বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমধারা ৯ম কবিতা উৎসব: স্বপ্ন ছোঁবার স্বপ্ন

ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের শংকরে ছায়ানটের প্রধান মিলনায়তনেআবেগ-আন্তরিকতা আর ভালোবাসা মিশ্রিত একটি আয়োজন হয়ে গেল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা অবধি চলে সে আয়োজন। কবিতা উৎসব আয়োজনই সমধারার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়; সমধারার উৎসবে অংশ নিয়ে মনে হলো, উৎসবে যেন স্বপ্নেরই ছড়াছড়ি; অবশ্য স্বপ্নের বিষয়টি সাদা চোখে কারো চোখে পড়ার কথা নয়; সেটি হৃদয়ঙ্গম করার বিষয়। স্বপ্নাকুতিগুলো ততটা দৃশ্যমান নয়, স্বপ্নগুলো লতিয়ে ওঠে প্রতিটি কার্যক্রমের সার্বিক উপস্থাপনায়। ইপসার সহায়তায় এবারের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আমরা যারা দেশমাতৃকাকে নিয়ে ভাবি, যারা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের অগ্রযাত্রার কথা ভাবি, যারা বাঙালির সংস্কৃতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে চাই; যারা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আস্থা রাখি; যারা ধর্মান্ধতা-কূপমণ্ডুকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতে চাই; যারা বাংলার আবহমান কালের শাশ^ত বাণী ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’ অথবা ‘হাজার বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ, জগৎ ভরমিয়া দেখি একই মায়ের পুত।’ এসব সত্যে আস্থা রাখি, তারা নানান কৌশলে অতীত ঐতিহ্যের শৌর্য-বীর্যের গৌরব ফিরিয়ে আনতে চাই; কিন্তু হায়! মানুষ কখনো অতীতে ফিরে যেতে পারে না তর্পণ করতে পারে মাত্র; সময়ের বাস্তবতায় আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়েছি, সেখানে সবার প্রত্যাশিত উজ্জ্বল অতীত ফিরিয়ে আনা স্বাভাবিক অবস্থায় দুর্লঙ্ঘ নয়, অলঙ্ঘই বলা যায়। সবার প্রত্যাশা পূরণে সর্বৈব এক বিপ্লব অত্যাবশ্যক। আমাদের এই অতীত ফিরিয়ে আনার কলাটি উপলব্ধির; যার অন্তরে স্বপ্ন লুক্কায়িত থাকে। সমধারার দীর্ঘ কর্মতালিকায় দেখতে পাই অতীত গৌরব তুলে আনার প্রয়াস; হয়তো সে কারণেই সমধারা আমাদের ভাষা আন্দোলনের বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করে।

১৯৭১-এ যে জাতি বঙ্গবন্ধুর এক তর্জনীর মাথায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল; যে জাতি ৩০ লাখ মানুষের বুকের রক্ত, দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রম আর দীর্ঘ যন্ত্রণা সহ্য করে স্বাধীন করেছিল দেশ; সেই জাতি স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর মতো অবিসংবাদিত এক মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে, কলঙ্কিত করেছে ইতিহাস; ১৯৭৫-এর পর যে জাতি দীর্ঘ একুশ বছর ধরে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্তির লজ্জা মাথা পেতে নিয়েছে। যে জাতি আজ বহুধা বিভক্ত; যখন আমাদের স্বার্থের সমুখে নীতিবোধ অবনত; তখন সবার প্রত্যাশা কীভাবে পূর্ণ হবে, হয়তো আমরা তা জানি না; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো অবিসংবাদিত নেতার শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের কলঙ্ক মুছতে চাই; এ-ও আমাদের স্বপ্নের এক অধ্যায়; যদি পেছনে তাকাই দেখতে পাই, ইতোমধ্যে সমধারা যে ৮৯টি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা প্রকাশ করেছে, তার বেশ ক’টির প্রচ্ছদ হয়েছেন বঙ্গবন্ধু, তাঁর সংগ্রাম এবং আদর্শ বয়ান।

