নবম ‘সমধারা কবিতা উৎসব’ অনুষ্ঠিত
আবেগ-আন্তরিকতা আর ভালোবাসা ঢাকায় নবমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘কবিতা উৎসব’।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের শংকরে ছায়ানটের প্রধান মিলনায়তনে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা অবধি চলে আয়োজন। সমধারার আয়োজনে এবারের উৎসবে সহযোগিতা করেছে ইপসা।
সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোট চারটি পর্বে বিন্যস্ত উৎসবের প্রথম পর্বে ছিল পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অর্ধশতাধিক কবির স্বকণ্ঠ স্বরচিত কবিতা পাঠ; প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি নজমুল হেলাল।
দ্বিতীয় পর্বে কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা থেকে আবৃত্তি পরিবেশনা; সালেক নাছির উদ্দিন-এর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘গুণের সবুজ ফসল’ আবৃত্তি পরিবেশন করে সমধারার নিজস্ব আবৃত্তি দল। একের পর এক কবিতা আবৃত্তি করে যায় বাচিকশিল্পী দল; স্বল্প ধারাবর্ণনার অংশটুকুও ছিল সাবলীল এবং আকর্ষণীয়। দুই শতাধিক কবি-সাহিত্যিকের সঙ্গে স্বয়ং কবি নির্মলেন্দু গুণ ছিলেন এ পর্বের মুগ্ধ শ্রোতা; কবি তার মুগ্ধতার কথা উচ্চারণ করলেন পরিবেশনা শেষে।
তৃতীয় পর্বে ছিল সমধারা সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রদান। কথাসাহিত্যিক কাইয়ূম নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তৃতীয় পর্বটি ছিল প্রাণচঞ্চল। মুহুর্মুহু করতালি আর হর্ষধ্বনির মধ্যে এবারের পুরস্কার পেলেন কথাসাহিত্যে হরিশংকর জলদাস, কাব্যসাহিত্যে ফরিদ আহমদ দুলাল এবং শিশুসাহিত্যে স.ম শামসুল আলম। পুরস্কার প্রাপকদের হাতে নগদ অর্থ, পোট্রেট এবং উত্তরীয় তুলে দেন কবি নির্মলেন্দু গুণ ও অতিথিরা। এ পর্ব উদ্বোধন করেন কবি প্রাবন্ধিক মজিদ মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সমধারা সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন।
উল্লেখ্য, নবীন কবিতাকর্মীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি খ্যাতিমানদেরও সম্মানিত করার স্বপ্ন নিয়েই সমধারা ১৯১৬ সাল থেকে প্রবর্তন করে সমধারা সাহিত্য পুরস্কার। প্রথম কয়েক বছর শুধু কবিতার জন্যই এ পুরস্কার প্রদান করা হলেও কয়েক বছরের মধ্যে যুক্ত হয়েছে শিশুসাহিত্য ও কথাসাহিত্যও।
পুরস্কার বিতরণ শেষে সাইক সিদ্দিকীর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় অভিনীত হয় ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে পালা ‘জয়তুন বিবির পালা’।
এমএমএ/