএবিসি যাওয়া হবে না।
-আহা, আপনি এখনই নেগেটিভ ভাবছেন কেন দাদা? যথেষ্ট সময় আছে। ডক্টর তো আপনাকে ফোনে বললেন, চলে যাইয়ে।

- আমি তো আমার শরীরটা বুঝি। গৌতম আমার খুব প্রিয় ছেলে, বিজনেস ক্লাস টিকিট পাঠাচ্ছে, সব ঠিক। কিন্তু অতটা পথ, প্রায় ১৮ ঘণ্টার ফ্লাইট, নাহ্, পারব না। তুমি বরং আমার বাংলাদেশের ভিসাটা করিয়ে দাও। আধঘণ্টার ফ্লাইট, 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' থেকে বারবার বলছে, শুনলাম তোমরাও যাচ্ছ, তোমাদের সঙ্গে যাব।

- সে করিয়ে দিচ্ছি দাদা। আমেরিকার ভিসাটাও হয়ে থাকুক না!

- যা ভালো বোঝ, কর। শুধু শুধু ওদের একগাদা টাকা খরচ করাচ্ছ।

এক বছরের বাংলাদেশ ভিসা হয়ে এল। খুব খুশি। আমার চাপাচাপিতে ইউএস ভিসার ফর্ম পূরণ করতে এলেন আমার অফিসে। গত মাসের মাঝামাঝি। অনেকক্ষণ আড্ডা হলো। কিন্তু সেদিনই মনে হচ্ছিল, ওঁর শরীরে অস্বাচ্ছন্দ্য আছে, হাঁটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছে।

গত বছর দুয়েক ধরে প্রায় রোজ সকালেই ফোনে কথা হতো। উনি করেছেন, আমি করতে ভুলে গেছি, অমনি প্রবল অভিমান, তুমি তো এখন অনেক বড় ব্যাপার ! আমাকেই তোমার খোঁজ নিতে হবে!

আবার এই ফোনালাপেই আমাদের মধ্যে চলত নানারকম খেলা! কখনো খাওয়া নিয়ে, কখনো লেখা নিয়ে, কখনো বাইরে যাওয়া নিয়ে, অসাধারণ সব 'গুল'। আমিও পালটা দিতাম, চলত সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি। কখনো গুল ধরা পড়লে খেপেও যেতেন। এই যেমন গত ডিসেম্বরে আমেরিকা থেকে কবি গৌতম দত্ত এসেছে। দেখা করবে।

- সমরেশদা, কাল বাড়ি আছেন তো? গৌতমকে নিয়ে যাচ্ছি। এনএবিসি নিয়ে আপনার একটা ভিডিও রেকর্ড করবে।

- কাল এস না, পরশু। আমি কল্যাণীতে একটা অনুষ্ঠানে যাচ্ছি কাল।

- কল্যাণীতে অনুষ্ঠান! জানি না তো।

- মানে! সব খবর তোমাকে জানাতে হবে নাকি? আমি কাল বাড়ি থাকছি না।

আমিও ছাড়ার বান্দা নই, সঙ্গে সঙ্গে দোয়েলকে ফোন। সে অবাক, কী বলছ কাকু? বাবা সবে অসুখ থেকে উঠল, এখন কোথায় যাবে? বাড়িতেই থাকবে।

ও দাদা, দোয়েল যে বলল, আপনি আছেন। গৌতম অল্প কটাদিনের জন্যে এসেছে।

কয়েক মুহূর্ত নিশ্চুপ। তারপর বোম ফাটল, মেয়েরা কি আমার ঘেঁটি ধরে বসে আছে, অ্যাঁ? তুমি ওদের দিয়ে ভেরিফাই করাও কেন? ভেরি ব্যাড। আমি বলেছি, কাল দেখা করব না, ব্যাস। পরশু আসতে হবে।