আমাদের লড়াই-সংগ্রাম একদিনেই শেষ হয়ে যায় না; কিন্তু জাতির অগ্রযাত্রা এবং শুভ প্রবণতার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য নিয়ত কাজ করে যেতে হয় স্বপ্নকে সঙ্গে নিয়ে; তারপরও ‘যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশা!’ শুভ চেতনার কথা আমাদের বলে যেতে হয়। আজ আমরা এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে সত্য উচ্চারণ করতে চাই, যখন আমাদের সমাজ-পরিপার্শ্বিক স্তুতি আর স্তাবকতায় নিমজ্জিত। যখন ব্যক্তি স্বার্থের কাছে মূল্যবোধ বিপন্ন! কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি সংস্কৃতিকর্মীরাই পারে মানুষের কল্যাণ চিন্তায় স্রোতের বিপরীতে উজানে চলতে। শুভ চেতনার পক্ষে সবাই সক্রিয় থাকতে চাই নিরন্তর। সমধারা সে কাজটিও করে যাচ্ছে নিষ্ঠার সঙ্গে। স্বপ্ন-বাস্তবতার ক্ষেত্রে সমধারা হয়তো সবার প্রত্যাশা সমভাবে পূরণ করতে পারছে না; কিন্তু তাদের আন্তরিকতায় যে সামান্য ঘাটতি নেই সে কথা স্পষ্ট হয় সমধারার নানা আয়োজনে।

সমধারার আয়োজন এবং কর্মসূচি যদি সামান্য যত্ন নিয়ে দেখতে চাই, তাহলে দেখব সাহিত্যের কাগজ সমধারা নিয়মিত প্রকাশনার সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গবেষণা, অবহেলিত শিশুদের স্বাক্ষরজ্ঞান প্রদানসহ সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে; যার সঙ্গে আছে স্বপ্নের যোগ। যে আয়োজনের কথা বলতে গিয়ে এত কথার অবতারণা, সেটি ছিল ‘ইপসা সমধারা ৯ম কবিতা উৎসব ২০২৩’। মোট চারটি পর্বে বিন্যস্ত উৎসবের প্রথম পর্বে ছিল পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অর্ধশতাধিক কবির স্বকণ্ঠ স্বরচিত কবিতা পাঠ; প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি নজমুল হেলাল। দ্বিতীয় পর্বে কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা থেকে আবৃত্তি পরিবেশনা; সালেক নাছির উদ্দিন-এর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘গুণের সবুজ ফসল’ আবৃত্তি পরিবেশন করে সমধারার নিজস্ব আবৃত্তি দল। টান টান উত্তেজনার মধ্যে একের পর এক কবিতা আবৃত্তি করে যায় বাচিকশিল্পী দল; স্বল্প ধারাবর্ণনার অংশটুকুও ছিল সাবলীল এবং আকর্ষণীয়।

দুই শতাধিক কবি-সাহিত্যিকের সঙ্গে স্বয়ং কবি নির্মলেন্দু গুণ ছিলেন এ পর্বের মুগ্ধ শ্রোতা; কবি তার মুগ্ধতার কথা উচ্চারণ করলেন পরিবেশনা শেষে। তৃতীয় পর্বে ছিল সমধারা সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রদান। কথাসাহিত্যিক কাইয়ূম নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তৃতীয় পর্বটি ছিল প্রাণচঞ্চল। মুহুর্মুহু করতালি আর হর্ষধ্বনির মধ্যে এবারের পুরস্কার পেলেন কথাসাহিত্যে হরিশংকর জলদাস, কাব্যসাহিত্যে ফরিদ আহমদ দুলাল এবং শিশুসাহিত্যে স.ম শামসুল আলম। পুরস্কার প্রাপকদের হাতে নগদ অর্থ, পোট্রেট এবং উত্তোরী তুলে দেন কবি নির্মলেন্দু গুণ ও অতিথিবৃন্দ।

