উত্তরসূরীর আয়োজনে নারী স্বরের নিজস্বতা নিয়ে আলোচনা
সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরসূরীর আয়োজনে ‘নারী স্বরের নিজস্বতা’ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি সংগঠনটির ‘নারীস্বর’ সিরিজ বক্তৃতামালার প্রথম কিস্তি। উত্তরসূরী আয়োজিত 'নারী স্বর' শীর্ষক বক্তৃতামালার 'বাংলা ভাষা: নারী জবানের ভিন্নতা ও বিশিষ্টতা'।
শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল উ্মেন্স কলেজের উপাচার্য পারভীন হাসান। সংগঠনের প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদের সঞ্চালনায় সেমিনারে মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম। আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন ও লেখক-গবেষক মোরশেদ শফিউল হাসান।
ফিরদৌস আজিম বলেন, মুসলিম নারী লেখকদের মধ্যে নওয়াব ফয়জুননেসা চৌধুরী ‘রপজালাল’ উপন্যাস পুঁথি পাঠের ভঙ্গিতে মিশ্র ভাষায় লেখেন। তিনি বলেন, এটি একটি ‘ব্রিজ টেক্সট’। কোলকাতায় প্রমিত ভাষায় সেসময় লেখা হতো কিন্তু ফয়জুননেসা উচ্চবিত্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জগতের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন।
অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন বলেন, বাংলা সাহিত্যে মুসলিম নারীদের মধ্যে প্রথম সায়েন্স ফিকশন সুলতানার স্বপ্ন। এখানে বেগম রোকেয়া নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি প্রতীকীভাবে তুলে ধরেন।
মোরশেদ শফিউল হাসান বলেন, বৃটিশরা ফয়জুননেসাকে বেগম উপাধি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি নেননি। তিনি নওয়াব উপাধি তাকে দিতে অনুরোধ করেন। পুরুষ যে উপাধি নিবে নারী হয়ে তিনি সেটা কেন পাবেন না, এ অবস্থান থেকে তিনি এ প্রশ্ন তুলেছিলেন।
পারভীন হাসান বলেন, কেউ ধর্ষিত হয় না। ধর্ষণের শিকার হয়। এরকম ভাষার রাজনীতি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, লুবনা মরিয়ম, আলম খোরশেদ, কাজী সুফিয়া আক্তার, সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য, অরুপ রাহী, অদিতি ফাল্গুনি, মন্ময় জাফর প্রমুখ।
এনএইচবি/এএস