কী আশ্চর্য! একদিন পরে যখন গেলাম, সে অন্য মানুষ। ছাড়তেই চান না। কত পুরোনো স্মৃতি। ২০০৯ সাল। তখন গৌতমের বিরাট জিপ ছিল। সেই গাড়ির মাথায় বইমেলার বই তুলে সঙ্গে আরেক গৌতমদা (ফিল্ম ডিরেক্টর) কে নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে নিউ জার্সি যাত্রা... সুনীলদা, স্বাতী বউদিকে নিয়ে গভীর রাত অব্দি আড্ডা... পুরোনো কথা আর ফুরোচ্ছে না। সমরেশদা বলছেন, তোমার মনে আছে ত্রিদিব, গৌতমের বাড়ির সামনের বনে হরিণের দল ...ওদের চোখগুলো সোনার ফুলের মতো জ্বলছিল। তারপর মুষলধারে বৃষ্টি নামল।

সমরেশদা, নিউ জার্সির সেই রাতের কাণ্ডটা ভুলে গেলেন? গৌতম বলল, আপনাদের থাকার জন্যে ওরা মোটেল ভাড়া করেছিল। ডিনারের পরে আপনাদের নিয়ে মোটেলে এলাম। তখন রাত প্রায় ১২টা, উইকএন্ড। চাবি নিলাম রিসেপশন থেকে। তারপর যেই আপনি একটা ঘরে চাবি দিয়ে তালা খুলেছেন, অমনি ভেতর থেকে ---

হ্যাঁ, ওরেব্বাপস! সাত ফুটিয়া একটা ব্ল্যাক বেরিয়ে এল। পরনে শর্ট প্যান্ট, পেছনে ওর বান্ধবী। এই মারে তো সেই মারে! তুমি শেষে ওকে বুঝিয়ে --- নইলে কপালে দুঃখ ছিল!

দোষটা পুরো ম্যানেজারের দাদা। মেলা কমিটি রুম বুক করে রেখেছিল। আসছি না দেখে ব্যাটা অন্য ফ্লাইং কাস্টমারদের দিয়ে দিয়েছে। ভেবেছে আমরা আসব না।

১০ মিনিটের জন্যে দেখা করবেন বলেছিলেন, কিন্তু আর ছাড়তেই চান না। শেষমেশ একরকম জোর করে আমরা যখন বেরিয়ে এলাম, রাত ১১ টা।

অথচ এই সমরেশ মজুমদারই আমায় দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন। অনীশ (দেব) দাকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর সঙ্গে গেছি। তখনো বলেছেন, 'দ্যাখো, আমি ত্রিদিবকে নতুন বই দিতে পারব না। পুরোনো বই দেব। ও বেচতে পারবে না। তখন ও আমায় দেখে পালিয়ে বেড়াবে। মাঝখান থেকে সুন্দর সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে। এইটা আমি চাই না।' অনীশদা জোর দিয়ে বলেছেন, আপনি দিয়েই দেখুন না!

কী ম্যাজিক ঘটল, জানি না। এই মানুষটাই আবার এর বছর তিনেকের মধ্যে সুনীলদা, শীর্ষেন্দুদা, সুচিত্রাদিকে ফোন করে বলেছেন, আমাদের প্রকাশনাকে বই দিতে। গভীর ভালোবাসা, অপার স্নেহ। বাইরেটা শক্ত নারকেলের মতো, ভেতরে কুলকুল করে বইছে মধুর রস। সুনীলদার মতো সকলের সঙ্গে মিশতে পারতেন না, কিন্তু ওঁর ভালোবাসার ছোট বৃত্তে যারা একবার স্থান পেয়েছে, তারা সেই চুম্বক আকর্ষণ থেকে বেরোতে পারেনি।