এ পর্ব উদ্বোধন করেন কবি প্রাবন্ধিক মজিদ মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সমধারা সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন। উল্লেখ্য, নবীন কবিতাকর্মীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি খ্যাতিমানদেরও সম্মানিত করার স্বপ্ন নিয়েই সমধারা ১৯১৬ সাল থেকে প্রবর্তন করে সমধারা সাহিত্য পুরস্কার। প্রথম কয়েক বছর শুধু কবিতার জন্যই এ পুরস্কার প্রদান করা হলেও কয়েক বছরের মধ্যে যুক্ত হয়েছে শিশুসাহিত্য ও কথাসাহিত্যও। ইতোপূর্বে যারা এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, তারা হলেন কবি হেলাল হাফিজ (২০১৬), কবি নির্মলেন্দু গুণ (২০১৭), কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা (২০১৮), কবি মৃণাল বসুচৌধুরী (২০১৯), কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও শিশুসাহিত্যিক রহীম শাহ (২০২০), কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও কবি সরোজ দেব (২০২১), কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক ও কবি ওমর কায়সার (২০২২)।

সমধারা পুরস্কারের দিকে তাকালে দেখতে পাই, প্রথম চার বছর কবিতার জন্য একজনকেই এ পুরস্কার দেয়া শুরু হলেও পঞ্চম বর্ষে ঘটে যায় বিপর্যয়; না, বিপর্যয় পুরস্কার একজনের পরিবর্তে দুজনকে দেওয়ায় নয়; বিপর্যয় ঘটে পঞ্চম বর্ষে কবিতায় কাউকে পুরস্কারই দেয়া হয়নি; কবিতা উৎসবে কবিতাই পড়ে গেল বাদ; অসাবধানতায় কখনো এমনটি হয়ে যায়; পরবর্তী বছরই ভুল সংশোধন করে নিয়েছে সমধারা। অষ্টম বর্ষ থেকে তিনটি শাখায় পুরস্কার প্রদান শুরু হলো; ২০২৪-এর জন্য ইতোমধ্যেই যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে পুরস্কার পাবেন তিনজন কবিতায় মজিদ মাহমুদ, কথাসাহিত্যে বিশ্বজিৎ চৌধুরী এবং শিশুসাহিত্যে ধ্রুব এষ। সমধারা যেহেতু স্বপ্নবুনন কাজেই মগ্ন, আগামীতে যদি এ পুরস্কার সাহিত্যের চার-পাঁচ বা ছয় শাখায়ও প্রদান করা হয় তবে আমি অন্তত অবাক হবো না।

পুরস্কার বিতরণ শেষে সাইক সিদ্দিকীর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় অভিনীত হয় ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে পালা ‘জয়তুন বিবির পালা’। লক্ষ করলে দেখা যাবে পালা নির্বাচনেও আছে স্বপ্নের আভাস; শুরুতেই যে কথা বলেছিলাম, নিজেদের ঐতিহ্য ও গৌরব তুলে আনার প্রয়াস; পালা উপস্থাপনের মাধ্যমে সমধারা যেন নগরের মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলো লোকবাংলার ঐতিহ্যবাহী পালাগানকে।

নবম কবিতা উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত হয় সমধারা-৮৯ বিশেষ সংখ্যা। এ ছাড়াও সালেক নাছির উদ্দীন ও জান্নাত আরা মমতাজ সম্পাদিত কবিতা সংকলন ‘পদাবলীর যাত্রা’। এবারের পদাবলীর যাত্রায় সংকলিত হয়েছে কবি ফরিদ আহমদ দুলালের ভ‚মিকাসহ শতাধিক কবির কবিতা; আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ এঁকেছেন শামীম আশরাফ। এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয় সম্প্রতি প্রয়াত কবি সোহাগ সিদ্দিকীকে; যিনি সমধারাসহ সাহিত্যের নানান আঙিনায় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। সাহিত্যাঙ্গনে সমধারা আগামীতে আর কী নতুন স্বপ্ন নিয়ে উপস্থিত হয়, তা-ই এখন দেখার অপেক্ষা। আসুন আমরা ভালোবাসা নিয়ে সমধারার পাশে দাঁড়াই, দাঁড়াই স্বপ্নের পাশে।

/এএস

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া