আমি যে বই সমরেশ মজুমদারের কাছে চেয়েছি, পেয়েছি। ধারাবাহিক সিরিজ লিখছেন, কলিকাতায় নবকুমার, দাউ দাউ আগুন, বা স্বপ্নেই এমন হয়, সোনার শিকল... এমনকী বৃহৎ প্রকাশকের কাছ থেকে তুলে দিয়ে দিলেন ' গল্পসমগ্র ' সিরিজ। কোভিডের সময়ে সরাসরি পাণ্ডুলিপি থেকে লিখে দিলেন দু-দুটো বই। কেন যে এত বিশ্বাস করতেন, কে জানে! শুধু আমাকে কেন, চুমকি, আমাদের দুই মেয়ে ... সবাইকেই। কিন্তু বাইরে খোঁচাতে ছাড়তেন না, যত বইই তোমায় দিই, রয়ালটি তোমার ফিক্সড, সে বাড়বে না!

সমরেশদার হাত ধরেই প্রথম আমার আমেরিকা, কানাডা যাওয়া। 'চলো, দেখবে, ওদেশে কত বাঙালি বাংলা বইয়ের জন্য মুখিয়ে আছে।' কিন্তু দাদা, ফ্লাইটের ভাড়া? কোত্থেকে পাব? 'আরে দাঁড়াও, সে ব্যবস্থা করছি।' করলেনও। তারপর গিয়ে উঠলাম, দাদার রক্তের সম্পর্কহীন বাংলাদেশি কন্যা শ্যামার বাড়ি। দু-দুবার। তার ওখানে একসাথে দিনের পর দিন, রান্নাবান্না করে খাওয়া, উহ, এখন মনে হয়, সব স্বপ্ন। সেখানেও কত ঘটনা, কাহিনি।

কোথায় না কোথায় গেছি দাদার সঙ্গে। ঢাকা, পুরুলিয়ার ভালোপাহাড় থেকে ডুয়ার্সের চা-বাগান, শিলচর থেকে শিলিগুড়ি, গৌহাটি, দিল্লি,ব্যাঙ্গালোর, লখনৌ। আরেকটা বিচিত্র ব্যাপার, ধীরা বউদি আর দুই মেয়ে দোয়েল, পরমা, তারাও আমায় ভারি ভরসা করতেন। বউদি একবার ফোন করে বললেন, আপনার দাদা কী পড়েন জানি না, আমায় কিন্তু কিশোর ভারতী প্রতি মাসে পাঠাবেন।

সিওপিডি, এই রোগটা অনেক দিন ধরেই দাদাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। যে মানুষটা চেন স্মোকার ছিলেন, রোজ সন্ধেয় যাঁর পানীয় লাগত, সব ছেড়ে দিয়েছিলেন বেশ কয়েক বছর। কিন্তু বছর দুয়েক আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ধীরা বউদির আকস্মিক চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না। একটু একটু করে মানসিক অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। প্রায়ই ফোনে বলতেন, ভদ্রমহিলা আমায় ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন। আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না।

বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন দাদা। কিন্তু অসম্ভব মনের জোর, ফিরে এসেছেন, আবার লিখতে শুরু করেছেন। একবার তো বাংলা অক্ষরই ভুলে গিয়েছিলেন! নতুন করে অ আ ক খ প্র্যাকটিস করে লেখায় ফিরলেন। ভাবা যায়!

আমার সঙ্গে শেষ কথা হয় ২৩ এপ্রিল, রবিবার। ২৪ শে এপ্রিল ফোন করতে ভুলে গেছি। ২৫শে এপ্রিল। ব্রেকফাস্ট টেবিলে চুমকি বলল, কী গো, কাল তো সমরেশদাকে কল করোনি। আজ একবার কর। বলতে বলতে ফোন বেজে উঠল, দোয়েল। 'কাকু, বাবার মনে হয়, ফের কিছু হয়েছে। কী রকম করছেন। আমি অ্যাপোলোতে নিয়ে যাচ্ছি।'

ব্যস, তারপর... তার আর পর নেই, নেই কোনো ঠিকানা!

বোঝাতেও পারব না, আমার মনের মধ্যে এখনো কী চলেছে। সব ' বিগ জিরো। '

ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়: প্রকাশক, পত্রভারতী

এসএন

 

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